হালালকে হারামকারী আর হারামকে হালালকারী, দুই দলের কর্মকান্ডেরই কঠোর নিন্দা বর্ণিত হয়েছে কুরআনে। তবে তুলনামূলকভাবে অধিকতর কঠোর শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে হালালকে হারামকারীর নিন্দার ক্ষেত্রে। কারণ, কোনো কিছু হারাম করলেই আমাদের জীবনে বিভিন্ন সংকট ও সংকীর্ণতা সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত দ্বীনদারগণ ক্ষেত্রবিশেষ এই ধরনের সংকীর্ণতা সৃষ্টির পায়তারা চালায়। তাই এক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত জোর দেওয়া হয়েছে।
দ্বীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অত্যন্ত অপছন্দ ছিল। এর প্রতিরোধকল্পে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টাও চালিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন-
الا هلك المتنطعون الا هلك المتنطعون ، ألا هلك المتنطعون
শুনে রাখো, অতিরিক্ত বাড়াবাড়িকারীরা ধ্বংস হয়ে গেছে। অতিরিক্ত বাড়াবাড়িকারীরা ধ্বংস হয়ে গেছে। অতিরিক্ত বাড়াবাড়িকারীরা ধ্বংস হয়ে গেছে1
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার রিসালাতের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ঘোষণা দিতে গিয়ে বলেন-
إِنِّي أُرْسِلْتُ بِحَنِيفِيَّةٍ سَمْحَةٍ
নিশ্চয় আমি সঠিক ধর্মমত ও উদারতার সঙ্গে প্রেরিত হয়েছি।2
সুতরাং এই দ্বীন আকিদা ও তাওহিদের ব্যাপারে সুদৃঢ় এবং আমল ও শারয়ি বিধানের ক্ষেত্রে উদার ও সহজ। আল্লাহ তাআলার সাথে শিরক ও হালালকে হারামকরণ এই দ্বীনের সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। একটি হাদিসে কুদসিতে এই দুটি জিনিস একসাথে উল্লেখ করা হয়েছে। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং বর্ণনা করেন, আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَإِنِّي خَلَقْتُ عِبَادِي حُنَفَاءَ كُلَّهُمْ ، وَإِنَّهُمْ أَتْنَهُمُ الشَّيَاطِينُ فَاجْتَالَتْهُمْ عَنْ دِينِهِمْ . و حرِّمَتْ عَلَيْهِمْ مَا أَحْلَلْتُ لَهُمْ ، وَأَمَرَتْهُمْ أَنْ يُشْرِكُوا بِي مَا لَمْ أُنْزِلَ بِهِ سُلْطَانًا
আমি আমার সকল বান্দাদেরকে একনিষ্ঠ (মুসলিম) হিসেবে সৃষ্টি করেছি। তারপর তাদের কাছে শয়তান এসে তাদেরকে তাদের দ্বীন থেকে সরিয়ে দেয়। আমি যে সমস্ত জিনিস তাদের জন্য হালাল করেছিলাম সে তা হারাম করে দেয়। শুধু তা-ই নয়, সে তাদেরকে আমার সাথে শরিক (অংশীদার) সাব্যস্ত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে, যে বিষয়ে আমি কোনো প্রমাণ পাঠাইনি।3
হালালকে হারাম বলা শিরকের মতো জঘন্য কাজ। মুশরিকদের মতে বাহিরা (বিদীর্ণ কানবিশিষ্ট উষ্ট্রী), সায়িবা (মুক্ত-স্বাধীন উষ্ট্রী), অসিলাহ (পরপর দুবার মাদি বাচ্চা প্রসবকারী উষ্ট্রী), হামি (প্রজননের জন্য ব্যবহৃত উট)-এর মতো বিভিন্ন হালাল প্রাণী খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। অথচ আল্লাহ তাআলার বিধানে এগুলো কখনোই নিষিদ্ধ ছিল না। শিরকের মতো এ ধরনের (হালালকে হারামকরণ) কর্মকান্ডেরও কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মহান আল্লাহ।
