রাব্বানা দিয়ে কুরআন থেকে বাংলা উচ্চারণ সহ ৪০ টি দোয়া
কুরআন মাজীদে বিভিন্ন সূরায় সর্বমোট ৪০ বার রব্বানা দিয়ে দু’আ আছে। যে দু’আ গুলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়া’লার কাছে প্রিয়। রব্বানা অর্থ “হে আমাদের রব”। এই দু’আ গুলো আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেন যেন আমার এর মাধ্যমে আল্লাহর নিকট চাইতে পারি।
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ العَلِيمُ
রাব্বানা তাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আন্তাস সামিউল আলীম
অর্থ: "হে আল্লাহ! আমাদের এই কাজটি কবুল করুণ। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞ।"
[সূরা আল-বাক্বারাহ:১২৭]
ফজিলত
১। কাবা শরীফের নির্মাণ কাজ শেষ করার পর হযরত ইবরাহীম (আঃ) এবং ইসমাইল (আঃ) এই দোয়াটি পড়েছিলেন।
২। এই দোয়ার মাধ্যমে হযরত ইবরাহীম (আঃ) এই শিক্ষাই দিয়েছিলেন যে মানুষের শুধু কোন মহৎ কাজ শেষ করেই তৃপ্ত না হয়ে কিংবা গর্ব না করে, বরং ঐ কাজটি কবুলের জন্যে আল্লাহ্র কাছে দোয়া করতে হবে।
رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَآ إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
রাব্বানা ওয়ায-আলনা মুসলিমাইনা লাকা ওয়া মিন জুররিয়াতিনা উম্মাতান মুসলিমাতাল লাকা ওয়া আরিনা মানাসিকানা ওয়া তুব আলাইনা ইন্নাকা আন্তাত-তাউয়াবুর-রাহীম
অর্থ: "হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার উপর আজ্ঞাবহ করুণ এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত জাতি সৃষ্টি করুণ, আমাদেরকে সঠিকভাবে ইবাদত করার পথ বলে দিন। আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনিই একমাত্র তওবা কবুলকারী! পরমদয়ালু!"
[সূরা আল-বাক্বারাহ: ১২৮]
ফজিলত
১। এই দোয়াটি হযরত ইবরাহীম (আঃ) নিয়মিত করতেন।
২। হযরত ইবরাহীম (আঃ) কোন কাজ শেষ করার পর আল্লাহ্র প্রতি ভয় এবং স্বীকৃতি সরূপ এই দোয়াটি করতেন। আল্লাহ্র উপর বশ্যতা এবং আনুগত্যের প্রকাশ হিসেবে সবারই এই দোয়াটি করা উচিৎ।
এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তির মধ্যে আল্লাহ্র উপর স্বীকৃতি যত বাড়বে, আল্লাহকে অনুধাবনের পরিমানও বাড়তে থাকবে।
৩। ইবরাহীম (আঃ) তাঁর বংশধরদের আধ্যাত্মিক কল্যাণ এর জন্যেও এই দোয়া করতেন বিশেষ করে তাদের আখিরাতের কল্যানের জন্যে।
৪। এই দোয়াটি করার অন্য আরেকটি কারণও আছে। তাঁর বংশধরগন ভাল কাজ করে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে উদাহরন হিসেবে রাখতে পারে এবং তা পরবর্তীতে সমগ্র মুসলমান জাতির জন্যে কল্যান বয়ে আনবে।
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
রাব্বানা আতিনা ফিদ-দু-নিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবান-নার
অর্থ:- "হে রাব্বুল আলামিন! আমাদেরকে দুনিয়া এবং আখিরাতে কল্যান দান করুন। এবং জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন!"
[সূরা আল-বাক্বারাহ: ২০১]
ফজিলত
১। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিয়মিত এই দোয়াটি পাঠ করতেন।
২। হজ্জের তাওয়াফের সময় এই দোয়াটি করা মাসনুন।
৩। আব্দুল্লাহ বিন সাইয়িব বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) রুকন জামাহ এবং রুকন আসওয়াদ এর মাঝে এই দোয়াটি করতেন। (আবু দাউদ)
৪। আবু হাসান বিন দাহহাক(রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ যদি ১০০ টি দোয়া করতেন তিনি শুরু এবং শেষ করতেন এই দোয়াটি দিয়ে। এমনকি দুটি দোয়া করলে তার মধ্যে একটি এই দোয়া।
৫। আল্লামা বাগাবি হতে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লাহ খুব দুর্বল ও পাতলা গড়নের (সদ্য ডিম থেক ফোটা বাচ্চার মত) এক লোককে দেখে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি আল্লাহ্র কাছে কোন দোয়া কর’?
