সুদখোরের বড়াই!
খতীব সাহেব খুবই নরম মনের মানুষ। রেগে বা চেচিয়ে কথা বলেন না। একবার জুম’আর দিনের আলোচনায় সুদ নিয়ে কথা বললেন। অল্প কিছু কথা। খুবই দরদ নিয়ে। কিন্তু সুদের বিষয়ে কুরআন আর হাদীসের কথা তো এমনিই একটু কঠিন। সুদের বিষয়ে কুরআন ও হাদীসে বেশ ভয়ানক কথাই বলা হয়েছে। খতীব সাহেব তাও সেগুলোকে নরমভাবে বললেন।
সহজ ভাষায় সুদ বলা হয়- কাউকে কম টাকা ধার দিয়ে তার থেকে বেশি টাকা নেয়া। যেমন দেয়া হলো ১ টাকা আর নেয়া হলো ২ টাকা।
নামাজ শেষে শুরু হলো এক সুদখোরের চেচামেচি। বললো, “হ্যাঁ… কুরআনে কি শুধু সুদের কথাই আছে?
আর কোনো আলোচনা নাই?
আজকে একদম সুদ লইয়াই পড়ন লাগল?”
মসজিদের সভাপতি বিরক্তি নিয়ে বললেন,
“এতো চটছেন কেন?
আপনি কি সুদ খান নাকি?”
লোকটা বললো, “হ আমি সুদ খাই। তো আমার গায়ে লাগব না!”
তাকে বলা হলো, “তাইলে সুদ খাওয়া ছেড়ে দেন!”
লোকটা বললো, “না আমি ছাড়ুম না! আজীবন সুদ খামু। দেখি কে কী করতে পারে!”
তাকে দেখিয়ে বলা হলো, “এই, একজনে উনার নামটা সমাজের তালিকা থেকে কেটে দেন!”
লোকটা বড়াই করে বেরিয়ে গেল!
এই ঘটনার সাত দিনের মধ্যে সুদখোর লোকটা মারা গেলো। দাফনের সময় যারা ছিলেন, তারা জানালেন আমরা যতোই তার মুখ পশ্চিম দিকে ফিরিয়ে দেই, ততই তা পশ্চিম থেকে সরে আসে। শরীর কাত করে দিলেও মুখ কেবলার (কাবার দিক/পশ্চিম) দিক থেকে ফিরে আসে! পরে এই অবস্থাতেই সেই সুদখোর লোকটাকে কবর দেয়া হয়। [ঘটনাটি বলেছেন মাওলানা Masud Alimi ভাই। খতীব সাহেব তাঁর পাশের এলাকার। তিনি তাঁর মুখেই ঘটনাটি শুনেছেন।]
সুদ খাওয়া আল্লাহ এবং তাঁর নবীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতোন। [সূরাতুল বাক্বারাহঃ ২৭৯] তাই সুদখোরদের জীবন সুখের হয় না।