গীবত থেকে বাঁচার কিছু উপায়
গীবত হারাম,কবিরা গোনাহ। ‘গিবত‘ কোনো অবস্থাতেই জায়েজ নেই। তা সামনে হোক আর পেছনে হোক। এটা থেকে বাঁচার একটাই বড় উপায়, চুপ করে থাকা বা কম কথা বলা, যতটুকু না বললেই চলে ঠিক ততটুকু বলা।
হুটহাট করে কিছু বলে ফেলবেন না। কথা বলার আগে ভেবে চিন্তে কথা বলুন। এমনকি যতটুকু সম্ভব কম কথা বলাই ভালো, চুপ থাকাও একটা ইবাদত।
আপনার বন্ধু অথবা কাছের আত্নীয়র অনুপস্থিতিতে তাদের নামে ভালো কথাও বলবেন না। কারণ ভালো কথা বলতে গিয়ে শয়তান আপনাকে দিয়ে কখন যে গীবত করিয়ে নিবে আপনি টেরই পাবেন না।
অতি প্রয়োজন ছাড়া লোকসমাগম জায়গা এড়িয়ে চলুন। কেননা যেখানে মানুষ বেশি থাকে সেখানে গীবত ও বেশি হয়।
আপনার কাছে কেউ গীবত করলে তাকে থামিয়ে দিবেন। সম্ভব হলে বুঝিয়ে বলবেন। কারণ গীবত করা ও গীবত শোনা দুই টাই হারাম।
নিজেও যখন কথা বলতে বলতে গীবত করে ফেলবেন এবং হঠাৎ খেয়াল হবে আরে আমি তো গীবত করে ফেলতেছি সাথে সাথে থেমে যাবেন এবং তওবা করবেন।
অমুক কেমন জানি পোশাক পরে, অমুকের রান্না ভালো না, অমুক মোটা, অমুক কালো, দেখতে একদম ভালো না ইত্যাদি এই ধরনের কথা বলাও এক ধরনের গীবত। তাই এই ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অমুক এই এই কাজ গুলো ভালো করেনি। অমুকের এই এই স্বভাব ভালো না। অমুকের নামে এই এই বদনাম আছে। ওমুক আমার এই এই ক্ষতি করছে। এগুলো বলা মানে মানুষের দোষ নিয়ে কথা বলা যে টা গীবতের অন্তর্ভুক্ত।
এর পরেও যদি গীবত হয়ে যায়, তাহলে সাথে সাথে আস্তাগফিরুল্লহ্ অথবা দুই রাকাত নফল নামাজ পরে ফেলতে পারেন।
কাউকে নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে সেটা আমরা আল্লাহর কাছে বলব। পারলে তাকে ক্ষমা করে দিব। মানুষের কাছে এগুলো নিয়ে আলোচনা করে উল্টা আরো গোনাহ কামানো কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারেনা। অন্যের দোষ ঢেকে রাখলে আল্লাহ তার দোষ ঢেকে রাখবেন ইনশাআল্লাহ
মনে রাখবেন গীবত আমাদের নেক আমল গুলো ধ্বংস করে দিবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে এবং আপনাদেরকে আমল গুলো করার তাওফিক দান করুক।
আমিন
সংগ্রহীত