দুআ কবুলের গল্প-০২
একজন আলেম অসুস্থ হলেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য অনেক অর্থ প্রয়োজন। চিকিৎসার ব্যয় মেটানোর সামর্থ্য তাঁর নেই।
তাঁর ছাত্ররা জড়ো হলো। তারা পরামর্শ করলো- আমাদের উস্তাদের চিকিৎসার খরচ অনেক। শিক্ষক সেটা দিতে পারবেন না আর মানুষের কাছেও চাওয়া যাবে না।
তারা সিদ্ধান্ত নিলো শাসকের কাছ থেকে সাহায্য নিবে। চিঠি লিখলো।
ঐদিকে সেই আলেম বুঝতে পারলেন তাঁর ছাত্ররা কিছু একটা করছে।
তিনি আল্লাহর কাছে দু’আ করলেন,
“হে আল্লাহ! আমার রিযিক কেবল সেই উৎসেই সীমিত রাখুন, যেটা থেকে ব্যয় করতে আপনি আমাকে অভ্যস্ত করেছেন।”
অর্থাৎ, নিজে এতোদিন উপার্জন করে যেভাবে প্রয়োজন মেটাতেন, এখনো যেন সেভাবে মেটাতে পারেন। কারো কাছে যেন হাত পাততে না হয়।
ঐদিকে তাঁর ছাত্রের লেখা চিঠি শাসকের কাছে পৌঁছালো। শাসক সেই আলেমের জন্য ১০ হাজার দিরহাম প্রেরণ করেন।
কিন্তু, চিকিৎসা ব্যয়ের অর্থ সেই আলেমের কাছে পৌঁছানোর পূর্বেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
বিখ্যাত সেই আলেম ছিলেন আবুল হাসান আল-কারখী রাহিমাহুল্লাহ। তিনি আজ থেকে প্রায় ১১০০ বছর আগে ইন্তেকাল করেন।
তথ্যসূত্র:
শাইখ ড. মুহাম্মাদ মূসা আশ-শরীফ, মহৎ প্রাণের সান্নিধ্যে: ৪/২৮০