Writing

আসমাউল হুসনা – আর-রাফি

আর-রাফি’ (ٱلْرَّافِعُ)
অর্থ: উন্নতকারী
আল্লাহ হলেন আর-রাফি’, তিনি যাকে ইচ্ছা অবনত করেন এবং যাকে ইচ্ছা উন্নীত করেন। তিনিই বাছাই করেন, কাকে সবদিক দিয়ে মর্যাদায় উন্নীত করা হবে।

وَمَن يُهِنِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِن مُّكۡرِمٍۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَفۡعَلُ مَا يَشَآءُ
আল্লাহ যাকে অপমানিত করেন তার সম্মানদাতা কেউ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।1

রাফি’ শব্দটি এসেছে ر-ف-ع এর মূল থেকে, যার অর্থ হল কোনো কিছুকে উন্নীত করা বা উপরে তোলা, উঁচু করা, মহিমান্বিত বা সম্মানিত করা, বিশিষ্ট করা, অথবা কোন কিছুকে সন্নিকটে আনা।

পবিত্র কুরআনের রাফি’ শব্দটি বিভিন্ন রূপে এসেছে, কিছু উদাহরণ হল – وَرَفَعۡنَا (আমরা উঠিয়ে নিয়েছি/সমুচ্চ করেছি), رَفَعَ (তিনি উপরের স্থাপন করেছেন), نَرۡفَعُ (আমরা উন্নীত করি), رَفِيعُ (সমুচ্চ)।

এই নামটি আল্লাহর নাম আল-খ্বাফিদের (হ্রাসকারী) বিপরীত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা যেমন কাউকে নিচে নামাতে পারেন অর্থাৎ অবনমিত করতে পারেন, তেমনি তিনি কাউকে উঁচু করার ক্ষমতা অর্থাৎ সম্মানিত করার ক্ষমতাও রাখেন। তিনি নবী-রাসুলদের মর্যাদা সুউচ্চ করেছেন, যারা আজও সম্মানিত; আবার তিনি কাউকে কাউকে লাঞ্ছিত করেছেন- যেমন আবু লাহাব, যার নামে একটি সম্পূর্ণ সূরা নাযিল হয়েছে। (সূরা লাহাব/মাসাদ)

আল্লাহর ৯৯টি নামের মধ্যে ৮১টি নাম সুস্পষ্টভাবে কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাকি ১৮টি নামের ব্যাপারে আলেমরা একমত হতে পারেননি। আর-রাফি’ সেই নামগুলির মধ্যে একটি যা নির্দিষ্ট কিছু আলেমদের অন্তর্ভুক্ত নয়। এর মধ্যে রয়েছে ইবনে উসাইমিন, ইবনে হাযম এবং ইবনে হাজার প্রমুখ রয়েছেন। যাই হোক, আসমাউল হুসনার বেশিরভাগ বইতে আর-রাফি’ নামটি রয়েছে।

وَتِلۡكَ حُجَّتُنَآ ءَاتَيۡنَٰهَآ إِبۡرَٰهِيمَ عَلَىٰ قَوۡمِهِۦۚ نَرۡفَعُ دَرَجَٰتٍ مَّن نَّشَآءُۗ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيمٌ
আর এ হচ্ছে আমার দলীল, আমি তা ইবরাহীমকে তার কওমের উপর দান করেছি। আমি যাকে চাই, তাকে মর্যাদায় উঁচু করি। নিশ্চয় তোমার রব প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।2
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا قِيلَ لَكُمۡ تَفَسَّحُواْ فِى ٱلۡمَجَٰلِسِ فَٱفۡسَحُواْ يَفۡسَحِ ٱللَّهُ لَكُمۡۖ وَإِذَا قِيلَ ٱنشُزُواْ فَٱنشُزُواْ يَرۡفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ دَرَجَٰتٍۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٌ
হে মুমিনগণ, তোমাদেরকে যখন বলা হয়, ‘মজলিসে স্থান করে দাও’, তখন তোমরা স্থান করে দেবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য স্থান করে দেবেন। আর যখন তোমাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা উঠে যাও’, তখন তোমরা উঠে যাবে। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। আর তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক অবহিত।3
رَفِيعُ ٱلدَّرَجَٰتِ ذُو ٱلۡعَرۡشِ يُلۡقِى ٱلرُّوحَ مِنۡ أَمۡرِهِۦ عَلَىٰ مَن يَشَآءُ مِنۡ عِبَادِهِۦ لِيُنذِرَ يَوۡمَ ٱلتَّلَاقِ
আল্লাহ সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী, আরশের অধিপতি, তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যার প্রতি ইচ্ছা আপন নির্দেশে তিনি ওহী পাঠান, যেন সে মহামিলন সম্পর্কে সতর্ক করেন।4

