কমন মিস্টেকস ইন রামাদান – খাবার ভাগাভাগি করুন
রমজান মাসে অনেকেই আরও যে ভুলটি করে থাকে তা হল খাবার অন্যের সাথে ভাগ না করা এবং ইফতারে অন্যকে আমন্ত্রণ না জানানো। আমাদের রাসূল (সা.) বলেছেন –
ইসলামে সবচেয়ে ভাল কাজ হচ্ছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার খাওয়ানো’।[বুখারী হা/১২; মুসলিম হা/৩৯; মিশকাত হা/৪৬২৯] তাই ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানকারী ব্যক্তি সর্বোত্তম আমলকারী বলে গণ্য হবেন।
একে অপরের সাথে রুটি ছিঁড়ে ভাগাভাগি করে খান, একই বাটির খাবার ভাগ করে খান, দরকার হলে তরকারিতে ঝোল একটু বেশি দিন, যাতে আপনার প্রতিবেশীরাও খেতে পারে। বাড়িতে রোজাদারদের আমন্ত্রণ জানান, তাদের বাড়িতেও খাবার পাঠাতে পারেন। দূরত্বের কারণে যাদের সাথে আপনি দেখা করতে পারছেন না, উবারের মাধ্যমে তাদের জন্য খাবার ডেলিভারি করতে পারেন। রমজান মাসে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা আপনার উপর যে খায়ের এবং রহমত দিয়েছেন তা অন্যদের সাথেও ভাগ করে নিন।
এমন নয় যে আপনি অন্যদের সাথে যা কিছু ভাগ করছেন তা আপনার দখলদারিত্ব ছেড়ে চলে যাচ্ছে, বরং তা ফিরে আসবে আপনার কাছেই, আপনার বাড়ি, আপনার পরিবারের উপর আর্শিবাদ হয়ে। যখনই লোকেরা একত্রিত হয়ে এক প্লেট থেকে খায়, তখনই সেই প্লেটে, এবং তাদের পুষ্টিতে বারাকাহ নেমে আসে, বারাকা নেমে আসে তাদের বাড়িতে, অন্তরে এবং সমৃদ্ধিতে।
আল্লাহুম্মা আমীন!
একসাথে না খাওয়া বিশেষ করে একটি পরিবার হিসাবে, একটি ইউনিট হিসাবে, একটি বর্ধিত পরিবার হিসেবে, এমন কিছু যা সর্বদা এড়িয়ে চলা উচিত। এমনকি আমাদের রসুলের (সা.) সুন্নত এবং সম্পূর্ণ সিরাতে এমন কোন ঘটনা খুঁজে পাওয়া যায় না যেখানে নবীজি (সা.) একা খেয়েছেন, অন্যদের সাথে তাঁর খাবার ভাগ করেননি। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
কাজেই নিশ্চিত করুন এই ভুলটি আপনি এই রমজানে করবেন না। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আপনি যদি একজন ছাত্রও হন এবং হোস্টেলে থাকেন, আপনার খাওয়াটুকু মসজিদে নিয়ে আসুন এমনকি যদি তা হয় একটি খেজুর। এই খেজুরটিও আপনি ভাগ করে নিন অন্যের সাথে। কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন আপনি কতটা সৌভাগ্যবান যে আপনি আপনার খাওয়া অন্যদের সাথে ভাগ করছেন কল্যাণের উদ্দেশ্যে এবং পুরস্কৃত হওয়ার আশায়, কিছু হৃদয়কে একত্রিত করছেন ক্ষুধা নিবারণ এবং নিরাময়ের উদ্দেশ্যে। আল্লাহুম্মা আমীন!
খাবার ভাগাভাগি করুন
পর্ব: ১২
মূল: শাইখ ইয়াহিয়া ইব্ররাহিম