Writing

আসমাউল হুসনা – আল-হাদী

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে দুইবার নিজেকে আল-হাদী – পথপ্রদর্শক – বলেছেন। তিনিই নিখুঁত নির্দেশনা প্রদানকারী। আল-হাদী হলেন তিনি, যার দ্বারা বিশ্বাসীরা পরিচালিত হয় এবং যার সাধারণ দিকনির্দেশনা দ্বারা সমস্ত প্রাণী তাদের জন্য কল্যাণকর বিষয়ের দিকে ধাবিত হয়!

আল-হাদী এসেছে ه-د-ي এর মূল থেকে যা দুটি প্রধান অর্থ নির্দেশ করে: প্রথম অর্থ হল সঠিক পথ প্রদর্শন করা বা সঠিক পথে পরিচালিত করা। দ্বিতীয় অর্থ হল দয়ার সাথে সঠিক পথ প্রদর্শন করা এবং লক্ষ্যে পৌঁছা পর্যন্ত সঠিক পথে পরিচালিত করা।

এই মূলটি কুরআনে ৩১৬ বার বারোটি উদ্ভূত রূপে এসেছে। এই রূপগুলির উদাহরণ হল الْهُدَىٰ – আল-হুদা (নির্দেশনা), يَهۡدِى ইয়াহদী (পথপ্রদর্শক), هدية – হাদিয়াতিন (উপহার), আল-হাদি (কোরবানির পশু), এবং الْمُهْتَدِينَ – আল-মুহতাদীন (সঠিক পথ প্রাপ্ত/নির্দেশিত ব্যক্তি)।

ভাষাগতভাবে, هَدَى হলো ক্রিয়াপদ যার অর্থ পথপ্রদর্শন করা, এবং هداية মানে শুধু নির্দেশনা নয়; এটি একটি নম্র এবং সদয় উপায়ে নির্দেশনাকেও বোঝায়। আল্লাহ ‘আজ্জা একমাত্র প্রকৃত পথপ্রদর্শক, যিনি তাঁর সৃষ্টিকুলকে হেদায়েত করেন। আল-হাদী আমাদেরকে পথ দেখানোর জন্য মহাবিশ্বে নিদর্শন তৈরি করেছেন, যেমন চাঁদ, সূর্য, নক্ষত্র। এছাড়াও তিনি সত্যের প্রতি আমাদের হৃদয়ের আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা এবং ইন্দ্রিয়ের শারীরিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন, যা আমরা বিপদ সনাক্ত করতে ব্যবহার করি।

আল-হাদী নিজেই বলেছেন-

...وَإِنَّ ٱللَّهَ لَهَادِ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسۡتَقِيمٍ
.....আর যারা ঈমান এনেছে, নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শনকারী।1
وَكَذَٰلِكَ جَعَلۡنَا لِكُلِّ نَبِىٍّ عَدُوًّا مِّنَ ٱلۡمُجۡرِمِينَۗ وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ هَادِيًا وَنَصِيرًا
আর এভাবেই আমি প্রত্যেক নবীর জন্য অপরাধীদের মধ্য থেকে শত্রু বানিয়েছি। আর পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারী হিসেবে তোমার রবই যথেষ্ট।2

চার প্রকার হেদায়েত:

আলেমগণ আল্লাহ ‘আজ্জা ওয়া জাল’-এর নির্দেশনাকে চারটি ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথমটি হল হিদায়াত- আল-আ’ম্মাহ বা সাধারণ নির্দেশনা, যা উদ্ভিদ, খনিজ, প্রাণী, ইত্যাদি সহ সমগ্র সৃষ্টির জন্য রয়েছে; সবাই তাদের জন্য সর্বোত্তম পদ্ধতিতে আল-হাদী দ্বারা পরিচালিত হয়। একটি উদাহরণ হল মৌমাছি এবং এর কার্য প্রক্রিয়া, পাখির স্থানান্তর, নবজাতকের দুধ পান করা, ইন্দ্রিয়ের কার্যপ্রক্রিয়া।

قَالَ رَبُّنَا ٱلَّذِىٓ أَعۡطَىٰ كُلَّ شَىۡءٍ خَلۡقَهُۥ ثُمَّ هَدَىٰ
মূসা বলল, ‘আমাদের রব তিনি, যিনি সকল বস্তুকে তার আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর সঠিক পথ নির্দেশ করেছেন’3

