ঘরে খেলনার পুতুল থাকলে সালাত আদায়ের সময় করণীয় কী

আমার ছোট ভাই বোন তারা পুতুল দিয়ে খেলা করে কিন্তুু পুতুল ঘরে থাকলে তো ঘরে রহমতের ফেরেস্তা প্রবেশ করে না। আমি চাইলেও পুতুল গুলো সরাতে পারবো না এক্ষেত্রে আমার কী করণীয়?
আমি শুনেছি ফজর এবং মাগরিবের ওয়াক্তে রহমতের ফেরেশতা ঘরে প্রবেশ করে তাই ঐ সময়ে পুতুল গুলো লুকিয়ে রাখলে যথেষ্ট হবে কি?

আর যে ঘরে নামাজ পড়বো ঐ ঘরে পুতুল থাকলে কি কোনো সমস্যা আছে?

ঘরে কোন প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ইত্যাদি রাখা জায়েজ নেই। ঠিক তদ্রূপ বাচ্চাদের খেলনা পুতুলও রাখা জায়েজ নেই। (অবশ্য যদি সেগুলোর নাক, চোখ, মুখ, কান ইত্যাদি অবয়বগুলো মুছে দেওয়া হয় তাহলে তাতে কোন সমস্যা নেই ইনশাআল্লাহ)।

বহু হাদিসে সাব্যস্ত হয়েছে, “যে ঘরে কুকুর এবং প্রাণীর ছবি থাকে সেই ঘরে (আল্লাহর রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করে না।’

তাই অনতিবিলম্বে এগুলো থেকে ঘরবাড়িকে পরিষ্কার করা আবশ্যক। অন্যথায় বাড়ির প্রধান কর্তা ব্যক্তি এ জন্য গুনাহগার হবে। আপনার দ্বারা যদি সেগুলো ফেলে দেওয়া বা নষ্ট করা সম্ভব না হয় তাহলে এতে আপনি গুনাহগার হবেন না ইনশাআল্লাহ। কেননা তা আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।

যে ঘরে প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ইত্যাদি রয়েছে সে ঘরেও সালাত শুদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ। তবে উত্তম হলো, এসব থেকে মুক্ত অন্য কোনো ঘরে সালাত আদায় করা। কমপক্ষে সালাতের সময় এসব জিনিস কাপড় বা কোন কিছু দিয়ে ঢেকে রাখা।

আল্লাহ তৌফিক দান করুন। আমিন।

Exit mobile version