কমন মিস্টেকস ইন রামাদান – অনুপ্রেরণার অভাব
রমজান মাসে মুসলিমরা সাধারণত যে ভুলগুলো করে থাকে তার মধ্যে একটি হল প্রথম কয়েকদিন পর উৎসাহ হারিয়ে ফেলা, এবং রমজান মাসের শেষ দশ দিনের জন্য ইবাদত এবং ভালো কাজগুলো রেখে দেওয়া। আমরা বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে রমজান মাস শুরু করি, মাঝখানে ঝিমিয়ে পড়ি, এবং শেষ দিকে এসে আবার ইবাদতের ব্যাপারে মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করি।
জীবনের সাধারণ বিষয়ে এবং আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপনের ব্যাপারে রাসুলের (সা.) শিক্ষা থেকে আমরা জানতে পারি ছোট ছোট ভালো কাজ যা আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্য ধারাবাহিকভাবে করি তাই আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য। ছোট ছোট এই ভালো কাজগুলো আপনার এবং আমার জীবনে নেক আমলের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে সহায়ক। আর এই উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং প্রতিদিনের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যদি সামনের দিকে এগিয়ে যাই, তবে তা আমাদেরকে এই রমজান মাসে উচ্চ ইবাদতের পর্যায়ে পৌঁছে দিবে ইনশাআল্লাহ।
সাধারণত মসজিদগুলোতে রোজার প্রথম ৫-৬ দিন পরে জামাতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কমতে দেখা যায়। অবশ্যই আমাদের শারীরিক সীমাবদ্ধতা তো রয়েছেই। কয়েকদিন রোজা রাখার পর স্বাভাবিকভাবে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি। এই ভুলটি এড়াতে আমরা নিজেদের যেভাবে সাহায্য করতে পারি তা হল প্রচুর পরিমাণে পানি সহ অন্যান্য তরল পান করা, অতিরিক্ত মিষ্টি এবং চর্বি জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা। এই খাবারগুলো আমরা পছন্দ করলেও, এ জাতীয় খাবার আমাদের অলস করে ফেলে। কিন্তু রমজান মাসে নামাজ পড়ার জন্য এবং অন্যান্য ইবাদতের জন্য আপনি হালকা বোধ করতে চান এবং স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে চান, তাই না?
আর এটাই কিন্তু আপনাকে সাহায্য করবে রমজান মাসে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
এছাড়াও আরো একটি উপদেশ এখানে যোগ করতে চাই, রমজান মাসের সাধারণ ভুলগুলো এড়িয়ে চলার জন্য এমন কিছু সম-মনা, ধার্মিক লোকের সাথে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন যারা আপনাকে তারাবি পড়তে অনুপ্রাণিত করবে, আপনাকে উৎসাহিত করবে ইবাদতের মাধুর্য এবং রমজান মাসের যথাযথ বারাকাহ আস্বাদন করতে। আল্লাহুম্মা আমীন!
অনুপ্রেরণার অভাব
পর্ব: ১৬
মূল: শাইখ ইয়াহিয়া ইব্ররাহিম