ছোট দোয়া

দ্বীনের উপর অটল থাকার দোয়া
শাহর বিন হাওশাব (রাঃ) উম্মু সালামা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘নবী (ﷺ) তার কাছে অবস্থান করার সময় কোন দোয়াটি সবচেয়ে বেশি পড়তেন?’ তিনি বলেন, তিনি যে দোয়াটি সবচেয়ে বেশি পড়তেন তা হলো –

يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلَى دِيْنِكَ
ইয়া- মুকাল্লিবাল ক্কুলূবি সাব্‌বিত ক্কাল্‌বী ‘আলা- দীনিক্‌
হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর অটল রাখো।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “হে আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) আপনি এ দোয়াটি অধিক পরিমাণে পড়েন কেন?” নবী (ﷺ) বলেন, “হে উম্মু সালামা (রাঃ)! এমন কোনও আদম (আঃ)-সন্তান নেই, যার ক্বলব আল্লাহ্‌র দু আঙুলের মাঝখানে নেই; তিনি যাকে চান সোজা রাখেন, আর যাকে চান বাঁকা করে দেন।”1

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে ব্যক্তি বলে : আমি আল্লাহকে রব্ব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রসূল হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছি, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে।2

মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ….আবদুল্লাহ (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি এ বলে দুআ করতেন,

“আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল হুদা ওয়াত তুকা ওয়াল “আফা-ফা ওয়াল গিনা” অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পথনির্দেশ, আল্লাহভীতি, চারিত্রিক উৎকর্ষতা ও সচ্ছলতার জন্য দুআ করছি।”3

শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে দোয়া

اَللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيعَ الْحِسَابِ، اِهْزِمِ الْأَحْزَابَ، اَللَّهُمَّ اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা মুনঝিলাল কিতা-বি সারী‘আল হিসা-বি ইহ্‌ঝিমিল আহ্‌যা-বা, আল্লা-হুম্মাহ্‌ ঝিমহুম ওয়া ঝালযিলহুম
অর্থঃ হে আল্লাহ্‌, কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করুন। হে আল্লাহ্‌! আপনি তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে দিন।4

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর

‘রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা আংতাত তাওয়্যাবুর রাহিম।’

‘হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।’

নিয়ম : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।’

এই কালেমাগুলো আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন, পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের চইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়5

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন—

‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়।’6

সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী

আল্লাহুম্মা ইন্নি আস’আলুকা আল- জান্নাতা ওয়া আউযু বিকা মিনান্নার

আল্লা-হুম্মা মুনঝিলাল কিতা-বি সার’আল হিসা-বি ইহজিমিল আহযা-বা, আল্লা-হুম্মাহ ঝিমহুম ওয়া ঝালযিলহুম

আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আসআলুকাল হুদা ওয়াত তুক্কা, ওয়াল আফা-ফা ওয়াল গিনা

রাদিতু বিল্লাহি রব্বাও ওয়া বিল ইসলামি দিনাও ওয়া বিমুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাবিয়্যা।

ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুবি সাব্বিত কালবি আলা দ্বিনিকা।

অর্থ : হে মনের গতি পরিবর্তনকারী, আমার মনকে আপনার দ্বিনের ওপর স্থির করুন।

সূত্র: উম্মে সালমা (রা.) বর্ণনা করেন, অন্তরের দৃঢ়তার জন্য রাসুল (সা.) এই দোয়া বেশি বেশি পড়তেন।7

  1. সহীহ তিরমিযী: ৩৫২২ ↩︎
  2. সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৯ ↩︎
  3. সহিহ মুসলিম: ২৭২১ ↩︎
  4. সহিহ বুখারী: ২৯৩৩ ↩︎
  5. সহিহ মুসলিম: ৩/১৬৮৫ ও ৪/২০৭২ ↩︎
  6. তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৪৬৪ ↩︎
  7. তিরমিজি, হাদিস : ৩৫২২ ↩︎
Exit mobile version