গোসল ফরজ হলে, তখন গোসল না করে সেহরি খাওয়া যাবে কি।
গোসল ফরজ অবস্থায় নামাজ, কাবা ঘর তাওয়াফ, কুরআন শরীফ তেলাওয়াত ও কোরআন স্পর্শ করা এবং মসজিদে যাওয়া ছাড়া অন্য সব কাজ করা যায়। (সহীহ বুখারী ২৭৯) তাই সাহরিও খাওয়া যায়।
তবে অন্যান্য কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ না হলেও গোপনাঙ্গ ধৌত করা এবং কোনো কাজ করার আগে অযু করার বিষয়ে বেশ কিছু হাদীস রয়েছে। যেমন, আয়েশা রা. বলতেন
إذا أصابَ أحدُكُمُ المرأةَ ثمَّ أرادَ أن يَنامَ فلا يَنامُ حتَّى يتوضَّأَ وضوءَهُ للصَّلاةِ
তোমাদের কেউ যদি তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে এবং তারপর গোসল করার পূর্বে ঘুমানোর নিয়ত করে বা ইচ্ছা পোষণ করে, তাহলে সে যেন নামাযের অযুর মত অযু না করে না ঘুমায়।
(মুয়াত্তা মালিক ৭৭)
উল্লেখ্য যে, গোসল ওয়াজিব হওয়া সত্ত্বেও কোনো কারণ ছাড়াই এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হলে বা কাটিয়ে দেওয়া মারাত্মক গুনাহের কাজ। (বাদায়ে ১/১৫১)
عَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ: مَنْ فَاتَتْهُ الصَّلَاةُ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ
নওফেল বিন মুআবিয়া রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেন, যার নামায ফউত হয়ে যায়, যেন তার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল।
(মুসনাদে আহমাদ ২৩৬৪২)
তাই ফজরের নামাজের আগে গোসল করে নিবেন এবং সময়মত নামাজ আদায় করে নিবেন।
আল্লাহই ভালো জানেন