বৃষ্টি নামাতে কতই না আয়োজন
বৃষ্টি নামাতে চীন মেঘের উপর ছেটাচ্ছে রাসায়নিক উপাদান আর আরব আমিরাত ছেটাচ্ছে লবণ।
এটা নিয়ে অনেকেরই মনে খটকা আবার অনেকেরই বিজয় উল্লাস! খটকা এই কারণে যে; তাহলে কি ধীরে ধীরে মানুষ বৃষ্টির জন্য নামাজ এবং দুয়া করা ছেড়ে দিবে! বৃষ্টি কি রবের তরফ থেকে না এসে মানুষরাই মেঘ বৃষ্টির নিয়ন্ত্রক হয়ে যাবে!
আবার বিজ্ঞান পূজকরা এই ক্লাউড সিডিং পদ্ধতিতে বৃষ্টি নামানোর এই প্রকৃয়াকে বাহবা দিয়ে বিজ্ঞানের জয়জয়কার গাইছে!
তারা এমনভাবে বিষয়টাকে দেখাচ্ছে যে; যেখানে বৃষ্টি নামানোর জন্য রাসায়নিক উপাদান আছে, সোডিয়াম ক্লোরাইড আছে, ইউরিয়া আছে, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, উন্নত যন্ত্রপাতি আছে । সেখানে সেই ১৪০০ বছর আগের পুরোনো রীতি অনুযায়ী স্রষ্টার কাছে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ে কান্নাকাটি করাটা হাস্যকর নয় কি!
অথচ বিষয়টি পানির মতোই স্পষ্ট যে, জমিন থেকে স্যালো পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলন করা আর আকাশের মেঘকে ঘনীভূত করে পানি নিয়ে আসার ভেতর কোনো পার্থক্য নেই ! এটা নিয়ে উলু ধ্বনি দেওয়ার কিছু নেই। পানি উপর থেকে আনুন আর নিচ থেকে আনুন, পানি তো সৃষ্টি করছেন না আপনি! বরং একটু গভীর ভাবে আমাদের সীমাবদ্ধতার কথাগুলো তো ভাবুন!
মেঘ থেকে যে পানি নামানো হচ্ছে, সেই মেঘ কিভাবে সৃষ্টি হয়? নদ, নদী, পুকুর, সাগর ইত্যাদির পানি থেকে। তাই তো?
এখন যদি এই পানি গুলো হঠাৎ উধাও হয়ে যায় এবং ভূ-গর্ভস্থ পানিও যদি নিচে নামাতে নামাতে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। তবে কিভাবেই বা আপনি মেঘ তৈরি করবেন? আর কিভাবেই বা মেঘ থেকে বৃষ্টি নামাবেন?
ঠিক এ কথাটাই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন —
“তোমরা ভেবে দেখেছ কি? কোনো এক ভোরে যদি পানি ভূ-গর্ভে তোমাদের নাগালের বাইরে চলে যায় তাহলে কে তোমাদেরকে এনে দিবে প্রবাহমান পানি?” [সূরা আল মূলক : আয়াত ৩০]
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, পানির উৎসটাই যদি আয়ত্তের বাইরে চলে যায় তাহলে পৃথিবীর সমস্ত রাসায়নিক উপাদানই দিয়ে, পৃথিবীর সমস্ত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে একফোঁটা পানি তৈরি করাও সম্ভব নয়!
অতএব দেখা যাচ্ছে, ঘুরেফিরে ওই রবের কাছেই নামাজ দুয়া কান্নাকাটি করা ছাড়া আর আমাদের অন্য কোনো উপায়েই নেই!