দ্বিতীয় প্রকার হেদায়াতকে হিদায়াত-আল-জিন-ওয়াল-ইনস হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে; এটি জিন ও মানবজাতির জন্য পথনির্দেশনা, এবং আল্লাহ ‘আজ্জা ওয়া জাল’ তাঁর প্রেরিত নবী ও রসূলদের মাধ্যমে ভালো ও মন্দের পথ নির্ধারণ করেছেন।

وَإِنَّكَ لَتَهۡدِىٓ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسۡتَقِيمٍ
আর নিশ্চয় তুমি সরল পথের দিক নির্দেশনা দাও।4

তৃতীয় প্রকারের হেদায়াত হল তাওফীক (সামর্থ্য) এবং অনুপ্রেরণা (বা ইলহাম) দ্বারা পরিচালিত। এর একটি উদাহরণ হল: আপনি যখন দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিয়ে যান, আপনি আল-হাদীর প্রতি দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস প্রদর্শন করেন।

مَآ أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٍ إِلَّا بِإِذۡنِ ٱللَّهِۗ وَمَن يُؤۡمِنۢ بِٱللَّهِ يَهۡدِ قَلۡبَهُۥۚ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَىۡءٍ عَلِيمٌ
আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন বিপদই আপতিত হয় না। যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আল্লাহ তার অন্তরকে সৎপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ে সর্বজ্ঞ।5

আপনার জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার সুন্দর পরিসমাপ্তি হয়, যেমন আপনি এমন কিছু শুনেন যা আপনার শোনার প্রয়োজন ছিল, অথবা কারো সাথে সঠিক সময়ে আপনার সাক্ষাৎ হলো যার খুব প্রয়োজন ছিল। এসব সবই আল্লাহর নির্দেশনার রূপ।

আর চতুর্থ প্রকারের হেদায়েত হল ধার্মিক মুমিনদের জন্য পরকালে সাফল্যের পথনির্দেশ।

وَنَزَعۡنَا مَا فِى صُدُورِهِم مِّنۡ غِلٍّ تَجۡرِى مِن تَحۡتِهِمُ ٱلۡأَنۡهَٰرُۖ وَقَالُواْ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ ٱلَّذِى هَدَىٰنَا لِهَٰذَا
আর তাদের অন্তরে যে ঈর্ষা ছিল, আমি তা বের করে নিয়েছি। তাদের নীচ দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত হবে। আর তারা বলবে, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি এর জন্য আমাদেরকে হিদায়াত দিয়েছেন।6

আল্লাহর এই নামটিকে নিজের জীবনে কিভাবে প্রয়োগ করবেন?

নির্দেশনা চাইতে থাকুন। আপনি যদি আন্তরিকভাবে সত্যের সন্ধান করেন তবে আল-হাদী আপনাকে এর দিকে পরিচালিত করবেন। একজন মুমিন হিসাবে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৭ বার নামাজ পড়ার সময় আপনি বলেন: ‘ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম‘– আমাদের সরল পথে পরিচালিত করুন। যখন আপনি ইতিমধ্যেই ইসলাম দ্বারা পরিচালিত, তখন কেন আপনি নির্দেশনা চাইতে থাকবেন?
কারণ সঠিক পথনির্দেশনা অর্জনের জন্য বিভিন্ন স্তরের দিকনির্দেশনা রয়েছে এবং এর জন্য আপনার ক্রমাগত হেদায়তের প্রয়োজন; আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে যে কেউ বিভ্রান্তি থেকে নিরাপদ নয়।

যখন আপনি ‘ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম‘ বলেন তখন তা অনুভব করুন।
এগুলি হল প্রকৃত নির্দেশনার স্তর: সত্যকে জানার জন্য জ্ঞানের দিকনির্দেশনা, নির্দেশিত হওয়ার ক্ষমতা, নির্দেশিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, এর উপর আমল করা এবং তাতে অবিচল থাকা; হেদায়েতের জন্য আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের পথে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা; অন্য যেকোন প্রয়োজনের উপর আল্লাহ’আজ্জা ওয়া জালের নির্দেশনার জন্য আপনার নিজের মরিয়া হাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা; এবং আপনাকে বিপথগামী করে এমন পথটাকে চিনে নেওয়া।7 তাই পরের বার যখন আপনি বলবেন ‘আমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করুন‘ তখন তা অনুভব করে বলবেন। আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছ থেকে সমস্ত স্তরের দিকনির্দেশনা অর্জনের জন্য অনুরোধ করুন।

