How to avoid the Shaitan’s deception – Abul Kalam Azad 2020
Table of Contents
শয়তানের (Shaitan) ধোকা থেকে কিভাবে বাঁচবেন?
আল্লাহ্ তায়ালা বলছেন,
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُو
Ya ayyuhallazina amanu
হে ঈমানদ্বারেরা ও ঈমানদ্বার, ও ঈমান ওয়ালা
আল্লাহ্র ডাকে সাড়া দেয়ার দরকার আছে নাকি নাই, কিভাবে সাড়া দিবেন, সরাসরি ডাকলে মূসা (আ.) নবীর মত বলতাম লাব্বাইক, কিন্তু ডাকলেন কুরআনের মাধ্যমে, তাই সাড়া দেয়ার নিয়মটা লাব্বাইক নয়, নিয়ম হল
وَإِذا قُرِئَ القُرآنُ فَاستَمِعوا لَهُ وَأَنصِتوا لَعَلَّكُم تُرحَمونَ
wa-ʾidhā quriʾa l-qurʾānu fa-stamiʿū lahū wa-ʾanṣitū laʿallakum turḥamūn
When the Qurʾān is recited, listen to it and be silent, maybe you will receive [Allah’s] mercy.
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।
সূরা আল আ’রাফ (Surah Al-A’raf)
আয়াত নং ২০৪
তিনি ডেকে যা বলবেন, তা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং চুপ করে থাকতে হবে, তাহলে জবাব দেয়া হয়ে যাবে। আল্লাহ্ তায়ালা ডাকছেন ও ঈমানদ্বার, তোমরা সবাই মিলে ইসলামে পরিপূর্ণ প্রবেশ কর। সুবহানাল্লাহ।
ঈমানদ্বার
ডাক দিলেন ঈমানদ্বার বলে, এতে বুঝা যায় ঈমানদ্বার মানেই ইসলামে প্রবেশ করে ফেলেছে ব্যাপারটা তা নয়, ঈমান হল ইসলামে প্রবেশ এর মূল গেইট, তাই কোন ব্যক্তি ঈমান আনার পরে তার কাজ শুরু হয় না শেষ হয়?
প্রবেশ করল ঢুকল, ও ঈমানদ্বার তোমরা ইসলামে প্রবেশ কর এখন কতটুকু প্রবেশ করবেন, এইবার তিনি বলেন – একবারে পরিপূর্ণ ভাবে
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ ادْخُلُواْ فِي السِّلْمِ كَآفَّةً وَلاَ تَتَّبِعُواْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারা আয়াত ২০৮)
ইসলামে পরিপূর্ণ প্রবেশ এর সাথে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না এই কথার মিল কই দুইটাতো দুই জিনিস, ইসলামে পরিপূর্ণ প্রবেশ কর। শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, দুইটা এক সাথেই বলাই প্রমান করে, যে ইসলামে পরিপূর্ণ প্রবেশ করে নাই সে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। ইসলামে কোন ব্যক্তি যদি ৫০% প্রবেশ করে, তাহলে বাকি ৫০% শয়তানের পথে রয়ে গেল।
তাই আল্লাহ্ তায়ালা বলছেন,
ইসলামে পরিপূর্ণ প্রবেশ কর শয়তানের (Shaitan) পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, এর মানে হল তোমার জীবনের একটা অংশও শয়তানের পথে থাকা যাবে না।
কারন কি?
إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
যদি সামান্য তার পথে থাকে, ঐটুকু ধরে টান মারবে বাকিটাকুও টান মেরে নিয়ে যাতে পারে। তাই যে ব্যক্তি ইসলামে পরিপূর্ণ প্রবেশ করে না সে শয়তান থেকে নিরাপদ থাকে না। শয়তান থেকে নিরাপদ যদি কেউ থাকতে চায় আল্লাহ্ তায়ালা অর্ডার করলেন, ইসলামে পরিপূর্ণ প্রবেশ করো।
কুরআন মাজীদে আল্লাহ্ তায়াল বলছেন নামায পড়, নামায কায়েম কর, আল্লাহ্র এই আদেশ পালন করা নফল নাকি ফরজ?
ফরজ
আল্লাহ্ বলছেন রোজা রাখ রোজা রাখ, রোজা রাখা নফল নাকি ফরজ?
ফরজ
আল্লাহ্ বলছেন যাকাত দেও, এই আদেশ করার কারণে যাকাত দেয়া নফল নাকি ফরজ ?
