কমন মিস্টেকস ইন রামাদান – ইফতারে দেরী
আজকে আমরা রোজার মাসে যেই ভুলটির কথা উল্লেখ করব তা হল দেরি করে ইফতার করা। রাসুল (সাঃ) বলেছেন :
لا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا إفطاراً
মানুষ কল্যাণের উপর থাকবে যতক্ষণ তারা দ্রুত ইফতার করবে।
[সহিহ বুখারি: ১৯৫৭]
সব উলামায়ে কেরাম এই বিষয়ে একমত হয়েছেন যে মাগরিবের আজান দেওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা বাঞ্ছনীয়। যে মুহূর্তে মুয়াজ্জিন আল্লাহু আকবার বলবে সেই মুহূর্তে উপবাস ভঙ্গ করতে হবে।
আমর ইবনে মায়মুন বলেছেন, সাহাবায়ে কেরামরা সর্বপ্রথম তাদের রোজা ভঙ্গ করতেন এবং যখন সেহরীর সময় হত তখন তারা ফজরের ঠিক আগ পর্যন্ত তা বিলম্বিত করতেন। এই বর্ণনা গুলো আমাদেরকে তাড়াতাড়ি ইফতার করতে উৎসাহিত করে।
কিন্তু মানুষ সাধারণত এই ভুলটি করে থাকে। অনেক সময় তারা আযানের পর আরো পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে চায় নিরাপদে থাকার জন্য। কিন্তু মুয়াজ্জিন যদি বিশ্বস্ত হন এবং সময় মত আযান দেন, তবে আপনার উচিত আযানের সাথে সাথেই ইফতার করা। আবার কিছু লোককে আজানের সময় দু’আ করতে দেখা যায়। সবাই যখন ইফতার করছে কিছু লোক তখন হাত উঠিয়ে দু’আ করছে – এই দৃশ্য অনেক সময় মসজিদে দেখা যায়। কিন্তু সুন্নত হলো সেই সময়ে রোজা ভঙ্গ করা, দু’আ করা নয়, অবশ্য উভয়ের সংমিশ্রণে কোনো ক্ষতি নেই।
আরো একটি সাধারন দৃশ্য হলো আজান শুরু হলে মানুষ নিজে রোজা না ভেঙ্গে অন্যকে পরিবেশন করতে শুরু করে। আগে নিজে রোজা ভাঙ্গুন তারপর অন্যকে পরিবেশন করুন, আজান হওয়ার সাথে সাথেই রোজা ভেঙ্গে নিন। আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তা’য়ালা যেন আমাদের সবার কাছ থেকে কবুল করে নেন।
ইফতারে দেরী
পর্ব: ২
মূল: শাইখ ওয়ালীদ বাসাইউনি