সন্তানের খৎনা বা মুসলমানি কত বছর বয়সে করা উচিত
সুন্নতে খাতনা বা মুসলমানি ছেলে বাচ্চাদের কত বছর বয়সে করা উচিত? এটা করা কি ফরজ?
এটা কেন করা উচিত? মুসলিম হতে হলে কি এটা একমাত্র শর্ত?
দেখুন সুন্নতে খতনা এটা করা ইসলামী শরীয়তে সুন্নাহ। বলাই হচ্ছে সুন্নতে খতনা, বাচ্চাদের যেটা চর্ম ছেদন বলা হয়। তার লজ্জাস্থানের অগ্রভাগে জমে থাকা অতিরিক্ত অংশ সেটা কেটে ফেলা।
এই চর্ম ছেদন বা সুন্নতে খাতনা নবী করীম সাঃ এর খুব ছোট বয়সে করা হয়েছে এটা আমরা অনেক হাদিস থেকে জানতে পারি।
দুর্বল সূত্র হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি,
নবী সাঃ সপ্তম দিনে খতনার উদ্যোগ নিয়েছেন। যদিও হাদীসটির সনদ খুবই দুর্বল আমরা বলেছি, এরকম কয়েকটি সনদ থেকে বুঝা যায়, ছোট থাকতে বাচ্চাদের খতনা করা উচিত।
নির্দিষ্ট করে সময়টা কখন যেমন বলা হয়েছে সপ্তম দিনে বা অন্য কোন দিনে এই বর্ণনাগুলো একটিও পরিপূর্ণভাবে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত নয়।
তবে বিভিন্ন হাদিস থেকে এতটুকু বুঝা যায় যে যতটুকু সম্ভব শৈশবে খতনা করা যায় ততটুকু ভালো।
মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে জন্মের সাথে সাথে খতনা করা হয় যাতে বাচ্চা বুঝতেই পারে না।
যত শৈশবে খতনা করা হবে তত বাচ্চার কষ্ট কম হবে।
যত পরে হবে বাচ্চার জন্য তত বেশি কষ্ট হবে।
এটির জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়স কোরআন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয় তবে যতটা আগে করা যায় ততটা ভালো।
সুনতে খৎনা এটা মুসলিম হতে গেলে কি একমাত্র শর্ত।
না এটা একমাত্র শর্ত বলা যাবে না। মুসলিম হতে হলে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা, কালিমায়ে শাহাদ াত পাঠ করা, বিশ্বাস কর এটা একমাত্র মৌলিক শর্ত।
পাশাপাশি সুন্নতে খতনা হল প্রতিষ্ঠিত সুন্নত পূর্বে যুগের নবী রাসূল দের মাঝে ও প্রতিষ্ঠিত ছিল এবং সমস্ত নবী রাসুলদের ঐতিহ্য ছিল এবং সবার মধ্যে প্রচলিত আমল ছিল।
অতএব সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমলটি আমাদের করা উচিত।