কমন মিস্টেকস ইন রামাদান – সঠিক সময়ে নামাজ পড়ুন
যেহেতু পৃথিবীর অনেক দেশে এশার নামাজের সময় অনেক দেরিতে হয়, কিছু লোক মনে করেন সময়ের আগে এশার নামাজ পড়া তাদের জন্য অনুমোদিত। তারা এশার নামাজকে মাগরিবের সাথে একত্রিত করে পড়েন, অথবা সময় হওয়ার আগেই এশার নামাজ পড়েন, যাতে তারাবির নামাজ পড়ার জন্য যথেষ্ট সময় পান। আমি বিষয়টা জেনে খুব অবাক হয়েছি যে মানুষ এভাবে চিন্তা করতে পারে। বস্তুত তারাবির নামাজ সুন্নত, এবং এশার নামাজ হচ্ছে ফরজ, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের একটি। সালাত ইমানের অন্যতম স্তম্ভ, এ প্রসঙ্গে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা বলেছেন –
إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتۡ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ كِتَٰبًا مَّوۡقُوتًا
নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।
[৪:১০৩]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা সালাত আমাদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত করেছেন, কাজেই আমরা আমাদের ইচ্ছামত সালাতের সময় নির্ধারণ করতে পারি না। রাসূল (সা.) বলেছেন জিব্রাইল (আ.) তাঁর কাছে দুইবার এসেছিলেন, তিনি তাকে ফজরের নামাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে পড়তে হয় তা শিখিয়েছিলেন। একইভাবে তিনি তাকে জোহর, আসর, মাগরিব, এশার নামাজও পড়তে শিখিয়েছিলেন। রাসূলকে (সা.) নামাজের সময় সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল। কাজেই এশার নামাজ সময়ের আগে পড়ার ব্যাপারে আপনার কোন অজুহাত থাকতে পারে না।
এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আপনাকে সময় মতোই এশার নামাজ পড়তে হবে এবং এ কারণে যদি আপনি তারাবির নামাজ নাও পড়তে পারেন, এবং আপনি নিজ ঘরে মাত্র কয়েক রাকাত এবং খুব সংক্ষিপ্ত ভাবেও যদি তারাবির নামাজ পড়েন, তাহলেও ঠিক আছে। সময়ের আগে নামাজ পড়লে আপনার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।
আমি জানি আপনারা হয়তো বিভিন্ন আলেম থেকে বিভিন্ন রকমের মতবাদ শুনে থাকবেন। বিশেষ করে যারা পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে বসবাস করছেন, এশার নামাজের সময় নিয়ে সেই দেশগুলোতে অনেক বিতর্ক আছে। অনেকেই ভিন্ন ক্যালেন্ডার ব্যবহার করেন, এবং বিভিন্ন ক্যালেন্ডার মধ্যে নামাজের সময়ের ব্যবধান অনেক বেশি। এক্ষেত্রে আপনাকে স্থানীয় ইমাম, সম্প্রদায়, এবং আলেমের ফাতওয়াকে অনুসরণ করতে হবে। তবে অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের আগে এশার নামাজ পড়বেন না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
সঠিক সময়ে নামাজ পড়ুন
পর্ব: ১৫
মূল: শাইখ ওয়ালীদ বাসাইউনি