ইবলীসের গল্প থেকে একটি উদাহরণ:

ইবলীসের গল্প আল্লাহর এই দুটি নামকে – আর-রাফী (উন্নতকারী) এবং আল-খ্বফিদ (আবহমাননাকারী) – নিখুঁতভাবে সংজ্ঞায়িত করে। ইবলিসের ঘটনা থেকে এটা স্পষ্টই প্রতিমান যে আল্লাহ তা’আলাই বাছাই করেন তিনি কাকে মর্যাদায় উঁচু করবেন আর কাকে অপমানিত করবেন। বেশিরভাগ আলেমদের মতে ইবলিস ফেরেশতা ছিল না, সে ছিল জ্বীনদের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় সে ছিল উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন, এবং আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠভাবে নিবেদিত।

وَ اِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اسۡجُدُوۡا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوۡۤا اِلَّاۤ اِبۡلِیۡسَ ؕ اَبٰی وَ اسۡتَکۡبَرَ ٭۫ وَ کَانَ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ
আর যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, ‘তোমরা আদমকে সিজদা কর’। তখন তারা সিজদা করল, ইবলীস ছাড়া। সে অস্বীকার করল এবং অহঙ্কার করল। আর সে হল কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত।5

আদম ‘আলাইহিস সালামকে সিজদা করার হুকুম ফেরেশতাদেরকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে যখন এ কথা বলা হলো যে, ইবলীস ব্যতীত সব ফেরেশতাই সিজদা করলেন, তখন তাতে প্রমাণিত হলো যে, সিজদার নির্দেশ ইবলিসের প্রতিও ছিল। কিন্তু নির্দেশ প্রদান করতে গিয়ে শুধু ফেরেশতাগণের উল্লেখ এ জন্য করা হলো যে, তারাই ছিল সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ। যখন তাদেরকে আদম ‘আলাইহিস সালাম-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়া হলো, এ থেকে বোঝা যায় যে ইবলিস ও এই নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইবলিস অহংকার বশত আদমকে (আ:) সিজদা করেনি।

قَالَ مَا مَنَعَكَ أَلَّا تَسۡجُدَ إِذۡ أَمَرۡتُكَۖ قَالَ أَنَا۠ خَيۡرٌ مِّنۡهُ خَلَقۡتَنِى مِن نَّارٍ وَخَلَقۡتَهُۥ مِن طِينٍ
তিনি বললেন, ‘কিসে তোমাকে বাধা দিয়েছে যে, সিজদা করছ না, যখন আমি তোমাকে নির্দেশ দিয়েছি’? সে বলল, ‘আমি তার চেয়ে উত্তম। আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে’।6
قَالَ فَٱهۡبِطۡ مِنۡهَا فَمَا يَكُونُ لَكَ أَن تَتَكَبَّرَ فِيهَا فَٱخۡرُجۡ إِنَّكَ مِنَ ٱلصَّٰغِرِينَ
তিনি বললেন, ‘সুতরাং তুমি এখান থেকে নেমে যাও। তোমার এ অধিকার নেই যে, এখানে তুমি অহঙ্কার করবে। সুতরাং বের হও। নিশ্চয় তুমি লাঞ্ছিতদের অন্তর্ভুক্ত’।7

ইবলিসের এই ঘটনায় আমরা দেখি আল্লাহ তা’আলা তাকে কিভাবে সম্মানিত অবস্থান থেকে লাঞ্ছিত করেছেন, তার (ইবলিসের) অহংকারের জন্য।

আল-রাফি’ তাঁর বন্ধুদের মর্যাদাকে উন্নীত করেন, এবং বিশ্বাসীদেরকে সর্বোচ্চ স্তরে বিজয় দান করেন। তিনি সত্যকে সমুন্নত রাখেন। আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর প্রিয় নবী রাসুলের (সা:) মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন:

وَرَفَعۡنَا لَكَ ذِكۡرَكَ
আর আমি তোমার (মর্যাদার) জন্য তোমার স্মরণকে সমুন্নত করেছি।8

মক্কায় অবতীর্ণ এই সূরায় আল্লাহ তা’আলা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনি তাঁর মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন।

تِلۡكَ ٱلرُّسُلُ فَضَّلۡنَا بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٍۘ مِّنۡهُم مَّن كَلَّمَ ٱللَّهُۖ وَرَفَعَ بَعۡضَهُمۡ دَرَجَٰتٍۚ
ঐ রাসূলগণ, আমি তাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি, তাদের মধ্যে কারো সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন এবং কারো কারো মর্যাদা উঁচু করেছেন।9

আল্লাহর এই নামটিকে নিজের জীবনে কিভাবে প্রয়োগ করবেন?