কোনো উটের পাঁচটি বাচ্চা হয়েছে। শেষ বাচ্চাটি হয়েছে মাদি। তাহলে নিয়ম ছিল সেই উটের কান কেটে উপাস্যদের নামে ছেড়ে দিতে হবে। এরপর এই উটের জবাই, তাতে আরোহণ ও বোঝা বহন সবই নিষিদ্ধ। এই উটের পানি পানে বা ঘাস খেতে বাধা দেওয়া গুনাহের কাজ। তারা একে বলত বাহিরা, যার অর্থ ‘কান-কাটা’।
কেউ সফর থেকে ফিরলে বা রোগমুক্ত হলে কিংবা বড়সড় বিপদ থেকে মুক্তি পেলে আরবের লোকেরা উপাস্যদের নামে উট উৎসর্গ করত। উৎসর্গিত প্রাণীকে তারা বলত সাইবা। অর্থাৎ যাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বকরি মাদি বাচ্চা জন্ম দিলে মুশরিকরা সেটাকে নিজেদের জন্য রাখত। আর নর বাচ্চা জন্ম নিলে, সেটা তারা উপাস্যদের জন্য জবাই করত। কোনো বকরি থেকে মাদি ও নর দুটোই এক সঙ্গে জন্ম নিলে তখন তারা বলত, মাদি বাচ্চা নর বাচ্চার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ফলে তারা নর বাচ্চাটাকে আর তাদের উপাস্যদের জন্য জবাই করত না। এই নর বাচ্চাটির নাম রাখা হতো ‘অসিলাহ’।
বড় উট নিজের বাচ্চার বাচ্চার সঙ্গে সংগমে লিপ্ত হলে, তারা বলত, এটি পিঠ রক্ষা করে ফেলেছে। তাই এতে চড়া বা বোঝা বহনের অনুমতি নেই। তাদের ভাষায় এর নাম ছিল ‘হামি’। এই শব্দগুলোর অর্থ সম্পর্কে আরো অনেক ধরনের মতামত ও ব্যাখ্যা আছে। [ এ শব্দগুলোর ব্যাখ্যার ব্যাপারে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। তবে সহিহুল বুখারিতে যে ব্যাখ্যা এসেছে, সেটাই অধিক বিশুদ্ধ। বর্ণনাটি সাইদ ইবনুল মুসাইয়িব রাহিমাহুল্লাহর উক্তি হিসেবে বর্ণিত হলেও শেষে ইমাম সহিতুল বুখারি রাহিমাহুল্লাহ ভিন্ন সনদে উল্লেখ করেছেন যে, এ ব্যাখ্যা তিনি আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছেন। বর্ণনাটি নিম্নরূপ-
সাইদ ইবনুল মুসাইয়িব রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, বাহিরা النجيزة জন্তুর স্তন প্রতিমার উদ্দেশে সংরক্ষিত থাকে কেউ তা দোহন করে না। সায়িবা উড়তে। যে জন্তু তারা তাদের উপাস্যদের নামে ছেড়ে দিত এবং তা দিয়ে বোঝা বহন করা হতো না। তিনি বলেন, আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনছু বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি আমর ইবনু আমির খুসায়িকে জাহান্নামের মধ্যে দেখেছি, সে তার নাড়িভুঁড়ি টানছে। সে-ই প্রথম ব্যক্তি, যে ‘সারিবা’ প্রথা চালু করে। অসিলাহ لوم। যে উাট্টা প্রথমবারে মাদি বাচ্চা প্রসব করে এবং দ্বিতীয়বারেও মাদি বাচ্চা প্রসব করে, ঐ উন্ট্রাকে তারা তাদের উপাস্যদের উদ্দেশে ছেড়ে দিত। হানি الخامي নর ডেট, যা দ্বারা কয়েকবার প্রজনন কার্য সম্পন্ন করা হ্যা। প্রজনন কার্য সমাপ্ত হলে সেটাকে তারা তাদের উপাস্যদের জন্য ছেড়ে দেয় এবং বোঝা বহন থেকে ওটাকে মুক্তি দেয়। সেটির ওপর কোনো কিছু বহন করা হয় না। এটাকে তারা ‘হাম’ নামে অভিহিত করত।
[সহিহ বুখারি: ৪৬২৩]
