সাবধান! চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো এবং খালাতো ভাই-বোনের মেয়েরা আপনার জন্য মাহরাম নয়।
যেখানে স্বয়ং চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো এবং খালাতো ভাই-বোনরাই মাহরাম নয় সেখানে তাদের সন্তানদের মাহরাম হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। কারণ তারা সম্পর্কের দিক দিয়ে আরও নিম্ন স্তরের।
সুতরাং চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো এবং খালাতো ভাই কিংবা বোনের মেয়েরা ছেলের জন্য এবং ছেলেরা মেয়েদের জন্য মাহরাম নয়।
অতএব যদি শিশুকালে (দু বছর বয়সের মধ্যে শর্তানুযায়ী ) রাযাআত বা দুগ্ধপান জনিত কারণে তাদের মাঝে মাহরামিয়াত সাব্যস্ত না হয়ে থাকে তাহলে তাদের পারস্পারিক পর্দা রক্ষা করা ফরজ এবং তাদের মাঝে বিবাহ বন্ধন বৈধ।
এর বাস্তব প্রমাণ হল, আলি ইবনে আবু তালিবর রা. রাসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চাচাতো ভাই ছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর কন্যা ফাতিমা রা. এর সাথে আলি রা. এর সাথে বিয়ে দিয়েছেন।
তাছাড়া, আল্লাহ তাআলা কুরআনের সূরা নিসার ২৩ নং আয়াতে যে সব নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম করা হয়েছে তাদের একটি তালিকা উল্লেখ করেছেন। সেখানে চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো এবং খালাতো ভাই-বোনদের মেয়েদের কথা উল্লেখ করা হয় নি। এর পরের আয়াতেই তিনি বলেছেন,
وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاءَ ذَٰلِكُمْ أَن تَبْتَغُوا بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ
“এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থ (মোহর) এর বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়।”
(সূরা নিসা: ২৪)
অথচ বাস্তবতা হল, আমাদের সমাজে এ সকল মেয়েদেরকে আপন ভাই ও বোনের মেয়েদের মত ভাগ্নি বা ভাতিজি বলে গণ্য করা হয় এবং তারাও আপন চাচা-মামার মত মনে করে পর্দা করার প্রয়োজন অনুভব করে না! কিন্তু শরিয়তের দৃষ্টিতে তাদের মাঝে পর্দা রক্ষা করা ফরজ এবং অন্য কোন বাধা না থাকলে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে কোন সমস্যা নেই।
মূলত: এই চাচা-ভাতিজি বা মামা-ভাগনী সম্পর্ক কেবলই সমাজিক প্রচলন মাত্র।
আল্লাহ আমাদেরকে দীনের প্রকৃত জ্ঞান দান করুন এবং হালাল-হারাম বুঝে জীবন যাপনের তওফিক দান করুন। আমিন।