ফরজ
ইসলামে পরিপূর্ণ প্রবেশ কর, এই আদেশের কারণে পরিপূর্ণ প্রবেশ করা নফল নাকি ফরজ ?
ফরজ
যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পরে না, সে ফরজ লঙ্গগণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ বলছে রোজা রাখ রোজা রাখে না, সে ফরজ লঙ্গগণকারী। যে যাকাত ফরজ যাকাত দেয় না, সে ফরজ লঙ্গগণকারী। যে ব্যক্তি ঈমান আনল কিন্তু পরিপূর্ণ ঢোকে না, সেও ফরজ লঙ্গগণকারী।
ইসলামে পরিপূর্ণ প্রবেশ কর না হয় শয়তান (Shaitan) তার পথে নিয়ে যাবে, আল্লাহর এই জমিনে ইসলামের মত বড় নেয়ামত নাই এবং পুরা জমিনে শয়তানের মত বড় ডাকাতও নাই। আমাদের জন্য সবচেয় বড় দুশমনের নাম হল শয়তান, তাই শয়তানের হাত থেকে যদি আপনি নিরাপদ থাকতে চান। জান্নাতে ঢুকতে চান, ইসলামে মাঝে পরিপূর্ণ প্রবেশ করে ফেলুন, আপনার রব বলছে শয়তান জঘন্য দুশমন, এর মানে হইল অর্ধেক ঢুকে বাকি অর্ধেক যদি না ঢুকেন নিজের অজান্তেই আপনি শয়তানের বন্ধু হয়ে যাবেন। এবং এটাযে কত সত্য, যারা অর্ধেক ইসলাম মানে, তাদের অধিকাংশ কাফের হয় অর্ধেক ইসলাম যারা মানে তারা অধিকাংশ মুশরেক হয়। অধিকাংশকে শয়তান (Shaitan) জাহান্নামী বানায়, কিভাবে ?
শয়তান (Shaitan) জাহান্নামী বানায় কিভাবে ?
অর্ধেক ইসলাম যারা মানে তারা কিভাবে কাফের হয়?
যারা অর্ধেক ইসলাম মানে তাদেরকে পরিপূর্ণ ইসলাম এর কথা বললে চেহারা কালো হয়ে যায়। ইসলাম পরিপূর্ণ মানার জন্য আদেশ করেছেন কে?
আল্লাহ্
এখন আপনিতো মানলেন না, আমরা যারা মানতে বলি সেটা সহয্য করলেন না, চেহারা কালো হয়, আল্লাহ্র আদেশ শুনে চেহারা কালো হলে ঈমান থাকে না।
একটা হল আপনি টুপি মাথায় দেন না, আরেকটা হল টুপি পছন্দ করেন না। দুইটা কি এক জিনিস এই যে টুপি মাথায় দেই নাই আমি খুলছি ৩০ সেকেন্ড এর জন্য গুনাহ হইছে আমার, না। দিলে সওয়াব আছে না দিলে কোন গুনাহ নাই। কিন্তু কেউ যদি টুপি পছন্দ না করে তার ঈমান থাকবে না। ইসলাম যারা অর্ধেক মানে, যদি ব্যপারটা এমন হত যে আমি পারি না, তাই আমি অর্ধেক মানি আল্লাহ্ sorry আমারে মাফ করে দাও।
যারা মানে তাদের কে ধন্যবাদ। তোমরা সামনে যাও আমি পিছন থেকে আছি, সাহায্য লাগলে বইল তাহলে লোকটা কাফের হইত না, ইসলাম আপনি অর্ধেক মানেন আপনি কাফের না, একটা ছেলে মদ খায় কিন্ত মসজিদের ইমাম তাকে জিজ্ঞেস করল মদ খাও কেন মিয়া, ছেলেটা মাথা নত করে বলে হুজুর সজ্ঞ দোষে নষ্ট হয়ে গেছি, হুজুর আমার জন্য একটু দোয়া কইরেন ভাল হইতে চাই কিন্তু শয়তান (Shaitan) ধরে রাখছে পারিনা। এই ছেলেটা কাফের নয়, সে ফাসেক। কারণ মদ খাওয়া গুনাহ এটা সে জানে,
আমার ভাইয়েরা কিন্তু কেউ যদি বলে, মদ খাইলে অসুবিধা কি?
সে যদি জীবনে কোন দিন মদ নাও খায় তার ঈমান থাকবে না। কারণ সে হারাম কে হালাল মনে করছে। টুপি মাথায় আপনি দেন না কোন অসুবিধা নাই
https://www.youtube.com/watch?v=YLkGbNt-b18