যাহোক, কুরআনে এই অবৈধকরণ প্রক্রিয়ার নিন্দা বর্ণিত হয়েছে কঠোর ভাষায়। এ ধরনের বিচ্যুতির ক্ষেত্রে বাপ-দাদার অনুসরণও নিষিদ্ধ। কুরআন বলছে-
مَا جَعَلَ اللَّهُ مِن بَحِيرَةٍ وَلَا سَائِبَةٍ وَلَا وَصِيلَةٍ وَلَا حَامٍ وَلَكِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَأَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا إِلَى مَا أَنزَلَ اللَّهُ وَإِلَى الرَّسُولِ قَالُوا حَسْبُنَا مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ شَيْئًا وَلَا يَهْتَدُونَ
আল্লাহ বাহিরা, সায়িবা, অসিলা ও হামি বিধিবদ্ধ করেননি। কিন্তু যারা কুফরি করেছে, তারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে থাকে। বস্তুত তাদের অধিকাংশ বোঝে না। আর যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তার দিকে ও রাসুলের দিকে এসো, তখন তারা বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যেটাতে পেয়েছি, সেটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। যদিও তাদের পূর্বপুরুষগণ (সঠিক ধর্মের) কিছুই জানত না এবং সৎপথপ্রাপ্তও ছিল না, তবু?4
মুশরিকদের মতে উট, গাভী, ভেড়া-বকরিসহ বিভিন্ন পশু হারাম ছিল। তাদের এ ধরনের অদ্ভুত কর্মকান্ডের সমালোচনায় ঠাট্টার সুরে কিন্তু লা-জাওয়াব ভাষায় আল্লাহ তাআলা বলেন-
ثَمَانِيَةَ أَزْوَاجِ مِنَ الضَّأْنِ اثْنَيْنِ وَمِنَ الْمَعْزِ اثْنَيْنِ قُلْ الذَّكَرَيْنِ حَرَّمَ أَمِ الْأَنْثَيَيْنِ أَمَّا اشْتَمَلَتْ عَلَيْهِ أَرْحَامُ الْأُنثَيَيْنِ تَبْئُونِي بِعِلْمٍ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ وَمِنَ الْإِبْلِ اثْنَيْنِ وَمِنَ البَقَرِ اثْنَيْنِ قُلْ الذَّكَرَيْنِ حَرَّمَ أَمِ الْأَنْثَيَيْنِ أَمَّا اسْتَمَلَتْ عَلَيْهِ أَرْحَامُ الْأُنْثَيَيْنِ أَمْ كُنتُمْ شُهَدَاءَ إِذْ وَصَّاكُمُ اللهُ بِهَذَا فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا لِيُضِلَّ النَّاسَ بِغَيْرِ عِلْمٍ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
(তিনি সৃষ্টি করেছেন) ৮ প্রকারের জোড়া। মেষ থেকে দুটি, ছাগল থেকে দুটি। আপনি বলুন, নরদুটিকে তিনি হারাম করেছেন নাকি মাদিদুটিকে? নাকি তা, যা মাদিদুটির পেটে আছে? তোমরা প্রমাণসহ আমাকে অবহিত করো, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো। আর উট থেকে দুটি এবং গাভী থেকে দুটি। আপনি বলুন, নরদুটিকে তিনি হারাম করেছেন নাকি মাদিদুটিকে? নাকি তা, যা মাদিদুটির পেটে আছে? অথবা তোমরা কি উপস্থিত ছিলে, যখন আল্লাহ তোমাদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছিলেন? সুতরাং তার চেয়ে অধিক যালিম কে, যে না জেনে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য আল্লাহর ওপর মিথ্যা অপবাদ দেয়? নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত করেন না।5
সুরা আরাফে আরেকটি সমালোচনা রয়েছে। ওখানে আল্লাহ তাআলা অবৈধকারীদের কাজের নিন্দার পাশাপাশি নিষিদ্ধতার নিরন্তন মূলনীতি বলে দিয়েছেন-
قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللَّهِ الَّتِي أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ ۚ قُلْ هِيَ لِلَّذِينَ آمَنُوا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا خَالِصَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ كَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ الْآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالْإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَأَن تُشْرِكُوا بِاللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَأَن تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ
আপনি বলুন, আল্লাহর শোভা-সৌন্দর্য, যা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্যবস্তুসমূহ কে হারাম করেছে? আপনি বলুন, পার্থিব জীবনে, বিশেষ করে কিয়ামতের দিনে এসব তাদের জন্য, যারা ঈমান আনে। এমনিভাবে আমি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত করি। আপনি বলুন, নিশ্চয় আমার রব হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা, পাপ, অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন, কোনো কিছুকে আল্লাহর অংশীদার করা-যার কোনো প্রমাণ তিনি নাযিল করেননি এবং আল্লাহ সম্পর্কে এমন কিছু বলা, যা তোমরা জানো না।6
এসব সমালোচনা ও বিতর্ক প্রায় সব মাক্কি সুরাতেই এসেছে। মাক্কি সুরাগুলোর মধ্যে সাধারণত গুরুত্ব পেয়েছে আকিদা, একত্ববাদ ও পরকালীন বিষয়াবলি। এতে বোঝা যায়, কুরআনের দৃষ্টিতে এগুলো আসলে মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কোনো শাখাগত বা ছোটখাটো বিষয় নয় মোটেও।
মাদানি জীবনে এসে আমরা দেখি, কিছু মুমিন কঠোরতা, বৈরাগ্য ও বৈধ জিনিসের মধ্যে সীমাবদ্ধতার দিকে ঝুঁকতে চেয়েছিলেন। তাদেরকে সতর্ক করার জন্য আল্লাহ তাআলা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় কিছু আয়াত অবতীর্ণ করলেন। ফলে তারা আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পথে ফিরে এসেছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
وَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي أَنتُم بِهِ مُؤْمِنُونَ
হে মুমিনগণ, আল্লাহ তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন সেগুলোকে তোমরা হারাম কোরো না এবং সীমালঙ্ঘন কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না। আর আল্লাহ তোমাদেরকে যে হালাল ও উৎকৃষ্ট জীবিকা দিয়েছেন তা থেকে খাও এবং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী।7
- সহিহ মুসলিম: ১৬৭০; সুনানু আবি দাউদ: ৪৬০৮ ↩︎
- মুসনাদ আহমাদ: ২৪৮৫৫; হাদিসুস সাররাজ: ২১৪৮; হাদিসটি হাসান। ↩︎
- সহিহ মুসলিম: ২৮৬৫; সহিবু ইবনি হিব্বান: ৬৫৩, ৬৫৪ ↩︎
- সুরা মায়িদা, আয়াত: ১০৩-১০৪ ↩︎
- সুরা আনআম, আয়াত: ১৪৩-১৪৪ ↩︎
- সুরা আরাফ, আয়াত: ৩২-৩৩ ↩︎
- সূরা মায়িদা ৮৭-৮৮ ↩︎
বইয়ের নামঃ হালাল হারামের বিধান
লেখকঃ ড. ইউসুফ আল কারযাভী
অনুবাদকঃ আসাদুল্লাহ ফুয়াদ
প্রকাশনাঃ সমকালীন প্রকাশন