জাকারিয়া (আ:) আপাতদৃষ্টিতে আল্লাহর কাছে অসম্ভব কিছু চেয়েছিলেন: বৃদ্ধ বয়সে তাঁর বন্ধ্যা স্ত্রী থেকে একটি পুত্র সন্তান। যদিও এই প্রার্থনা তিনি করেছিলেন, তথাপি প্রার্থনার উত্তরে তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন।
قَالَ رَبِّ أَنَّىٰ يَكُونُ لِى غُلَٰمٌ وَكَانَتِ ٱمۡرَأَتِى عَاقِرًا وَقَدۡ بَلَغۡتُ مِنَ ٱلۡكِبَرِ عِتِيًّا
সে বলল, ‘হে আমার রব, কিভাবে আমার পুত্র সন্তান হবে, আমার স্ত্রী তো বন্ধ্যা, আর আমিও তো বার্ধক্যের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি’1
পরের আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁকে উত্তর দিয়েছিলেন –
قَالَ كَذَٰلِكَ قَالَ رَبُّكَ هُوَ عَلَىَّ هَيِّنٌ وَقَدۡ خَلَقۡتُكَ مِن قَبۡلُ وَلَمۡ تَكُ شَيۡئًا
সে (ফেরেশতা) বলল, ‘এভাবেই’। তোমার রব বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য সহজ। আমি তো ইতঃপূর্বে তোমাকে সৃষ্টি করেছি, তখন তুমি কিছুই ছিলে না’।’2
এই যে আল্লাহর পক্ষ থেকে জাকারিয়ার (আ:) প্রার্থনা পূরণে তাঁর সহজাত বিস্ময়, এর মধ্যে রয়েছে এক গভীর অনুস্মারক। বিশ্বজগতের প্রভু আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব এই প্রার্থনা পূরণের চেয়েও অনেক বেশি সক্ষম। তিনি নভোমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, তিনি শূন্য থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন।
জাকারিয়ার (আ:) প্রশ্ন এবং তাঁর বিস্ময়ের অভিব্যক্তি এবং আল্লাহর প্রতিক্রিয়া আমাদের সবার জন্য একটি অনুস্মারক: যতই অসম্ভব মনে হোক না কেন আল্লাহর কাছে চাইতে থাকুন, কোন কিছু সমাধানের অতীত মনে হলেও চান, আল্লাহর কাছে চাওয়ার জন্য নিজেকে অযোগ্য মনে হলেও তাঁর কাছেই চান। যিনি আপনাকে এবং আমাকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তিনিই পারেন আমাদের হৃদয়ের জটগুলো ছাড়িয়ে দিতে।
মূল: ডালিয়া মোগাহেদ