উত্তরে লোকটি বললেন, আমি আল্লাহ্র কাছে এই দোয়া করি যে আল্লাহ্ যেন আমাকে আখিরাতের শাস্তি এই দুনিয়াতে দিয়ে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আশ্চর্যের সাথে বললেন, ‘কিন্তু তোমার দুনিয়াতে সেই শাস্তি সহ্য করার সামর্থ্য নেই। বরং তুমি আল্লাহ্র কাছে এই দোয়াটি করো।
সুবহানাল্লাহ। লোকটি দোয়াটি করলেন এবং সুস্থ হয়ে উঠলেন। (সহিহ মুসলিম)।
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْراً وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى القَوْمِ الكَافِرِينَ
রাব্বানা আফরিঘ আলাইনা সাব-রান ওয়া থাব্বিত আকদামানা ওয়ানসুরনা আলাল-কাউমিল-কাফিরিন
অর্থ: "হে আল্লাহ! আমাদের ধৈর্য শক্তি বাড়িয়ে দাও, এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ কর এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জয়ী করে তোল।"
[সূরা আল-বাক্বারাহ:২৫০]
ফজিলত
সাহাবীগণ যুদ্ধে থাকা অবস্থায় জালুতের সাথে এই দোয়া পড়তেন। প্রতিপক্ষ সৈন্যদের আক্রমনের স্বীকার হলেও এই দোয়া পড়তেন।
رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
রাব্বানা লা তু-আখিধনা ইন-নাসিনা আউ আখতাও-না
অর্থ: "হে দয়াময়! আমরা যদি কোন কারনে ভুলে যাই কিংবা ভুল করি আমাদের শাস্তি দিওনা।"
[সূরা আল-বাক্বারাহ:২৮৬]
ফজিলত
১। সূরা আল-বাকারার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ শেষ দুই আয়াত এর প্রথম আয়াত।
২। আল্লাহ্র রাসুল আল্লাহ্ পক্ষ থেকে তাঁর কাছে যা পাঠানো হয়েছে তাতে বিশ্বাস করতেন এবং মুমিনগণও তাই করতেন। সকল মুমিনই আল্লাহ্, আল্লাহ্র রাসুল, ফেরেসেতা, আসমানি কিতাব এবং প্রেরিত রাসুলদেরকে বিশ্বাস করতেন।
তাঁরা বলেন, আল্লাহ্র প্রেরিত রাসুলদের মধে আমরা কোন ভেদাভেদ করিনা। আমরা শুনি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করি।
رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا
রাব্বানা ওয়ালা তাহ-মিল আলাইনা ইসরান কামা হামাল-তাহু আলাল-লাযীনা মিন কাবলিনা
অর্থ: "হে আল্লাহ! আমাদের উপর এমন গুরু দায়িত্ব চাপিয়ে দিওনা, যেমনটি আমাদের পূর্বগণের উপরে দিয়েছ।"
[সূরা আল-বাক্বারাহ:২৮৬]
ফযিলত
১। সূরা আল-বাকারার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ শেষ দুই আয়াত এর দ্বিতীয় আয়াত।
২। আল্লাহ্র রাসুল আল্লাহ্ পক্ষ থেকে তাঁর কাছে যা পাঠানো হয়েছে তাতে বিশ্বাস করতেন এবং মুমিনগণও তাই করতেন। সকল মুমিনই আল্লাহ্, আল্লাহ্র রাসুল, ফেরেসেতা, আসমানি কিতাব এবং প্রেরিত রাসুলদেরকে বিশ্বাস করতেন।
তাঁরা বলেন, আল্লাহ্র প্রেরিত রাসুলদের মধে আমরা কোন ভেদাভেদ করিনা। আমরা শুনি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করি। এ জন্যেই আমরা যদি এসব কোন বিষয়ে ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাঁর জন্যে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চেয়ে দোয়া করতে হবে।
رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা তাকাতা লানা বিহি ওয়া-ফু আন্না ওয়াঘফির লানা ওয়াইরহামনা আন্তা মাওলানা ফানসুরনা আলাল-কওমিল কাফিরীন
অর্থ: "হে রাব্বুল আলামিন! আমাদের উপর এমন গুরু দায়িত্ব চাপিয়ে দিওনা যার ভার আমরা সইতে পারবনা। আমাদেরকে মাফ করুন এবং আমাদের ক্ষমা কবুল করুন। আমাদেরকে দয়া করুন। তুমিই আমাদের প্রভু এবং আমাদেরকে কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জয়ী করে তোল।"
[সূরা আল-বাক্বারাহ:২৮৬]
ফজিলত
১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এই দোয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) করেছেন এবং তা কবুল হয়েছে। (তাফসীর মাযহারি)।
২। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা আমরা জিবরাঈল (আঃ) সহ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে বসেছিলাম। হঠাৎ একটা দরজা খোলার শব্দ শুনতে ফেলাম। জিবরাইল (আঃ) সাথে সাথে তাঁর দৃষ্টি দিয়ে দেখলেন এবং বললেন যে দরজাটি এখন খুলল তা আসলে সাধারনত খুলেনা।
বর্ণনাকারী বলেন, সাথে সাথে নবীর কাছে একজন ফেরেশতা এসে বলেন, ”আপনাকে জান্নাতের দুই ধরনের আলোর সুসংবাদ দিতে আসলাম যা অতীতের কোন রাসুলকে দেয়া হয়নি। প্রথমটি হচ্ছে সূরা ফাতিহা এবং পরেরটি সূরা বাকারাহ এর শেষ আয়াত। আপনি যদি এর মধ্য থেকে একটি অক্ষরও পড়েন, আপনি জান্নাতের সেই আলো ভোগ করতে পারবেন। (সহিহ মুসলিম)
৩। আবু সা’ইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল্লুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন সূরা বাকারাহ এর শেষ দুই আয়াত সমগ্র রাতের জন্যেই যথেষ্ট।
رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
রাব্বানা লা তুযিঘ কুলুবানা বা-দা ইয হাদায়তানা ওয়া হাব লানা মিল্লাযুনকা রাহমাহ ইন্নাকা আন্তাল ওয়াহাব
অর্থ: "হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তোমার দেখানো পথ থেকে পথভ্রষ্ট হতে দিও না এবং আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই আপনি দানশীল।"
[সূরা আল-ইমরান:৮]
ফজিলত
হযরত আয়শা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল্লুল্লাহ (সাঃ) সকালে ঘুম থেকে উঠেই এই দোয়া করতেন।
رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لاَّ رَيْبَ فِيهِ إِنَّ اللّهَ لاَ يُخْلِفُ الْمِيعَادَ
রাব্বানা ইন্নাকা যামি-উন-নাচি লি-ইয়াওমিল লা রাইবা ফি ইন্নাল্লাহা লা ইউখলিফুল মি-আদ
অর্থ: "হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি সমস্ত মানবজাতিকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, এতে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই। নিশ্চয়ই তুমি ভঙ্গ করোনা অঙ্গীকার!"
