আরবি হরফ দ্বারা বাচ্চাদের নাম রাখার বিধান। যেমন: আলিফ, মিম, লামিয়া, জিম, তোয়া, হামজা ইত্যাদি।
কুরআনের সূরা দ্বারা নাম রাখার বিধান। যেমন: ইয়াসিন, ওয়াকিয়া, ফাতিহা ইত্যাদি।
মাহিন নামে ডাকা যাবে?
মাহিন শব্দটি আরবীতে দু ভাবে লেখা যায়। যথা:
- মাহিন= ماحٍ অর্থ: মোচনকারী, নিশ্চিন্নকারী।
- মাহিন=مهين অর্থ: হীন, নীচ, তুচ্ছ, নিকৃষ্ট।
আপনি প্রথম অর্থটি গ্রহণ করবেন এবং আরবীতে লিখার সময় ১ম বানানে লিখবেন। তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
অনেকদিন যাবত কিছু নামের ব্যাপারে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, আমরা অনেকেই আরবি হরফ থেকে নিজেদের বাচ্চাদের নাম রাখছি। যেমন: আলিফ, মিম, লামিয়া, জিম, তোয়া, হামজা ইত্যাদি। তাছাড়া অনেকেই সূরার নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখছে। যেমন: ইয়াসিন, ওয়াকিয়া, ফাতিহা ইত্যাদি। এগুলো নাম রাখা কি ঠিক হবে?
সবচেয়ে উত্তম হলো, শিশুর জন্য এমন নাম নির্বাচন করা যাতে আল্লাহর দাসত্ব প্রকাশ পায়। যেমন:
- আব্দুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা)।
- আব্দুর রহমান (দয়াময় আল্লাহর দাস)।
- আমাতুল্লাহ, (আল্লাহর বান্দী),
- আমাতুর রহমান (দয়াময় আল্লাহ দাসি) ইত্যাদি।
অনুরূপভাবে নবী, রাসুল, সাহাবী, তাবেয়ী ও যুগে যুগে পুণ্যবান লোকদের নামের অনুসরণে নাম রাখাও ভালো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার পূর্বপুরুষ আল্লাহর নবী ইবরাহিম আলাইহিস সালামের নামে তার ছেলের নাম রেখেছেন।
অনুরূপভাবে ভালো অর্থবোধক যেকোন নাম নির্বাচন করা যায়। তবে আরবি নাম হওয়া উত্তম যেন শিশুর নাম শুনে তার মুসলিম পরিচয় পাওয়া যায়।
তবে কেবল আরবি একটি অক্ষর, কুরআনের বিচ্ছিন্ন বর্ণ (الحروف المفطعات), সূরার নাম ইত্যাদি নামে নাম রাখতেও কোন আপত্তি নেই-যদিও কোন কোন আলেম এগুলো পছন্দ করেছেন। কিন্তু যেহেতু এসব নামের মধ্যে শরিয়তের সাথে সাংঘর্ষিকতা নেই সেহেতু তাতে ইনশাআল্লাহ কোন সমস্যা নেই।
সোয়াদ নাম হিসেবে কি রাখা যাবে?
আমার ছেলের নাম সোয়াদ বিন সাইফ রাখতে চাচ্ছিলাম।
সোয়াদ (ص) একটি আরবি অক্ষর। এ নামে কুরআনে একটি সূরা আছে: সূরা সোয়াদ।
এ নামে কোন ব্যক্তির নাম রাখায় গুনাহ নেই ইনশাআল্লাহ। তবে এক অক্ষরে নাম রাখার চেয়ে একটি সুন্দর অর্থবোধক শব্দ দ্বারা নাম রাখা বেশি ভালো।