হাত পা ও বুকের লোম বা পশম কামানো বা চেছে ফেলা জায়েজ আছে কিনা। হাত পায়ে অথবা বুকে যদি অতিরিক্ত লোম হয় অনেক সময় অনেকে কেটে ফেলে, এগুলা কাটা কিংবা কামানো জায়েজ আছে কিনা?
মানুষের শরীরে যত লোম বা পশম আছে সেগুলো তিন প্রকার।
কিছু আছে যেগুলো রাখতে হবে। রাখার নির্দেশ করেছে, যেমন মহিলারা চুল রাখবে কখনো চাচবে না, পুরুষরা দাড়ি রাখবে কখনো চার্চবে না, যারা মহিলারা আছেন তারা অবশ্য দাড়ি রাখবে না।
যারা পুরুষ আছেন তাদের দাড়ি রাখা ওয়াজিব।
পশম কিছু আছে যেগুলো রাখতে হবে, সেগুলো কাটা বা ছাটাই করা যাবে না।
আর কসম কিছু আছে যেগুলো কামাই করতে হবে বা ছোট করতে হবে যেমন মোছ ছোট করতে বলা হয়েছে, বগলের নিচে, নাভির নিচের পশম, অবঞ্চিত পশম সেগুলো কাটতে বলা হয়েছে। কেটে ফেলাটাই হল সুন্নাহ, এগুলো বড় করা যাবে না।
আর তিন নম্বর হলো শরীয়ত এগুলো কাটার কথাও বলে আবার রাখার কথাও বলে, যেমন বুকের পশম হাতের পশম, কানের পশম, রানের পশম, পিঠের পশম এই পশম গুলোর ব্যাপারে ইসলামের বিধানগুলো কি?
এর উত্তর হল, যেহেতু শরীয়ত রাখার নির্দেশও করে নাই আবার শরীয়ত কেটে ফেলা রো নির্দেশ করে নাই। এজন্য কোন মানুষ যদি অসুবিধা হয় পশম কেটে ফেলার ইচ্ছা পোষণ করে বা পশম খুব বেশি থাকে তাতে তার ডিস্টার্ব হয়, তাতে কোন অসুবিধা নাই।
কিন্তু যদি আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তনের পর্যায়ে অপচেষ্টা করে কোনভাবে তাহলে সেটা কিন্তু নিষিদ্ধ, কিন্তু এভাবে সেটা কাটলে নিষিদ্ধ নয়।