[সূরা আল-ইমরান, আয়াতঃ ৯]
ফজিলত
এই আয়াতটির পূর্ববর্তী আয়াত ছিল হাসরের মাঠকে নিয়ে। একই ভাবে এই আয়াতটিও কোন সান্ত্বনা হিসেবে নয়, বরং আখিরাতে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের জন্যে দোয়াটি করতে হবে।
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
রাব্বানা ইন্নানা আ-মান্না-ফাগফিরলানা-যুনূবানা-ওয়াকিনা‘আযা-বান্না-র।
অর্থ: "হে আল্লাহ! আমরা ঈমান এনেছি, দয়া করে আমাদের গুনাহ মাফ করে দিন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন।"
[সূরা আল-ইমরান:১৬]
ফজিলত
যাদের মধ্যে আল্লাহ্ ভীতি আছে, শরিয়তের নীতি-আদর্শের প্রতি সতর্কতার প্রমান স্বরুপ এই দোয়া করা
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنزَلَتْ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَِ
রাব্বানাআ-মান্নাবিমাআনঝালতা ওয়াত্তবা‘নার রাছূলা ফাকতুবনা-মা‘আশশা-হিদীন।
অর্থ: "হে রাব্বুল আলামিন! আমারা তোমার নাযিল করা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি, এবং তোমার রাসুলের দেখানো পথে চলার চেষ্টা করি! দয়া করে আমাদেরকে তোমার হুকুম পালনকারীদের সারিতে রাখুন।"
[সূরা আল-ইমরান:৫৩]
ফজিলত
হযরত ঈসা (আঃ) এর সহকারীগন এই দোয়া করেছিলেন। যখন ঈসা (আঃ) তাঁর জাতির কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কার তাঁর সহযোগী হতে চান। তখন তাঁরা রাজি হয়েছিলেন এবং এই দোয়াটি পড়ার মধ্যমে তাদের যুক্তি জোরালো করেছিলেন। (মারিফুল কুরআন)
ربَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
রাব্বানাগ ফিরলানা-যুনূবানা-ওয়া ইছরা-ফানাফীআমরিনা-ওয়াছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।
অর্থ: "হে রাব্বুল আলামিন! আমাদের গুনাহ এবং ভুল গুলো ক্ষমা করে দাও। এবং আমাদেরকে দৃঢ় থাকতে এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য কর।"
[সূরা আল-ইমরান:১৪৭]
ফজিলত
১। এই আয়াতের মূল শিক্ষা হচ্ছে যখন কেউ কোন দুর্যোগে বিপদগ্রস্থ হয় সবারই একসাথে এগিয়ে আসা উচিত এবং অনুশোচনা করে দোয়া করা উচিৎ। কারণ অধিকাংশ দুর্যোগ/ সমস্যা কাউকে বিপদে ফেলছে তাঁর অতিত পাপের কারনে। (বায়ানুল কুরআন)
২। এই দোয়ার মাধ্যমে প্রথমে অতীতের সকল পাপের জন্যে ক্ষমা চাওয়া হয়। এর একটি দিক হচ্ছে, যে কোন ধরনের বিপদ-আপদ, দুর্যোগ, সমস্যা যাই আসুক না কেন, এটি যে বিপদগ্রস্থ ব্যাক্তির অতিত পাপের কারনে হয়ছে তা স্বীকার করে নেয়া। এবং প্রতিকার হিসেবে পাপের জন্যে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং অনুশোচনা করা।(মারিফুল কুরআন)
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
রাব্বানা-মা-খালাকতা হাযা-বা-তিলান ছুবহা-নাকা ফাকিনা-‘আযা-বান্না-র।
অর্থ: "হে আল্লাহ! আপনি এই দুনিয়ার কোন কিছুই উদ্দেশ্য ছাড়া আপন মহিমায় তৈরি করেন নি! আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে পরিত্রাণ দিন।"
[সূরা আল-ইমরান:১৯১]
ফজিলত
১। এই দোয়ার অর্থ হচ্ছে, মানুষের অনেক চাওয়া/ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কিন্তু শেষ চাওয়ার মধ্যে দুটি জিনিস থাকা উচিৎ –
১) জান্নাত পাওয়া
২) জাহান্নামের আগুন থেকে দূরে থাকা। কিন্তু এ জন্যে দুটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে –
* ঈমান আনা
* পাপ কর্ম থেকে দূরে থাকা।
(বায়ানুল কুরআন)
২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত – রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিয়মিত রাতে এই দুয়া পাঠ করতেন।
رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ
রাব্বানাইন্নাকা মান তুদখিলিন্না-রা ফাকাদ আখঝাইতাহূ ওয়ামা-লিজ্জা-লিমীনা মিন আনসা-র।
অর্থ: "হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি তাকেই জাহান্নামে প্রেরন করবেন, যার উপর আপনি নাখোশ হবেন। এবং জালিম ও সত্যের পথ ভ্রষ্টরা আপনার করুনা পাবেনা।"
[সূরা আল-ইমরান:১৯২]
ফজিলত
১। এই দোয়ার অর্থ হচ্ছে, মানুষের অনেক চাওয়া/ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কিন্তু শেষ চাওয়ার মধ্যে দুটি জিনিস থাকা উচিৎ –
১) জান্নাত পাওয়া
২) জাহান্নামের আগুন থেকে দূরে থাকা। কিন্তু এ জন্যে দুটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে –
* ঈমান আনা
* পাপ কর্ম থেকে দূরে থাকা।