প্রতিটি বিষয়ে আল-হাদীর কাছ থেকে নির্দেশনা চান। জীবনের জটিল পরিস্থিতিতে যখন আপনি খেই হারিয়ে ফেলেন, কিংবা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন, তখন অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়ার আগে আল্লাহ আজ্জা ওয়া জালের দিকে ফিরে আসুন। তাঁর কাছে নির্দেশনা চাওয়ার সময় আপনি এই সুন্দর নামটি ব্যবহার করতে পারেন – যেমন ইয়া হাদী দিয়ে আপনার প্রার্থনা শুরু করুন। কেউ বা কোন কিছু যদি আপনাকে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে, তবে জেনে রাখুন তা প্রকৃতপক্ষে আল-হাদী থেকে এসেছে। হেদায়ত অন্বেষণের একটি উপায় হল সুন্নত ইস্তাখারার নামায পড়া।

আপনার প্রতি তাঁর হেদায়েত বৃদ্ধি করতে কৃতজ্ঞ হোন এবং ভাল কাজ করুন। জান্নাতবাসীরা বলবেন –

.... ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ ٱلَّذِى هَدَىٰنَا لِهَٰذَا وَمَا كُنَّا لِنَهۡتَدِىَ لَوۡلَآ أَنۡ هَدَىٰنَا ٱللَّهُۖ
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি এর জন্য আমাদেরকে হিদায়াত দিয়েছেন। আর আমরা হিদায়াত পাওয়ার ছিলাম না, যদি না আল্লাহ আমাদেরকে হিদায়াত দিতেন।8

চিন্তা করে দেখুন হেদায়তই (নির্দেশনা) আপনার জীবনে শ্রেষ্ঠ হাদিয়া (উপহার)। তাই এর জন্য প্রতিদিন আজ্জা ওয়া জালকে ধন্যবাদ দিন।

إِنَّا هَدَيۡنَٰهُ ٱلسَّبِيلَ إِمَّا شَاكِرًا وَإِمَّا كَفُورًا
অবশ্যই আমি তাকে পথ প্রদর্শন করেছি, হয় সে শোকরকারী অথবা অকৃতজ্ঞ।9

হেদায়েতের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানানোর আরেকটি সুবিধা হল তিনি আপনাকে আরও দেবেন।

...لَئِن شَكَرۡتُمۡ لَأَزِيدَنَّكُمۡۖ....
.....যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব...10

এছাড়াও, আপনার ভাল কাজগুলি সরাসরি আপনার হেদায়েতের সাথে যুক্ত, তাই আপনি যত বেশি ভাল কাজ করবেন, তত বেশি আল-হাদী আপনার হেদায়েত বাড়িয়ে তুলবেন।

وَيَزِيدُ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ٱهۡتَدَوۡاْ هُدًىۗ وَٱلۡبَٰقِيَٰتُ ٱلصَّٰلِحَٰتُ خَيۡرٌ عِندَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَخَيۡرٌ مَّرَدًّا
আর যারা সঠিক পথে চলে, আল্লাহ তাদের হিদায়াত বৃদ্ধি করেন আর স্থায়ী সৎকর্মসমূহ তোমার রবের কাছে পুরস্কার প্রাপ্তির দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ এবং পরিণতি হিসেবেও শ্রেষ্ঠ।11

অন্যকে সঠিক পথের দাওয়াত দিন। প্রথমে নিজের অনুকরণীয় আচরণের মাধ্যমে অন্যদেরকে সরল পথের আমন্ত্রণ জানান। যাই হোক না কেন, জেনে রাখুন যে প্রকৃত নির্দেশনা আসে আল-হাদী থেকে, আর এই অনুধাবনটুকু অন্যদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান করার ব্যাপারে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে, কারণ আপনি জানেন যে ফলাফলগুলি আপনার দাওয়াহ বা বক্তব্যের উপর নির্ভরশীল নয় বরং আল-হাদীর হেদায়েতের উপর নির্ভরশীল। তাই দাওয়ার কাজ করতে গিয়ে হতাশ বা অহংকারী হবেন না।

