ইফতারের পূর্বে দুআ কবুলের সম্ভাবনা বেশি
ইফতারের পূর্বে কি দুআ কবুল হয় এ মর্মে বর্ণিত হাদিসটি কি সহীহ?
রোযা অবস্থায় দুআ ফিরিয়ে দেয়া হয় না এ ব্যাপারে সহীহ হাদিস রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
ثَلاَثُ دَعَوَاتٍ لاَ تُرَدُّ دَعْوَةُ الْوَالِدِ، وَدَعْوَةُ الصَّائِمِ، وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ
‘‘তিন ব্যক্তির দুআ অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দুআ, রোজাদারের দুআ এবং মুসাফিরের দুআ।’’ (বাইহাকী ৩/৩৪৫, প্রমুখ, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১৭৯৭নং)
সুতরাং রোজাদারের জন্য ইফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যে কোন সময় দুআ কবুল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিশেষ করে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে মানুষ ক্ষুধা-পিপাসায় কাতর ও ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকে। তাই সে সময় দুয়া কবুলের সম্ভাবনা আরও বেশি। কারণ এ ধরণের দুর্বল ও কষ্টকর অবস্থায় দুআ করা হলে তা কবুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সেই সাথে এ মর্মে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে তা হল:
إنَّ للصائمِ عندَ فِطرِه لَدعوةً ما تُرَدُّ
“ইফতারের সময় রোজাদারের জন্য এমন একটি দুআ রয়েছে যা ফিরিয়ে দেয়া হয় না।” (ইবনে মাজাহ, হাকিম)
এ হাদিসটি সহীহ না কি জঈফ এ বিষয়ে মুহাদ্দিসদের মাঝে দ্বিমত রয়েছে। আল্লামা আলবানী রহ. এটিকে সনদগতভাবে জঈফ সাব্যস্ত করলেও ইমাম বূসীরী, ইবনে হাজার আসকালানী, আহমদ শাকের সহ কতিপয় মুহাদ্দিস সহীহ/হাসান হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।
মোটকথা, এ হাদিসটিকে জঈফ ধরে নিলেও রোযা অবস্থায় দুআ কবুলের সহীহ হাদিস অনুযায়ী এবং ইফতারের আগে রোজাদারদের দুর্বল অবস্থায় থাকার পরিপ্রেক্ষিতে ইফতারের পূর্বে দুআ করলে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইনশাআল্লাহ। তাই রোজাদারের উচিৎ, সারা দিন রোযা অবস্থায় দুয়া করার সুযোগকে হাত ছাড়া না করা। বিশেষ করে ইফতারে আগের সময়টিকে দুআর জন্য বেশি গুরুত্ব দেয়া।
আল্লাহু আলাম।