ইবলিসের ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা লাভ করতে হবে। আমরা যদি ভুল করে থাকি তাহলে ক্ষমা চাইবার মানসিকতা আমাদের থাকতে হবে। আল্লাহ তা’য়ালার কাছে তো ক্ষমা চাইতেই হবে, এবং যার সাথে আমরা অন্যায় করি তার কাছেও ক্ষমা চাইতে হবে। আমরা যদি নিজেদের অহংকারকে বিসর্জন দিয়ে যেটা করা উচিত সেটা করতে না পারি, যখন ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন তখন ক্ষমা চাইতে না পারি, যেখানে নিজের দোষ মেনে নেওয়া দরকার সেখানে নিজের দোষ মেনে নিতে না পারি, তাহলে ইবলিসের সাথে আমাদের আর পার্থক্য থাকবে না। ইবলিসের যে পরিণতি হয়েছিল আমাদেরও সেই একই পরিণতিই হবে।

আমাদের উপলব্ধি করতে হবে, আল্লাহর অনুগত্যের মধ্যেই রয়েছে সর্বপ্রকারের সম্মান আর তাঁর অবাধ্যতায় রয়েছে সব ধরণের অপমান। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন –

وَمَن يُهِنِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِن مُّكۡرِمٍ
আল্লাহ যাকে অপমানিত করেন তার সম্মানদাতা কেউ নেই।”10

এসব কিছু মহান আল্লাহর ন্যায়পরায়নতা, হিমমত ও প্রশংসনীয় কাজের অনুগামী। কেননা কারো মর্যাদা কমানো, কাউকে অপমানিত করা ও কাউকে কিছু থেকে বঞ্চিত করতে এসব কাজে আল্লাহর হিকমত রয়েছে। তবে আল্লাহর এসব কাজের ব্যাপারে কারো কোন জবাব দিহিতার অধিকার নেই। এমনিভাবে কারো মর্যাদা বৃদ্ধি, কাউকে কিছু দান করা ও কারো কল্যাণ প্রশস্ত করার ক্ষেত্রেও মহান আল্লাহর রয়েছে সূক্ষ্ম হিকমত। আমাদেরকে সর্বাঅবস্থায় আল্লাহর প্রজ্ঞার উপর আস্থা রাখতে হবে।

পাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। দুনিয়ার মোহ এবং এবং মরীচিকার পিছনে ছুটবেন না। এই দুনিয়ায় আপনার মর্যাদা বৃদ্ধি না পেলে, আপনি কি আশা এবং অনুপ্রেরণা হারিয়ে ফেলবেন? আল্লাহর কাছে চাওয়া ছেড়ে দিবেন?
আমাদের মনে রাখতে হবে যে আখিরাতের মর্যাদাই সর্বোচ্চ মর্যাদা।

مَا هٰذِهِ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا لَهۡوٌ وَّ لَعِبٌ ؕ وَ اِنَّ الدَّارَ الۡاٰخِرَۃَ لَهِیَ الۡحَیَوَانُ ۘ لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ
আর এ দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং নিশ্চয় আখিরাতের নিবাসই হলো প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত।11

* হাদিসে বর্ণিত রাসূলের (সা:) এই দু’য়াটি আমরা প্রতিদিন করতে পারি-

‎اَللهُمَّ زِدْنَا وَلاَ تَنْقُصْنَا،وَأَكْرِمْنَا وَلاَ تُهِنَّا،وَأَعْطِنَا وَلاَ تَحْرِمْنَا،وَآثِرْنَا وَلاَ تُؤْثِرْ عَلَيْنَا،وَارْضِنَا وَارْضَ عَنَّا

জীবনে ভালো-মন্দ যাই ঘটুক না কেন, যে পরিস্থিতিতেই আমরা থাকি না কেন, আল্লাহর হিকমতের উপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে ভালো-মন্দ দুই অবস্থাতেই আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করতে পারেন।

فَأَمَّا ٱلۡإِنسَٰنُ إِذَا مَا ٱبۡتَلَىٰهُ رَبُّهُۥ فَأَكۡرَمَهُۥ وَنَعَّمَهُۥ فَيَقُولُ رَبِّىٓ أَكۡرَمَنِ
وَأَمَّآ إِذَا مَا ٱبۡتَلَىٰهُ فَقَدَرَ عَلَيۡهِ رِزۡقَهُۥ فَيَقُولُ رَبِّىٓ أَهَٰنَنِ
আর মানুষ তো এমন যে, যখন তার রব তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর তাকে সম্মান দান করেন এবং অনুগ্রহ প্রদান করেন, তখন সে বলে, ‘আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন। আর যখন তিনি তাকে পরীক্ষা করেন এবং তার উপর তার রিয্ককে সঙ্কুচিত করে দেন, তখন সে বলে, ‘আমার রব আমাকে অপমানিত করেছেন’13

