Zuma's khutbaAbdul Hi Muhammad Saifullah

হজরত জাফর (রাঃ) এর যুদ্ধের করুন ইতিহাস

হজরত জাফর (রাঃ) এর যুদ্ধের করুন ইতিহাস। জুম’আর খুতবা,
০৩/০৯/২০২১ইং
আব্দুল হাই মোহাম্মাদ সাইফুল্লাহ
মসজিদুল জুম,আ কমপ্লেক্স, পল্লবী, মুসলিম বাজার মিরপুর ঢাকা।

আমার মাথা পুরাপুরি ঠিক আছে, তাহলে তুমি এই সময়ে গান গাও কেন, মন খারাপ থাকবে, মানুষিক চিন্তা থাকবে পেরাশানিতে থাকবে। তোমার কি অবস্থা? ও তাহলে এই ঘটনা, শুনেন আপনারা যে চিন্তা করছেন কেমনে খাবেন, কেমনে চলবেন, আপনাদের কতটুকু চালান আছে। এই ভাবনায় আছেনতো। আমিও জানি আমার যে মনিব আমার আমি যার বাড়িতে কাজ করি। ঐ মনিবের কি পরিমানের চালান আছে তা আমার জানা আছে। কি চালান আছে, উনার কাছে যে পরিমাণ খাদ্য মুজুদ করা আছে, যে পরিমাণ গম, যে টুকু পনির লাগবে, যে টুকু খেজুর লাগবে, মিশরে যদি টানা তিন বছর যদি মনে করেন দুর্ভিক্ষ হয় তাতে আমার চিন্তা নাই, আমার মনিবের এই পরিমানের খাবার আছে।

শুধু আমি চিন্তা করতে যাব কেন, চিন্তা আপনারা করেন, তাদের চোখ খুলে গেছে এর মনিবের তিন বছরের খাবার স্টকে এর জন্য এর বাড়িতে চাকরি করে, এর বাড়ির কাজের লোক, এর গোলাম তার নাকি কোনো পেরেশানি নাই।আমরা যার জন্য চিন্তা করছি এইখানে বসে আমাদের মনিব কি খাওয়াবে?
আরে প্রকৃত মনিব তো আমাদের রব, রব্বুল আলামিন আল্লাহ। আমার আল্লাহর ধন ভান্ডারে কতটুকু আছে এইটার উপরে একবার বান্দার যদি তাওয়াক্কুল এসে যায়, দুনিয়ার কোন শক্তির কাছে বান্দা মাথা ফালাতে পারে না।

এজন্য তাওয়াক্কুল আল্লাহর প্রতি যদি একবার মানুষের আসে। এই শক্তি এক অসীম শক্তির নাম, শক্তির পরীক্ষা সাহাবায়ে কেরাম যুগে যুগে দিয়ে গেছে। সাহাবায়ে কেরাম থেকে পরবর্তীতে ঈমানদাররা বরাবর দিয়ে গেছেন। কত ঘটনা আমাদের সামনে আছে এইগুলা ঘটনার কোনো শেষ নাই।

আমরা জানি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের আগে যখন মক্কায় কুরাইশরা নানাভাবে মানুষকে অত্যাচার করতে শুরু করলো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাবশায় হিজরত করার জন্য সাহাবা কেরাম দের অনুমতি দিয়ে দিলেন যে, তোমরা যাও বাদশা নাজাফ কাছে হিজরত করতে পারো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় একজন মানুষ, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আপন একজন হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর বড় ভাই হযরত জাফর রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি সদ্য বিবাহ করেছেন তার স্ত্রীর নাম ছিল আসমা বিনতে উমাইস।

আসমা বিনতে উমাইস কে বললেন, আসমা আমরা এখানে থাকলে আমাদেরকে জীবন যাবে যাবে অবস্থা, মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন আমরা হাবশায় দিকে সফর করবো। আসমা স্বামী পাগল মানুষ স্বামী যা বলছে, কোন কথা নাই বার্তা নাই সাথে সাথে আসমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা হাবশায় রাতের বেলা রওনা হয়ে গেছেন। রাত শেষ হয়েছে পথ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture