কতটুকু ইলম শিক্ষা ফরজে আইন
সহীহ ভাবে কুরআনে কারীমের তিলাওয়াত এবং ফরজে আইন পরিমাণ ইলমের দীন শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। ফরজে আইন পরিমাণ ইলমের অর্থ হলো-এ পরিমাণ ইলম হাসিল করা, যার দ্বারা নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সহীহ ও সুন্দর রূপে পালন করতে পারেঃ
(১) সহীহ আকায়িদ জানা এবং কুফর-শিরক সম্পর্কে অবগত হওয়া, যাতে দৃঢ় ঈমান হাসিল হয় এবং তা রক্ষা পায়।
(২) ইবাদত তথা উযূ-গোসল, আযান, ইকামত, নামায, রোজা, হজ্ব, যাকাত ও আ’দাত তথা খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম-ঘুম, বাজার-ঘাট ইত্যাদি সমস্ত দুনিয়াবী কাজ সমূহ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামএর সুন্নত মুতাবিক করা।
(৩) যে ব্যক্তি যে লাইনে জীবিকা নির্বাহ করে, সে লাইনের মাসআলা জেনে নেয়াঃ যাতে হালাল-হারাম বুঝতে পারে এবং হারাম রিযিক থেকে বাঁচতে পারে।
(৪) সকলের হক আদায় করা। বিশেষ করে পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন পাড়া-প্রতিবেশী, দোস্ত-আহবাবদের হক আদায় করা। সব সময় ফিকির রাখা যে, নিজের কোন কাজ, কথা বা আচরণে অন্যের যেন কষ্ট না হয়। যার ব্যবহারে অন্যরা কষ্ট পায়, সে ব্যক্তি হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী ‘মুসলমান’ উপাধি পাওয়ার যোগ্য নয়। কারো সাথে কোন অঙ্গীকার করলে, জান প্রাণ দিয়ে তা রক্ষা করা। শরয়ী ওজর ব্যতীত কখনো কথার বরখেলাপ না করা।
(৫) নিজেরা অন্তরের রোগ সমূহের ব্যাপারে সতর্ক থাকা। দুনিয়ার মোহ, হিংসা, বড়াই, বখিলী, রিয়াকারী ইত্যাদি ধ্বংসাত্মক ব্যাধি সমূহের চিকিৎসার জন্য এবং ভালো ভালো সিফাত তথা আল্লাহ্ ও রাসূলের সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুহাব্বত, সবর, শোকর, ইখলাস ইত্যাদি হাসিল করার জন্য কোন হাক্কানী বুযুর্গের সাথে সম্পর্ক রাখা এবং তাকে নিজের দিলের অবস্থা বলে চিকিৎসা নেয়া জরুরী। দিলের রোগসমূহ সমস্ত গুনাহের মূল। গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা ফরজ। কিন্তু যতক্ষণ দিলের রোগের চিকিৎসা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত শত চেষ্টা করেও গুনাহ থেকে বাঁচা সম্ভব নয়। তেমনিভাবে মনোযোগ সহকারে তিলাওয়াত, নামায ইত্যাদিও সম্ভব নয়।
সারকথা, উল্লেখিত কাজগুলো সকলেরই করতে হবে। আর সে সবের যথার্থ ইলমও সবারই হাসিল করতে হবে।
সংগ্রহে : তাহমিদা তাবাসসুম ।