আয়-রোজগার কমে যাচ্ছে, ইনকাম করছেন কিন্তু তা দিয়ে জীবন চালানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে!
একই রকম পরিশ্রম আগেও করেছেন কিংবা এই একই ইনকাম দিয়ে আগে চলত, এখন চলছে না!
অনেক চেষ্টা করেও কোন চাকরির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না!
এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা অনেকেই হচ্ছি। ঠিক কী কারনে এমন হচ্ছে তা আমরা অধিকাংশ মানুষই জানি না।
আল্লাহ ﷻ বলেছেন,
আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন।1
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
একমাত্র যে কারণে বান্দাকে রিযিক থেকে বঞ্চিত রাখা হয় তা হচ্ছে, গুনাহের কাজে লিপ্ত থাকা।2
আমরা জেনেশুনে কিংবা নাজেনে গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাই, গুনাহের পরিণাম সম্পর্কে ভাবি না, তোয়াক্কা করিনা অথবা অবহেলা করি।
ওয়াক্তের নামাজ সম্পর্কে আমরা উদাসীন, শেষ কবে কুরআন তিলাওয়াত করেছি মনে নাই!
তাহলে আমাদের জীবনে অভাব অনটন আসবে নাতো কার জীবনে আসবে?!
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এবং হাদিসের মাধ্যমে রিযিক তথা জীবিকা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন। যেমন:
- একনিষ্ঠভাবে এক আল্লাহর ইবাদাত ও সৎকর্ম করা।3
- বেশী পরিমাণে সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করা ও ইস্তেগফার পড়া। (সূরা নুহ: ১০-১২)
- সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করে চলা। (সূরা আত তালাক: ০২)
- বেশী বেশী পবিত্র বা বৈধ রিযিকের জন্যে দোয়া করা। (সূরা বাকারাহ: ১৮৬)
- দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর উপর ভরসা করা। (সূরা আত তালাক: ০৩)
- অসহায় দরিদ্রদের সাহায্য করা। (সহিহ বুখারি: ২৮৯৬)
- হজ্জ্ব/ওমরাহ করা। (সুনানে তিরমিযি: ৮১০)
- আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। (সহিহ বুখারি: ২০৬৭)
- সকাল সকাল ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। (সুনান আবু দাউদ: ২৬০৬)
- ফজরের সালাত জামাতের সাথে আদায় করা। (সহিহ মুসলিম: ৬৫৭)
আপনি আল্লাহর পথে চলুন, আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে হিফাজত করবেন। আল্লাহ তা’য়ালা আপনার রিযিকের ব্যবস্থা করবেন ইন শা আল্লাহ।
- নিয়মিত সালাত আদায় করুন,
- কুরআন তিলাওয়াত করুন,
- দান করুন,
- নফল ইবাদাতে মনযোগী হউন,
- সুন্দর আচরণ করুন।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করুন।