বিজ্ঞান সিরিজ – ০৬ প্রিফ্রন্টাল এরিয়াঃ বিস্ময়কর আয়াত
পৃথিবীতে যারা মিথ্যাচারী, পাপী ও সীমালংঘনকারী তাদের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- “কখনো নয়, সে যদি বিরত না হয় তবে আমরা তাকে অবশ্যই হেঁচড়ে নিয়ে যাব, মাথার সামনের চুলের গুচ্ছ ধরে।”
(সূরা আলাক: ১৫-১৬)
এই আয়াত সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত আছি। অনেক জায়গায় পড়েছিও! যে; আল্লাহ তাআ’লা অপরাধীদের মাথার সামনের চুল ধরে হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার শাস্তি রেখেছেন। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন তিঁনি ঠিক মাথার সামনের চুলটাই কেন ধরার নির্দেশ দিবেন?
এই কেশগুচ্ছের কি কোন বিশেষ গুরুত্ব আছে? নাকি এটা স্রেফ শাস্তির জন্য ব্যবস্থা মাত্র!
আপনি জানলে অবাক হবেন যে, মাথার সামনের কেশগুচ্ছ ধরার বিশেষ একটা কারণ আছে! বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে মানুষের সামনের কেশগুচ্ছোর নিচে তথা মাথার অগ্রভাগে মস্তিষ্কের যে অংশ থাকে তা হচ্ছে সেরেব্রামের প্রিফ্রন্টাল এরিয়া। Gray’s Anatomy অনুযায়ী “মানুষের পরিকল্পনা, কর্মের সিদ্ধান্ত এবং ভাল অথবা খারাপ কাজের সিদ্ধান্তের উৎস হচ্ছে প্রিফ্রন্টাল এরিয়া”।
অর্থাৎ মানুষ খারাপ কাজ করবে না ভাল কাজ করবে তার সিদ্ধান্ত হয় মাথার সম্মুখপ্রান্তের কেশগুচ্ছের নিচে অবস্থিত প্রিফ্রন্টাল এরিয়াতে। যেটি চিকিৎসা বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে মাত্র এই শতকে।
অথচ মহাপ্রজ্ঞাময় স্রষ্টা তাঁর পবিত্র বাণীতে অন্তর্নিহিত ইঙ্গিতের মাধ্যমে এই সত্য উপস্থাপন করেছেন। যাঁরা চিন্তাশীল তাদের জন্য এতে নিদর্শন রয়েছে।
এসব ভেবে ভেবে আরও বেশি করে মাথা নুইয়ে দেওয়া উচিত সেই মহা প্রতিপালকের দুয়ারে৷ তিঁনি তো আমাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য সৃষ্টি করেননি বরং পুরস্কারই দিতে চান। কিন্তু আমরাই সেই অপরিসীম ক্ষমাশীলের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াই!
ক্ষণিকের রঙিন দুনিয়ার ফাঁদে পড়ে আখিরাতকে ডুবিয়ে দেই। তাই সময় থাকতে আসুন কোরআন নিয়ে চিন্তা গবেষণা করি।
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন-
“তারা কি এই কুরআন সম্পর্কে চিন্তা গবেষণা করে না? নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ”
(সূরা মুহাম্মদ: ২৪)
কসমোলজি অফ মাস্টার প্লানার
বিজ্ঞান সিরিজ – ০১
বিজ্ঞান সিরিজ – ০২
বিজ্ঞান সিরিজ – ০৩
বিজ্ঞান সিরিজ – ০৪
বিজ্ঞান সিরিজ – ০৫