বিদায় দেয়ার সুন্নাহ
বিদায় দেয়ার সুন্নাহ:
আমরা গুড বাই, টা-টা, হাত নেড়ে বিদায় জানিয়ে থাকি। বিদায় বেলায় নানা রকম সংস্কৃতি প্রচলন রয়েছে আমাদের মাঝে। আল্লাহ হাফেজ, খোদা হাফেজ, মাআসসালাম এগুলোর মতোও পদ্ধতি চালু রয়েছে। আজ আমরা জানবো বিদায় বেলার সুন্নাহ পদ্ধতি….
প্রিয় নবী (ﷺ) বিদায় বেলায় –
১. ওই ব্যক্তিকে সালাম দিতেন।
২. অনেকক্ষণ ধরে ওই ব্যক্তির সাথে মুসাফা করতেন।
৩. নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করতেন – “ আসতাওদি উল্লা-হা দ্বীনাক, ওয়া আমা-নাতাকা, ওয়া খাওয়া-তীমা আমালিক ”। অর্থাৎ (তোমার দ্বীন , ঈমান ও সর্বশেষ আমলের ব্যাপারে আমি আল্লাহ তা’আলাকে আমানতদার নিযুক্ত করলাম)
খোদা হাফেজ দিয়ে যদিও আমরা আল্লাহকে বুঝিয়ে থাকি কিংবা যুগ যুগ ধরে আলেম উলামারা এটা ব্যবহার করে আসছে তথাপি খোদা নামটি আল্লাহর গুনবাচক নাম নয় তাই আল্লাহ বলা উচিত। কেননা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা বলেন –
“ আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক ”।
[সূরা আরাফ : ১৮০]
আল্লাহ হাফেজ মানে – আল্লাহ সংরক্ষণকারী, হেফাজতকারী। অর্থের দিক থেকে এটা সন্দেহাতীত ভালো।
ফি-আমানিল্লাহ মানে – আল্লাহর নিরাপত্তায়। অর্থাৎ আল্লাহর নিরাপত্তায় আপনাকে দিয়ে দিলাম।
এই কথাগুলো ভালো মৌলিক ভাবে মন্দ কিছু নয় তবে প্রতিটি মুসলিম যদি তার চলনে-বলনে, উঠা-বসায় নবী (ﷺ) এর সুন্নাহকে অনুসরণ করে সেটাই তার জন্য কল্যানকর ও ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয়।
অতএব আল্লাহ হাফেজ, ফি-আমানিল্লাহ বলে বিদায় দেওয়া জায়েজ। এতে সমস্যা নাই তবে উত্তম হল সুন্নাহ সহকারে বিদায় দিয়ে আসতাওদি উল্লা-হা দ্বীনাক বলা।
[বি.দ্র : আমরা চাইলেই দোয়াটি মুখস্থ করতে পারি কিন্তু কেউ যদি অপারগ হই তাহলে আসতাওদি উল্লা-হা দ্বীনাক কিংবা আসতাওদি উল্লা-হা বললেও চলবে।]
মূল : শায়খ আহমাদুল্লাহ