কমন মিস্টেকস ইন রামাদান – ভুলবশত খাওয়া
আমি আজ যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব তা খুব ইন্টারেস্টিং একটি বিষয়। কিছু লোক ভুলবশত রোজার দিনে কিছু খেয়ে ফেলে বা পান করে। তারপর তারা ভাবে যে তাদের রোজা ভেঙ্গে গেছে, তাই তারা খাওয়া-দাওয়া শুরু করে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অধিকাংশ উলামারা বলেন আপনার রোজা বৈধ বিভিন্ন কারণে। প্রথমত ইসলামের একটি সাধারণ নিয়ম হলো কেউ ভুল করে কিছু করলে তা ক্ষমা করা হয়।
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ
আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না।
[২:২৮৬]
আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ভুলে গেল যে সে রোজাদার, অতঃপর পান করলো বা আহার করলো, ওই ব্যক্তি যেনো তার রোজা পূর্ণ করে, কেননা আল্লাহ তাকে খানা খাইয়েছেন, আল্লাহ তাকে পান করিয়েছেন।’ [বুখারী, হাদিস নং-৬৬৬৯, ও মুসলিম, হাদিস নং-১১৫৫]
এই হাদিস থেকে স্পষ্টতই প্রতিয়মান হয় যে কেউ রোজা রেখে ভুল করে কিছু খেলে তার রোজা বৈধ হবে। কাজেই খাওয়া-দাওয়া না করে এক্ষেত্রে রোজা চালিয়ে যেতে হবে।
আপনি যদি রোজা অবস্থায় কাউকে খেতে দেখেন বা পান করতে দেখেন, তাহলে আপনার করণীয় কি?
ধরুন বাড়িতে আপনার ভাই বা বোন রোজা রেখে কিছু খেয়ে ফেলেছে, আপনি কি তাকে মনে করিয়ে দেবেন যে সে রোজা রেখেছে, নাকি আপনি বলবেন যে আল্লাহ তাকে খাবার এবং পানি দিয়েছেন, তাই সে তা উপভোগ করুক। না, আপনি অবশ্যই তাকে স্মরণ করিয়ে দেবেন যে সে রোজা রেখেছে।
এই বিষয়টি অনেকেই আসলে জানে না। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে আশীর্বাদ করেন, আমাদের রোজাকে পরিপূর্ণ করেন, এবং আমাদের সবার কাছ থেকে কবুল করে নেন।
আল্লাহুম্মা আমীন!
ভুলবশত খাওয়া
পর্ব: ৫
মূল: শাইখ ওয়ালীদ বাসাইউনি