আল্লাহ্ তা’আলা যখন কাউকে জীবনোপকরণে সমৃদ্ধি ও স্বাচ্ছন্দ্য, ধন-সম্পদ ও সুস্বাস্থ্য দান করেন, তখন শয়তান তাকে বিভিন্ন ভাবে ভ্রান্ত ধারণায় লিপ্ত করে- সে মনে করতে থাকে যে, এটা আমার ব্যক্তিগত প্রতিভা, গুণ-গরিমা ও কর্ম প্রচেষ্টারই ফল, যা আমার লাভ করাই সঙ্গত। আমি এর যোগ্য পাত্ৰ। সে আরও মনে করে যে, সে আল্লাহর কাছেও প্রিয় পাত্র। যদি প্রত্যাখ্যাত হতাম, তবে তিনি আমাকে এসব নেয়ামত দান করতেন না। এমনিভাবে কেউ অভাব-অনটন ও দারিদ্রের সম্মুখীন হলে একে আল্লাহর কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার দলীল মনে করে।

কাজেই এ ধরনের মন মানসিকতা থেকে আমাদেরকে মুক্ত হতে হবে। মনে রাখতে হবে যে জাগতিক সাফল্যই জীবনের চূড়ান্ত সাফল্য নয়, আমাদের প্রচেষ্টা করে যেতে হবে আখিরাতের সাফল্যের জন্য। পার্থিব সাফল্যে আমরা যেন অহংকারী এবং আকৃতজ্ঞ না হয়ে যাই।

হে আল্লাহ – আর-রাফি‘, আমরা জানি যে আপনি মর্যাদা দানকারী। আপনি আমাদের বিশ্বাসীদের এবং আপনার নিকটবর্তীদের অন্তর্ভুক্ত করুন, এবং জীবনের সকল পরিস্থিতিতে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে সহায়তা করুন। সুখের সময় আমরা যেন আপনার প্রতি শুকরিয়া আদায় করি, এবং দুঃসময়ে যেন সন্তুষ্ট চিত্তে আপনার সাহায্য কামনা করতে পারি, আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন। হে আল-রাফি’ আপনি আপনার বিশ্বাসী বান্দাদের মর্যাদাকে সমুন্নত করুন, তাদের বিজয় দান করুন, দুনিয়া এবং আখিরাতে তাদের সম্মানিত করুন, আল্লাহুম্মা আমীন!

আর আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।

আর-রাফি’ (ٱلْرَّافِعُ)

আসমাউল হুসনা

লিখেছেন

Picture of ফাহমিনা হাসানাত

ফাহমিনা হাসানাত

কিছুটা লেখালেখি করি, ইসলামিক লাইনে কিছুটা পড়াশোনা করি। তাজউইদ, গ্রামার এবং কুরআন মেমোরাইজেশন এর ক্লাস করছি আলহামদুলিল্লাহ।
নিজে শিখছি, অন্যকেও শিখাচ্ছি। লেখালেখিটাও ঠিক এরকম। নিজে জানার জন্য মনের আনন্দে লিখি, শেয়ার করি।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

কিছুটা লেখালেখি করি, ইসলামিক লাইনে কিছুটা পড়াশোনা করি। তাজউইদ, গ্রামার এবং কুরআন মেমোরাইজেশন এর ক্লাস করছি আলহামদুলিল্লাহ।
নিজে শিখছি, অন্যকেও শিখাচ্ছি। লেখালেখিটাও ঠিক এরকম। নিজে জানার জন্য মনের আনন্দে লিখি, শেয়ার করি।

  1. সূরা আল-হাজ্জ-২২:আয়াত-১৮ ↩︎
  2. সূরা আল-আনাম-৬: আয়াত-৮৩ ↩︎
  3. সূরা আল- মুজাদালাহ-৫৮: আয়াত-১১ ↩︎
  4. সূরা আল-গাফির: আয়াত-১৫ ↩︎
  5. সূরা আল:বাকারা-২:আয়াত-৩৪ ↩︎
  6. সূরা আল-আরাফ-৭: আয়াত-১২ ↩︎
  7. সূরা আল-আরাফ-৭: আয়াত-১৩ ↩︎
  8. সুরা আশ-শারাহ-৯৪: আয়াত-৪ ↩︎
  9. সূরা আল-বাকারাহ : আয়াত-২৫৩ ↩︎
  10. সূরা আল-হাজ্জ, আয়াত: ১৮ ↩︎
  11. সূরা আল-আনকাবুত-২৯: আয়াত-৬৪ ↩︎
  12. তিরমিজি, হাকেম ↩︎
  13. সূরা আল-ফজর-৮৯: আয়াত-১৫,১৬ ↩︎
Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture