ডাক্তার জাকির নায়েকের পারিবারিক সাপোর্ট
এমন পরিবার কয়জনের ভাগ্যে জোটে! আমার বাবা ডাক্তার, আমার ভাই মুহাম্মদ ডাক্তার, আমিও ডাক্তার। তাদেরকে বললাম,
“দিনে দুই ঘন্টা দাওয়াত দেবো, বাকি সময় মেডিকেল প্র্যাকটিস করবো।”
তারা রাজী হলেন।
কিছুদিন পর বললাম,
“দিনের অর্ধেক সময় দাওয়াত দেবো, অর্ধেক সময় মেডিকেল প্র্যাকটিস করবো।”
তারা রাজী হলেন।
একবছর পর বললাম,
“আমি পুরোটা সময় দাওয়াতের পেছনে ব্যয় করবো, মেডিকেল প্র্যাকটিস করবো না।”
তারা বললেন, “কোনো অসুবিধে নেই!”
ডাক্তারি ছেড়ে দাঈ হবার সিদ্ধান্ত নিলে আমার পরিবার আমাকে বাধা তো দেয়নি, উল্টো তারা আমাকে সমর্থন করেছে, সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
আমি আর আমার ভাই মুহাম্মদ নায়েক মিলে একটি ডায়াগোনেস্টিক সেন্টার চালু করলাম। এই সেন্টারে আমি ৫০ ভাগের শেয়ারহোল্ডার, আমার ভাই বাকি ৫০ ভাগের।
আমার ভাই আমাকে বলল, “তুমি এসব নিয়ে ভেবো না। সেন্টারটি আমি একাই দেখাশোনা করবো। তোমার এখানে সময় দেবার দরকার নেই, তোমাকে এমনিতেই ৫০ ভাগের মুনাফা দেবো।”
আমি বললাম, “না না, আমার দরকার নেই।”
আমার বড় ভাই আমাকে জোর করে বললেন,
“দরকার আছে। তুমি তোমার দাওয়াত চালিয়ে যাও, আমি এদিকটা সামলাই।”
আমি আশা করি, দাওয়ায়ের মাধ্যমে আমার যতো সওয়াব হয়েছে, তার উল্লেখযোগ্য অংশ আমার ভাই মুহাম্মদ নায়েকও পাবেন। দাওয়াতের প্রথমদিকে টাকা-পয়সা নিয়ে আমাকে ভাবতে হয়নি। দাওয়াতের জন্য যতো টাকা লাগতো, পাঁচ হাজার, দশ হাজার, বিশ হাজার, চল্লিশ হাজার সব টাকার ব্যবস্থা আমার বাবা করতেন। তিনি আমাকে কখনো ‘না’ বলতেন না।