(বায়ানুল কুরআন)
২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত – রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিয়মিত রাতে সুরাহ আল-ইমরান এর শেষ ১০ আয়াত পাঠ করতেন।
رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا
রাব্বানা-ইন্নানা-ছামি‘না-মুনা-দিআইঁ ইউনা-দী লিল ঈমা-নি আন আ-মিনূবিরাব্বিকুম ফা`আমান্না
অর্থ: "হে রাব্বুল আলামিন! সত্যিই আমরা "আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস" এর ডাকে সাড়া দিয়েছি এবং ঈমান এনেছি।"
[সূরা আল-ইমরান:১৯৩]
ফজিলত
১। এই দোয়ার অর্থ হচ্ছে, মানুষের অনেক চাওয়া/ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কিন্তু শেষ চাওয়ার মধ্যে দুটি জিনিস থাকা উচিৎ –
১) জান্নাত পাওয়া
২) জাহান্নামের আগুন থেকে দূরে থাকা। কিন্তু এ জন্যে দুটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে –
* ঈমান আনা
* পাপ কর্ম থেকে দূরে থাকা।(বায়ানুল কুরআন)
২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত – রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিয়মিত রাতে সুরাহ আল-ইমরান এর শেষ ১০ আয়াত পাঠ করতেন।
رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ
রাব্বানা-ফাগফিরলানা-যুনূবানা-ওয়াকাফফির‘আন্না-ছাইয়িআ-তিনাওয়াতাওয়াফফানা-মা‘আল আব রা-র।
অর্থ: "হে আল্লাহ! আমাদের গুনাহ মাফ কর ও খারাপ কাজ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখার তৌফীক দাও! এবং আমাদের পবিত্রতার সাথে আল-আবরারগনের সাথেই মৃত্যু কবুল করুন- যারা আপনার অনুগত এবং আপনার আদেশ নিষেধ সঠিক ভাবে মেনে চলেছে।"
[সূরা আল-ইমরান:১৯৩]
ফজিলত
১। এই দোয়ার অর্থ হচ্ছে, মানুষের অনেক চাওয়া/ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কিন্তু শেষ চাওয়ার মধ্যে দুটি জিনিস থাকা উচিৎ – ১) জান্নাত পাওয়া ২) জাহান্নামের আগুন থেকে দূরে থাকা। কিন্তু এ জন্যে দুটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে – ১) ঈমান আনা ২) পাপ কর্ম থেকে দূরে থাকা।(বায়ানুল কুরআন)
২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত – রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিয়মিত রাতে সুরাহ আল-ইমরান এর শেষ ১০ আয়াত পাঠ করতেন।
رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلاَ تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لاَ تُخْلِفُ الْمِيعَاد
রাব্বানা-ওয়া আ-তিনা-মা-ওয়া-‘আত্তানা-‘আলা-রুছুলিকা ওয়ালা-তুখঝিনা-ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মী‘আ-দ।
অর্থ: "হে আল্লাহ্! আপনি রাসুলগনের মাধ্যমে আমাদের কাছে যে ওয়াদা করেছিলেন তা কবুল করুন। এবং কিয়ামতের দিন আমাদের লজ্জিত করো না। নিশ্চয়ই তুমি ভঙ্গ করোনা অঙ্গীকার!"
[সূরা আল-ইমরান:১৯৪]
ফজিলত
১। এই দোয়ার অর্থ হচ্ছে, মানুষের অনেক চাওয়া/ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কিন্তু শেষ চাওয়ার মধ্যে দুটি জিনিস থাকা উচিৎ – ১) জান্নাত পাওয়া ২) জাহান্নামের আগুন থেকে দূরে থাকা। কিন্তু এ জন্যে দুটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে – ১) ঈমান আনা ২) পাপ কর্ম থেকে দূরে থাকা।(বায়ানুল কুরআন)
২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত – রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিয়মিত রাতে সুরাহ আল-ইমরান এর শেষ ১০ আয়াত পাঠ করতেন।
رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
রাব্বানাআ-মান্না-ফাকতুবনা-মা‘আশশা-হিদীন।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই তুমি আমাদেরকে সাক্ষীদাতাদের তালিকাভূক্ত কর।”
[সূরা মায়দা:৮৩]
ফজিলত
“আমাননা” শব্দটি দিয়ে আহলুল-কিতাব এর আগের ঈমান কে বুজায় না বরং বর্তমান ইমানকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে এবং ইমানদারদের দলে অন্তর্ভুক্ত হতে বলা হয়েছে।
রাব্বানা শব্দটি দিয়ে এটি পরিষ্কার করা হয়ছে যে তাঁরা মিথ্যা এবং সাধারন নয় বরং সত্যিকারের ঈমান আনছে।
“আশ-সাহিদিন” (নবীর উম্মাত) বলতে তাদেরকে বুজানো হয়েছে যারা রাসুলের দাওয়াতের উপর সন্তুষ্ট হওয়ার বিষয়ে স্বাক্ষী দেয়।(তাফসীর মাযহারি)
رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاء تَكُونُ لَنَا عِيداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
