দাড়ি কামানো এবং সতর খোলা মানুষকে সালাম দেয়া যাবে কি?
আমার যতদূর মনে পড়ে ছোটবেলায় যখন মাদ্রাসায় পড়তে যেতাম, একদিন শিক্ষক এমন একটি বাক্য উচ্চারণ করেন যে, দুইজনকে সালাম দেওয়া জায়েজ নয়,
১. যে দাড়ি রাখে না অথবা কেমে ফেলে
২. যার সতর আবৃত নয়।
যে ব্যক্তি দাড়ি রাখে না বা দাড়ি নিয়মিত সেভ করে ফেলে বা সতর ঢেকে রাখে না সে ফাসিক। প্রকাশ্য ফাসিক বা তথা ফাসিকে মু’লিন।
সালাম এটি একটি সম্মানজনক এবং দুআ।
প্রকাশ্যে ফাসিক ব্যক্তি শরিয়া আইনকে সম্মান করে না। তাই তিনি নিজেও সম্মানের যোগ্য নন। এ কারণে এমন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া মাকরূহ।
তবে যদি সালাম না দেওয়ায় ফিতনার আশঙ্কা থাকে বা সালাম দেওয়া থেকে কোনো দ্বীনি উপকার হয়, যেমন ব্যক্তির গুনাহ ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা তাকে দাওয়াত দেওয়া সহজ হয়, তাহলে সালাম দেওয়া যেতে পারে।
يُكْرَهُ السَّلَامُ عَلَى الْفَاسِقِ لَوْ مُعْلِنًا وَإِلَّا لَا
وقال ابن عابدين رح- (قَوْلُهُ لَوْ مُعْلِنًا) تَخْصِيصٌ لِمَا قَدَّمَهُ عَنْ الْعَيْنِيِّ؛ وَفِي فُصُولِ الْعَلَامِيِّ: وَلَا يُسَلِّمُ عَلَى الشَّيْخِ الْمَازِحِ الْكَذَّابِ وَاللَّاغِي؛ وَلَا عَلَى مَنْ يَسُبُّ النَّاسَ أَوْ يَنْظُرُ وُجُوهَ الْأَجْنَبِيَّاتِ، وَلَا عَلَى الْفَاسِقِ الْمُعْلِنِ، وَلَا عَلَى مَنْ يُغَنِّي أَوْ يُطَيِّرُ الْحَمَامَ مَا لَمْ تُعْرَفْ تَوْبَتُهُمْ وَيُسَلِّمُ عَلَى قَوْمٍ فِي مَعْصِيَةٍ وَعَلَى مَنْ يَلْعَبُ بِالشِّطْرَنْجِ نَاوِيًا أَنْ يَشْغَلَهُمْ عَمَّا هُمْ فِيهِ عِنْدَ أَبِي حَنِيفَةَ وَكُرِهَ عِنْدَهُمَا تَحْقِيرًا لَهُمْ (رد المحتار، كتاب الحظر الاباحة، باب الاسبراء وغيره-9/595، زكريا)
وَاخْتُلِفَ فِي السَّلَامِ عَلَى الْفُسَّاقِ فِي الْأَصَحِّ أَنَّهُ لَا يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ، كَذَا فِي التُّمُرْتَاشِيِّ.
وَلَوْ كَانَ لَهُ جِيرَانٌ سُفَهَاءُ إنْ سَالَمَهُمْ يَتْرُكُونَ الشَّرَّ حَيَاءً مِنْهُ، وَإِنْ أَظْهَرَ خُشُونَةً يَزِيدُونَ الْفَوَاحِشَ يُعْذَرُ فِي هَذِهِ الْمُسَالَمَةِ ظَاهِرًا، كَذَا فِي الْقُنْيَةِ فِي الْمُتَفَرِّقَاتِ. (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية،الباب السابع فى السلام-5/326)
والله اعلم بالصواب