শত্রুর ক্ষতি থেকে বাঁচার পরীক্ষিত আমল
কি আমল করলে শত্রুর ক্ষয়ক্ষতি থেকে আত্মরক্ষা করা যাবে?
যে আমলের মাধ্যমে শত্রুর ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচা যাবে।
সে আমল হলো, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো দুটি আমল আমি বলতে পারি, আরো সাথে কিছু আমল সম্পর্কে বলা যায়।
স্পেশালি দুটি দোয়ার কথা বলতে পারি, একটা দোয়া হলো কোন ব্যক্তি আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, আপনাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে, শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতন করার চেষ্টা করছে, আছে এরকম দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ।
এরকম যদি মনে হয় তো আপনি একটি দোয়া সবসময় পড়বেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন ব্যক্তি তার ক্ষতি করতে পারে এরকম আশঙ্কা বোধ করলে তার ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য দোয়া পড়তেন দোয়াটা হলো
اللَّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُورِهِمْ وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ
আল্লা-হুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহূরিহিম ওয়া নাউযু বিকা মিন শুরূশুরুরিহিম।
হে আল্লাহ! যারা আমার ক্ষতির চেষ্টা করছে, শত্রুতা করার চেষ্টা করছে, তাদেরকে তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে দমন করার জন্য, তাদেরকে শেষ করার জন্য, আমি আপনার কাছে দায়িত্ব অর্পণ করলাম, আপনি মেহেরবানী করে আমার হয়ে আপনি তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিন তাদের থামিয়ে দিন, তাদেরকে দমন করুন তাদের শেষ করুন, এবং আল্লাহ তাদের ক্ষয়ক্ষতি থেকে আমি আপনার আশ্রয় চাই আপনি আমাকে রক্ষা করেন।1
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই দোয়াটা খুবই অর্থবহ একটা দোয়া। এজন্য জীবনে কখনো কোন শত্রু আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন ক্ষতি করতে পারে নাই।
কোন শত্রুর ক্ষতি তার দ্বারা যখন আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করবেন, এই দোয়া পড়বেন আল্লাহ রক্ষা করবেন ইনশাল্লাহ।
আর আরেকটা দোয়া আছে যেটা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, যেটা উহুদ যুদ্ধের পর _____ ফাসাদের সময় মুনাফিকরা মদিনার মুনাফিকরা মুসলমানদের মধ্যে একটা ভয় ঢুকায় দিল, যে মক্কার মুশরিকরা তারা আবার সমবেত হচ্ছে এবং তোমাদেরকে সর্বগ্রাসে আক্রমণ করে শেষ করে দিবে।
এমনিতে মুসলমানরা বহুত যুদ্ধে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটা গাইডলাইন থেকে একটু বুঝের ভুল থেকে সরে যাওয়ার কারণে, যখন পর্যদস্ত হয়েছে ৭০ জন সাহাবী শাহাদাত বরণ করেছে। অনেকে আহত হয়েছে, স্বয়ং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাঁত মোবারক ভেঙেছে, রক্তাক্ত হয়েছেন, অনেক সাহাবীরা আহত হয়েছেন, অনেকে শাহাদাত বরণ করেছেন, এরকম নানাভাবে পর্যদস্ত এবং কঠিন একটা সময় যখন মুনাফাকরা এসে মুসলমানদেরকে আবার ভয় দেখাইতে লাগলো যে আসছে আসল বড় আক্রমণ।
যাতে মুসলমানরা মানসিকভাবে একদম ভেঙে পড়ে, এই আক্রমণের কথা যখন তারা শুনেছেন, তখন মুসলমানরা বলেছেন
حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ
হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল
আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট; কতই না চমৎকার কামিয়াবীদানকারী2
অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট, যেই আসুক না কেন আমাদের ক্ষতি করার জন্য আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট, এবং তিনি সবচাইতে উত্তম কর্ম বিধায়ক, আমাদের পক্ষ থেকে যেকোনো কিছুকে করবার জন্য তিনি সর্বোত্তম প্রতিনিধি বা সর্বোত্তম কর্ম বিধায়ক, সবচাইতে উত্তম ভাবে আমাদের কাজটা তিনি করতে পারবেন, তার উপরে আমরা ভরসা করলাম,
- সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) ১৫৩৭,আহমাদ (৪/৪১৫), বায়হাক্বী ‘সুনান’ (৫/২৫৩), তাবরীযী ‘মিশকাত’ (হাঃ ২৪৪১)। ↩︎
- সূরা আল ইমরান-১৭৩ ↩︎