রাব্বানাআনঝিল ‘আলাইনা-মাইদাতাম মিনাছছামাই তাকূনুলানা-‘ঈদাল লিআওওয়ালিনা-ওয়া আ-খিরিনা-ওয়া আ-ইয়াতাম মিনকা ওয়ারঝুকনা-ওয়া আনতা খাইরুর রা-ঝিকীন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক আমাদের নিকট আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাদ্য প্রেরণ কর যা আমাদের প্রথম থেকে শেষ সকল ব্যক্তির জন্য আনন্দের ব্যাপার হবে আর হবে তোমার থেকে একটা নিদর্শন। আর আমাদেরকে জীবিকা দান কর; তুমিই সর্বোত্তম রিযকদাতা।”
[সূরা মায়দা:১১৪]
ফজিলত
হযরত ঈসা (আঃ) তাঁর অনুসারীদের অনুরোধে এই দুয়া করেছিলেন। তাঁরা ঈসা (আঃ) কে অনুরোধ করেছিলেন আল্লাহ্র কাছে উপর থেকে খাবার পাঠানোর জন্যে দোয়া করতে যাতে তাঁর অনুসারীরা খেতে পারে ও অন্তরে প্রশান্তি আশে এবং তাঁরা সন্তুষ্ট হতে পারে এই ভেবে যে ঈসা (আঃ) আসলে তাঁর রবের কথাই বলেছেন। যখন ঈসা (আঃ) দেখলেন তাদের উদ্দেশ্য সঠিক তিনি এই দোয়াটি করেছিলেন।
(মারিফুল কুরআন)
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
রাব্বানা-জালামনাআনফুছানা-ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা-ওয়া তারহামনা-লানাকূনান্না মিনাল খা-ছিরীন।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করে ফেলেছি, যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর আর দয়া না কর তাহলে আমরা অবশ্য অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’
[সূরা আরাফ:২৩]
ফজিলত
এই আয়াতটি এটি প্রমান করার জন্যে যথেষ্ট যে কোন মানুষের সামান্য গুনাহ ও যদি আল্লাহ্ তাআলা ক্ষমা না করেন, তাঁকে এর জন্য অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
(তাফসীর মাযহারি)
رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
রাব্বানা-লাতাজ‘আলনা-মা‘আল কাওমিজ্জা-লিমীন।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে যালিমদের সঙ্গী করো না।’”
[সূরা আরাফ:৪৭]
ফজিলত
জান্নাত এবং জাহান্নাম এর মাঝে দাঁড়িয়ে মানুষ এই দোয়া করবে যখন তাদেরকে জাহান্নামের দিকে ফিরানো হবে। তাঁরা তখন বলবেন, “হে আল্লাহ্, আমাদেরকে ঐ জাহান্নাম বাসীদের সাথে নিওনা যারা সবাই জালেম”।
(মারিফুল কুরআন)
رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ
রাব্বানাফতাহ বাইনানা -ওয়া বাইনা-কাওমিনা-বিলহাক্কিওয়া আনতা খাইরুল ফা-তিহীন।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! ‘তুমি আমাদের আর আমাদের জাতির মধ্যে সঠিকভাবে ফায়সালা করে দাও আর তুমি হলে সর্বোত্তম মীমাংসাকারী।’”
[সূরা আরাফ:৮৯]
ফজিলত
১। হযরত সুয়াইব (আঃ) যখন দেখলেন তাঁর জাতিরা সত্য গ্রহন করতে/ ঈমান আনতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে তখন তিনি আল্লাহ্র কাছে এই দোয়া করলেন।
(মারিফুল কুরআন)
২। সত্যিকার অর্থে সুয়াইব (আঃ) তাঁর জাতি থেকে যারা সত্যের ডাকে সাড়া দেয়নি তাদের ধ্বংসের জন্যে এই দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ্ তাঁর দোয়া কবুল করেছিলেন।
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
রাব্বানা-আফরিগ ‘আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়াতাওয়াফফানা-মুছলিমীন।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য ও দৃঢ়তা অবলম্বনের গুণে অভিষিক্ত কর আর মুসলমান হিসেবে আমাদের মৃত্যু দান কর।
[সূরা আরাফ:১২৬]
ফজিলত
এই দোয়ার মধ্যে এই ইঙ্গিতটি করা হয়েছে যে আল্লাহ্ না চাইলে মানুষের সাহসিকতা এবং আশা-ভরসার কোন ব্যবহারই হবেনা। অতএব, দুয়া করতে হবে যাতে আল্লাহ্ তাআলা আমাদের কঠিন এবং ধৈর্যশীল হওয়ার তৌওফিক দেন। কারণ একমাত্র দৃঢ়তা, ধৈর্যশীলতাই পারে একজন মানুষকে প্রতিপক্ষের কাছে জয়ী করে তুলতে।
(মারিফুল কুরআন)
رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ ; وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
রাব্বানা লা তায-আলনা ফিতনাতাল লিল-কাওমিয- যালিমীন ওয়া নাযযিনা বি-রাহমাতিকা মিনাল কাওমিল কাফিরীন
অর্থঃ "হে আল্লাহ্! আমাদেরকে জালিম এবং পথভ্রষ্ট কওমের শক্তি পরিক্ষা করিও না। এবং আমাদেরকে জালিম ও কাফেরদের হাত থেকে রক্ষা করো। "
[সূরা ইউনুসঃ ৮৫-৮৬]
ফজিলত
যে কোন দোয়া করার আগে তা কবুল হওয়ার জন্যে আল্লাহ্র উপর পূর্ণ ভরসা রাখা পরম গুরুত্বপূর্ণ।
(তাফসীর মাযহারি)
رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللّهِ مِن شَيْءٍ فَي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاء
রাব্বানাইন্নাকা তা‘লামুমা-নুখফী ওয়ামা-নু‘লিনু ওয়ামা-ইয়াখফা-‘আলাল্লা-হি মিন শাইইন ফিল আরদিওয়ালা-ফিছছামাই।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তো জান যা আমরা গোপন করি আর যা প্রকাশ করি, আসমান ও যমীনের কোন বস্তুই আল্লাহ হতে গোপন নেই।
[সূরা ইব্রাহিম:৩৮]
ফজিলত
১। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এই দোয়াটি করেছিলেন।
২। ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) যখন হযরত ইসমাইল (আঃ) এবং তাঁর মাকে মরুভুমিতে রেখে আসছিলেন তখন মনের দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে এই দোয়া করেছিলেন। (তাফসীর মাযহারি)
رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاء
রাব্বানা-ওয়া তাকাব্বাল দু‘আই
অর্থ: "হে পালনকর্তা! আমাদের দোয়া কবুল করুন। "
[সূরা ইব্রাহীম: ৪০]
ফযিলত
১। তিরমিজী শরিফে এরকম একটি বিবৃতি আছে যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন দুয়া হচ্ছে ইবাদত।
২। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন দুয়া হচ্ছে ইবাদতের মূল উপাদান। (ইব্রাহীম)
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
রাব্বানাগফিরলী ওয়া লিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিলমু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকূমুল হিছা-ব।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে আর মু’মিনদেরকে ক্ষমা করে দিও,
[সূরা ইব্রাহিম:৪১]
ফযিলত
১। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এই দোয়াটি করেছিলেন।
২। এই আয়াতগুলো থেকে এইটা পরিষ্কার যে আমাদেরকে দোয়ার শিষ্টাচার শিখতে হবে। দোয়া করতে হবে পরম নম্রতা ও বিনয়ের সাথে। আল্লাহ্র প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণার মধ্য দিয়ে আমাদের দোয়া করতে হবে। ফলে, আমাদের দোয়া কবুল হওয়ার সমূহ সম্ভবনা থাকবে। (মারিফুল কুরআন)
رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
রাব্বানাআ-তিনা-মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা-মিন আমরিনা-রাশাদা-।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার নিকট হতে আমাদেরকে রহমত দান কর আর আমাদের ব্যাপারটি সুন্দর ভাবে সম্পাদন কর।’
[সূরা কাহাফ:১০]
ফযিলত
এই দোয়াটি গুহার মধ্যে থাকা সাথীদের করা যখন তাঁরা গুহায় আশ্রয় নেন।
رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَن يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَن يَطْغَى
রাব্বানাইন্নানা-নাখা-ফুআইঁ ইয়াফরুতা ‘আলাইনাআও আইঁ ইয়াতগা-।
মোনাজাতের অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ভয় হচ্ছে সে আমাদের প্রতি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠবে কিংবা আমাদের প্রতি আচরণে বাড়াবাড়ি করবে।
[সূরা ত্বহা:৪৫]
ফযিলত
হযরত মুসা (আঃ) এবং হযরত হারুন (আঃ) ফেরাউনের কাছে যাওয়ার আগে আল্লাহ্র কাছে এই দোয়াটি করেছিলেন।
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
মোনাজাতের অর্থ: রাব্বানা আ-মান্না-ফাগফিরলানাওয়ারহামনা-ওয়াআনতা খাইরুর রা-হিমীন।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
[সূরা মুমিনুন:১০৯]
ফযিলত
১। ফিরাউনের স্ত্রী ছিলেন আল্লাহ্র উপর বিশ্বাসী এবং তিনি ঈমান এনেছিলেন। তিনি এই দোয়াটি করেছেন যাতে ফিরাউনের কাছ থেকে তিনি মুক্তি পান এবং জান্নাত লাভ করেন।
২। এটা উল্লেখ আছে যে, ফিরাউন তার স্ত্রীকে সবসময় নির্যাতন করতেন কারণ সে নিজেই ছিল একজন পুরুষত্বহীন। নির্যাতনের সময় ফিরাউনের স্ত্রী তাঁর দুর্ভোগ লাঘবের জন্যে এই দোয়াটি করতেন। (জালালাইন)
رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا إِنَّهَا سَاءتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا
রাব্বানাস-রিফ আন্না আযাবা জাহান্নামা ইন্না আযাবা কানা ঘারামা ইন্নাহা সা'ত মুস্তা-কাররানাও ওয়া মুকামা
মোনাজাতের অর্থ: "হে রাব্বুল আলামিন! আমরা ঈমান এনেছি! আমাদেরকে মাফ করুন এবং আমাদের প্রতি রহম করুন। নিশ্চয়ই আপনি দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।"
[সূরা আল-ফুরকান:৬৫-৬৬]
ফযিলত
১। এই দোয়াটি এক দল মুসলমানের করা এবং তাঁরা নিয়মিতই এই দোয়াটি করতেন।
২। এই দোয়াতে তাঁরা আল্লাহ্র কাছে বলতেন, “হে, আল্লাহ্! আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং আমাদের গুনাহ মাফ কর এবং আমাদের উপর কৃপা কর”।
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
রাব্বানা-হাবলানা-মিন আঝওয়া-জিনা-ওয়া যুররিইইয়া-তিনা কুররাতা আ‘ইউনিওঁ ওয়াজ‘আলনা-লিলমুত্তাকীনা ইমা-মা-।
মোনাজাতের অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান কর যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দাও।”
[সূরা ফুরকান:৭৪]
ফযিলত
১। এটি এমন একটি দোয়া যা ঈমানদারগন নিয়মিত করতেন। কারণ তাঁদের একটি বড় গুন হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি অনুগত হওয়ার সত্তেও তাঁরা মনের মধ্যে আখিরাতের শাস্তির ভয় ধারন করে। এই ভয়ের কারনেই, তাঁরা বাস্তবসন্মত হয়ে দোয়া করতেন।
২। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত- নবী (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ্ তাআলা বনী-ইসরাইল এর একজন নবীর কাছে একটি ওহি পাঠিয়েছিলেন। “তোমার উম্মতদের মধ্যে ঈমানদারদের বল যাতে তাঁরা শুধু ভালো কাজের উপরই ভরসা করে না থাকে, কারণ শেষ বিচারের দিন যে বান্দাকেই আমি শাস্তি দিতে চাই আমার বিচারে তাঁরা শাস্তির উপযুক্ত হলে তাঁদের শাস্তি ভোগ করতেই হবে। আবার যারা এখনও ঈমান আনে নাই তাঁদের বলে দাও তাঁরা যেন আর ধংসের সাথে লিপ্ত না হয়। কারণ আমি চাইলে যে কোন বড় ধরনের গুনাহও মাফ করে দিতে পারি।” (তাফসীর মাযহারি)
اِنَّ رَبَّنَا لَـغَفُوْرٌ شَكُوْرٌ
ইন্না রাব্বানালাগাফূরুন শাকূর।
অর্থ: আমাদের প্রতিপালক অবশ্যই পরম ক্ষমাশীল, (ভাল কাজের) বড়ই মর্যাদাদানকারী।
[সূরা ফাতির:৩৪]
ফযিলত
১। চোখের শীতলতা বলতে হাসান বসরি (রাঃ) উল্ল্যেখ করেছেন, নিজের পরিবার পরিজনদের আল্লাহ্র অনুগত হতে দেখাই হচ্ছে চোখের আসল শীতলতা। পরিবারের সুখ, শান্তি ও কল্যানও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। (মারিফুল কুরআন)
২। আল্লাহ্র বাছাই করা বান্দা তারাই, যারা নিজে ভালো কাজ করে এবং স্ত্রী-সন্তানদের ভাল কাজে এবং আল্লাহ্ অনুরাগী হতে উৎসাহ প্রদান করেন। তাঁরা এজন্যে সবসময়ই কাজ করে যাবেন এবং এর অংশ হিসেবে এই দোয়াটি করবেন। (ইবিদ)
৩। নিজের পরিবার এবং সন্তান-সন্ততিদের আল্লাহ্র অনুগত হতে দেখার চেয়ে আর ভালো কিছুই নেই। (তাফসীর মাযহারি)
رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَّحْمَةً وَّعِلْمًا فَا غْفِرْ لِلَّذِيْنَ تَا بُوْا وَا تَّبَعُوْا سَبِيْلَكَ وَقِهِمْ عَذَا بَ الْجَحِيْمِ
রাব্বানা-ওয়াছি‘তা কুল্লা শাইয়িররাহমাতাওঁ ওয়া ‘ইলমান ফাগফির লিল্লাযীনা তা-বূওয়াত্তাবা‘ঊ ছাবীলাকা ওয়াকিহিম ‘আযা-বাল জাহীম।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার রহমত ও জ্ঞান দিয়ে সব কিছুকে বেষ্টন করে রেখেছ, কাজেই যারা তাওবাহ করে ও তোমার পথ অনুসরণ করে তাদেরকে ক্ষমা কর, আর জাহান্নামের ‘আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা কর।
[সূরা গাফির:৭]
ফযিলত
১। জান্নাতবাসীগন জান্নাতে গমন করার সময় এই দোয়া পড়বেন। (মারিফুল কুরআন)
২। ইবনে উমার (রাঃ) বর্ণিত- নবী (সাঃ) বলেছেন, কালিমা পাঠকারীদের মৃত্যুর সময় কোন ভয় থাকবেনা। কবরের কঠিন আজাবের অভিজ্ঞতাও তাঁদের হবেনা, এবং শেষ বিচারের দিনেও না। আমি দেখছি, শেষ বিচারের দিন কবর থেকে উত্তলনের সময় তাঁদের মাথার ধুলো আচ্ছাদন করা থাকবে এবং তাঁরা এই দোয়াটি করতে থাকবে। (ইবনে কাথির)
رَبَّنَا وَاَ دْخِلْهُمْ جَنّٰتِ عَدْنِ ٱِلَّتِيْ وَعَدْتَّهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ اٰبَآئِهِمْ وَاَ زْوَا جِهِمْ وَذُرِّيّٰتِهِمْ ۗ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
রাব্বানা-ওয়া আদখিলহুম জান্না-তি ‘আদনি নিল্লাতী ওয়া ‘আত্তাহুম ওয়া মান সালাহা মিন আবাইহিম ওয়া আঝওয়া-জিহিম ওয়া যুররিইয়া-তিহিম ইন্নাকা আনতাল ‘আঝীঝুল হাকীম।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে আর তাদের পিতৃপুরুষ, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানাদির মধ্যে যারা সৎকাজ করেছে তাদেরকেও চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান যার ওয়া‘দা তুমি তাদেরকে দিয়েছ; তুমি মহা পরাক্রমশালী, মহা বিজ্ঞ।
