প্রচলিত ঈদে মীলাদুন্নাবী [সা.] উদযাপনের বিপক্ষে যারা লেখালেখি বা বলাবলি করছেন, তারা অবশ্যই সর্বোচ্চ সাবধানতার সাথে একাজ করবেন। পাছে আপনার ঈমানের ক্ষতি না হয়ে যায়। বিষয়টি যেহেতু প্রিয় নবীজি সা. এর পাক যাতের সাথে জড়িত এবং তাঁর ইশক ও মহব্বতের সাথে সম্পৃক্ত; সেহেতু যেনতেন ভাবে কথা বলা যাবে না। এটি অত্যন্ত সেনসেটিভ ও স্পর্শকাতর বিষয়। পাছে যদি আপনার লিখিত কোনো হরফ এবং উচ্চারিত কোনো শব্দ প্রিয়নবীজি সা. শানের খেলাফ হয় এবং তাঁর উচ্চ মর্যাদার পরিপন্থী হয়; তা হলে আপনার সমস্ত বুযুর্গী মুহূর্তে নষ্ট হয়ে যাবে। দীনের অন্য বিষয়ে সমালোচনা আর এ বিষয়ক সমালোচনা এক সমান নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন :
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَرۡفَعُوۡۤا اَصۡوَاتَکُمۡ فَوۡقَ صَوۡتِ النَّبِیِّ وَ لَا تَجۡہَرُوۡا لَہٗ بِالۡقَوۡلِ کَجَہۡرِ بَعۡضِکُمۡ لِبَعۡضٍ اَنۡ تَحۡبَطَ اَعۡمَالُکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَشۡعُرُوۡنَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না, এবং নিজেদের মধ্যে যেভাবে উচ্চস্বরে কথা বল তার সাথে সেরূপ উচ্চস্বরে কথা বলো না; এ আশঙ্কায় যে, তোমাদের সকল কাজ বিনষ্ট হয়ে যাবে অথচ তোমরা উপলব্ধিও করতে পারবে না।
(সূরা হুজুরাত : আয়াত-২)
আর যারা ঈদে মীলাদুন্নবী [সা.] এর উদযাপনের পক্ষে অতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন, তারা আল্লাহর ওয়াস্তে প্রতিপক্ষকে কাফির মুশরিক, গোস্তাখে রাসূল বলে হেয়প্রতিপন্ন করা হতে বিরত থাকুন। যে মুসলমান আপনার চাইতে হয়তো বেশি নামায রোযা করে, আপনার চাইতে বেশি নবীজির সুন্নাতের অনুসরণ করে; যারা ইত্তিবায়ে সুন্নাত ও ইকামতে দীনের আপনার চাইতেও বেশি অগ্রগামী; তাকে নবীজির দুশমন বলতে আপনার কলম ও ঠোট কাঁপা উচিত। নবীজির একজন উম্মতীর সাথে আপনার এমন আচরণ নবীজি সা.-কে চরম ব্যথিত করবে। মনে রাখবেন, দিন শেষে আমরা উভয়পক্ষ কিয়ামতের দিন নবীজির সামনে উপস্থিত হবো। সেখানে কি আপনি নবীজির মুত্তাবিয়ে সুন্নাহ একজন উম্মতিকে এভাবে গালাগাল করতে পারবেন?
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।