আম্বিয়া নামের অর্থ কি?
এ শব্দ দ্বারা কারো নাম রাখা যাবে কি?
আম্বিয়া (الأنبياء) শব্দটি নবিউন (نبي) এর বহু বচন। অর্থ: নবীগণ (বার্তাবাহকগণ)।
যেমন: আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَيَقْتُلُونَ الْأَنبِيَاءَ بِغَيْرِ حَقٍّ
“এবং তারা আম্বিয়া তথা নবিদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছ।”
(সূরা আলে ইমরান: ১১২)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
الْأَنْبِيَاءُ إِخْوَةٌ لِعَلَّاتٍ أُمَّهَاتُهُمْ شَتَّى وَدِينُهُمْ وَاحِدٌ
‘‘আম্বিয়া বা নবীগণ পরস্পর বৈমাত্রেয় ভাই। তাদের মাতা বিভিন্ন কিন্তু দ্বীন একটিই।”
[বুখারি, অধ্যায়: কিতাবুল আম্বিয়া]
এটি কোন মানুষের নাম নয়। তবে কুরআনে একটি সূরার নাম আছে যার নাম ‘সূরা আল আম্বিয়া’ (২১তম সূরা)। এ ছাড়াও কাসাসুল আম্বিয়া (নবিদের গল্প), সিরাতুল আম্বিয়া (নবিদের জীবন চরিত), সীরাতু খাতামিল আম্বিয়া (শেষ নবির জীবন চরিত), তাযকেরাতু আম্বিয়া (নবি স্বারক গ্রন্থ) নামক বিভিন্ন বই আছে।
সুতরাং এ শব্দটি কোনও মানুষের নাম হিসেবে ব্যবহার করা সঙ্গত নয়।
আমাদের দেশে সাধারণত: এ শব্দটি দ্বারা মেয়েদের নাম রাখা হয়।
যেমন: আম্বিয়া খাতুন, আম্বিয়া বানু, আম্বিয়া বিবি, মোসাম্মৎ আম্বিয়া বেগম ইত্যাদি। কিন্তু অর্থের দিকে খেয়াল করলে বুঝা যায়, এটি কোনও মানুষের নাম নয়। তাই এর পরিবর্তে ভালো অর্থ বোধক অন্য কোনও নাম রাখা উচিৎ।
অবশ্য, কেউ যদি না জানার কারণে এমন নাম রাখেও তাতে গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। কিন্তু সম্ভব হলে তা পরিবর্তন করা উচিৎ। তবে এই শব্দ দ্বারা নতুন কোনও শিশুর নাম যেন না রাখা হয় সে ব্যাপারে আমাদের সকলের সচেতন হওয়া দরকার।
মুসলিম শিশুদের ক্ষেত্রে সুন্দর অর্থবোধক আরবি নাম হওয়া ভালো যেন, নাম শুনে প্রথমেই মুসলিম পরিচয় পাওয়া যায়। অনুরূপভাবে নাম শ্রুতিমধুর ও সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিৎ। পিতার নামের সাথে যুক্ত করে সন্তানের নাম রাখা ইসলামি রীতি।
যেমন: আয়েশা বিনতে খালেদ অথবা আয়েশা খালেদ, আহমদ বিন তালহা বা আহমদ তালহা ইত্যাদি।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন।
আমিন।