[সূরা গাফির:৮]
ফযিলত
১। যে সকল ফেরেশতাগন আল্লাহ্ তাআলার সিংহাসন বহন করবেন তাঁরা মুমিনদের জন্যে এই দোয়া করবেন।
২। মুতিফ বিন আব্দুল্লাহ বলেন ঈমানদারদের মধ্যে আল্লাহ্র শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে ফেরেসতা আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হচ্ছে শয়তান। (তাফসীর মাযহারি)
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا
রাব্বানা-ঘফির লানা ওয়া লি ইখওয়ানি নাল্লাযিনা সাবাকুনা বিল ইমানি ওয়া লা তাযাআল ফি কুলুবিনা ঘিল্লাল-লিল্লাযিনা আমানু
অর্থ: "হে আল্লাহ্! আপানার ওয়াদা অনুযায়ী তাদেরকে এবং তাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান সকলকেই জান্নাতবাসী করুন। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী এবং প্রজ্ঞাময়। এবং আপনি তাদের গুনাহ মাফ করুন। নিশ্চয়ই আপনি কেয়ামতের দিন তাদের উপর ক্ষমাশীল থাকবেন। এবং এটাই শ্রেষ্ঠ অর্জন।"
[সূরা আল-হাশর:১০]
ফযিলত
১। ফেরেশতাগন ঈমানদারদের জন্যে এই দোয়াটি করবেন।
২। সাইদ বিন জুবাইর হতে বর্ণিত- যখন কোন ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, তখন তাঁর বাবা, ভাই এবং সন্তানদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। এবং তাঁকে বলা হবে যে, যে পরিমান ভালো কাজের জন্যে তিনি জান্নাত পেয়েছেন, তাঁর পরিজনদের মধ্যে সে পরিমান নেক পাওয়া যায়নি। উত্তরে ঐ ব্যক্তি তখন বলবে, আমার সকল নেক-আমল আমার নিজের এবং পরিজনের জন্যে। এরপর তাঁর বাবা, ভাই এবং সন্তান তাঁর সাথে যোগ দিবেন। তার পরপরই সাইদ বিন জুবাইর এই দোয়াটি পড়লেন। (ইবনে কাথির)
رَبَّنَا إِنَّكَ رَؤُوفٌ رَّحِيمٌ
রাব্বানা ইন্নাকা রা'উফুর রাহিম
অর্থ: "হে আল্লাহ্! নিশ্চয়ই আপনি পরম দয়ালু এবং করুনাময়।"
[সূরা আল-হাশর:১০]
ফযিলত
১। “আল-লাযিনা-আমানু” বলতে মুহাজিরিন এবং আনসার বুজানো হয়েছে।
২। মালিক বিন মা’মুল বলেন যে আমির বিন সুরাহবিল তাঁকে বলেছেন, একদিক থেকে ইহুদি এবং খ্রিস্টানরা শিয়া সম্প্রদায়ের চেয়ে অনেক ভালো। কারণ যখন ইহুদিদের জিজ্ঞেস করা হয় যে তোমাদের সম্প্রদায়ের সবচেয়ে ধর্মচারী কারা? জবাবে তাঁরা বলেন মুসা (আঃ) এর অনুসারীরা। একই প্রশ্ন খ্রিস্টানদের জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরা বলেন – ঈসা (আঃ) এর অনুসারীরা। কিন্তু যখন শিয়া সম্প্রদায়ের কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ কারা? তাঁরা জবাবে বলেন রাসুলের অনুসারীরা। (তাফসীর মাযহারি) এ জন্যেই মানুষের বিশ্বাস ঠিক রাখার জন্যে উপরিউক্ত দোয়াটি করা হয়।
رَّبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
রাব্বানা-‘আলাইকা তাওয়াক্কালনাওয়া ইলাইকা আনাবনা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমারই উপর নির্ভর করছি, তোমারই অভিমুখী হচ্ছি, আর (সব কিছুর) প্রত্যাবর্তন তো তোমারই পানে।
[সূরা মুমতাহানা:৪]
ফজিলত
১। এই দোয়াটি হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর অনুসারীরা করতেন।
২। এই দোয়াটির অর্থ হচ্ছে, সকল বিষয়েই আমরা তোমার উপর বিশ্বাস রেখেছি। এবং আমাদের সকল বিষয়য়ই তোমার উপর সমর্পণ করলাম। (ইবন কাথির)
رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَا غْفِرْ لَـنَا رَبَّنَا ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
রাব্বানা-লা-তাজ‘আলনা-ফিতনাতালিলল্লাযীনা কাফারূওয়াগফিরলানা-রাব্বানা- ইন্নাকা আনতাল ‘আঝীঝুল হাকীম।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে কাফিরদের উৎপীড়নের পাত্র করো না, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, তুমি মহা পরাক্রান্ত, মহা বিজ্ঞানী।
(সূরা মুমতাহানা:৫)
رَبَّنَاۤ اَ تْمِمْ لَـنَا نُوْرَنَا وَا غْفِرْ لَـنَا ۚ اِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
রাব্বানা আতমিম লানা-নূরানা-ওয়াগফিরলানা- ইন্নাকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের নূরকে আমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দাও আর আমাদেরকে ক্ষমা কর; তুমি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।’
(সূরা তাহরিম:৮)
ফজিলত
১। এই দোয়াটি হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর অনুসারীরা করতেন।