إِنَّكَ لَا تَهۡدِى مَنۡ أَحۡبَبۡتَ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يَهۡدِى مَن يَشَآءُۚ وَهُوَ أَعۡلَمُ بِٱلۡمُهۡتَدِينَ
নিশ্চয় তুমি যাকে ভালবাস তাকে তুমি হিদায়াত দিতে পারবে না; বরং আল্লাহই যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন। আর হিদায়াতপ্রাপ্তদের ব্যাপারে তিনি ভাল জানেন।12

প্রকৃতপক্ষে, [হে মুহাম্মদ], আপনি যাকে চান তাকে পথ দেখান না, তবে আল্লাহ যাকে চান তাকে পথ দেখান। . . [কুরআন, ২৮:৫৬]

আল-হাদীর কাছে প্রার্থনা করুন। রাসুল (ﷺ) আল-হাদীর কাছে একটি সুন্দর দু’আ করতেন।

يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ
“ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুব, সাব্বিত ক্বলবি ‘আলা দীনিক”
অর্থঃ- “হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী!
আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর সুদৃঢ় করে দাও”13

হে আল্লাহ, আল-হাদী, আমরা জানি আপনিই চূড়ান্ত পথপ্রদর্শক। আমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করুন এবং আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন যারা প্রতিটি বিষয়ে আপনার কাছে আন্তরিকভাবে হেদায়েত প্রার্থনা করে। আমাদের প্রতি আপনার হেদায়েত সম্পর্কে সচেতন হতে এবং কৃতজ্ঞ হতে আমাদের অনুপ্রাণিত করুন। অন্যদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিতে আমাদের সাহায্য করুন এবং আপনার জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আমাদেরকে চূড়ান্ত নির্দেশনা দিয়ে আশীর্বাদ করুন,
আল্লাহুম্মা আমীন!
আর আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।

আল-হাদী

আসমাউল হুসনা

লিখেছেন

Picture of ফাহমিনা হাসানাত

ফাহমিনা হাসানাত

কিছুটা লেখালেখি করি, ইসলামিক লাইনে কিছুটা পড়াশোনা করি। তাজউইদ, গ্রামার এবং কুরআন মেমোরাইজেশন এর ক্লাস করছি আলহামদুলিল্লাহ।
নিজে শিখছি, অন্যকেও শিখাচ্ছি। লেখালেখিটাও ঠিক এরকম। নিজে জানার জন্য মনের আনন্দে লিখি, শেয়ার করি।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

কিছুটা লেখালেখি করি, ইসলামিক লাইনে কিছুটা পড়াশোনা করি। তাজউইদ, গ্রামার এবং কুরআন মেমোরাইজেশন এর ক্লাস করছি আলহামদুলিল্লাহ।
নিজে শিখছি, অন্যকেও শিখাচ্ছি। লেখালেখিটাও ঠিক এরকম। নিজে জানার জন্য মনের আনন্দে লিখি, শেয়ার করি।

  1. সূরা আল-হাজ্জ: আয়াত-৫৪ ↩︎
  2. সূরা আল-ফুরকান: আয়াত-৩১ ↩︎
  3. সূরা ত্বহা: আয়াত-৫০ ↩︎
  4. সূরা আশ-শুরা-৪২: আয়াত-৫২ ↩︎
  5. সূরা আত-তাগাবুন-৬৪: আয়াত-১১ ↩︎
  6. সূরা আল-আ’রাফ-৭: আয়াত-৪৩ ↩︎
  7. ইবনুল কাইয়িম আল জাওযিয়াহ থেকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ↩︎
  8. সূরা আল-আরাফ -৭: আয়াত-৪৩ ↩︎
  9. সূরা আল-ইনসান-৭৬: আয়াত-৩ ↩︎
  10. সূরা ইব্রাহীম-১৪: আয়াত-৭ ↩︎
  11. সূরা মারিয়াম-১৯: আয়াত-৭৬ ↩︎
  12. সূরা আল-কাসাস: আয়াত-৫৬ ↩︎
  13. তিরমিযিঃ ২১৪০ ↩︎
Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture