উম্মে কুলসুম বিনতে আলী রাহিমাহাল্লাহ মোট ৪টি বিয়ে হয়
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আপন নাতনি উম্মে কুলসুম বিনতে আলী রাহিমাহাল্লাহ। ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার এই মেয়ের মোট চারটি বিয়ে হয়। তাঁর জীবনী পড়তে গেলে জসীমউদদীনের ‘কবর’ কবিতার একটি লাইন মনে পড়ে।
‘যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি’।
উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে উম্মে কুলসুমের প্রথম বিয়ে হয়। এই বিয়েতে তাঁর দুজন সন্তান জন্মগ্রহণ করে। ছেলের নাম রাখেন কুরআনে উল্লিখিত একমাত্র সাহাবী যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর নামে, মেয়ের নাম রাখেন তাঁর খালা রুকাইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহার নামে।
উমর ইবনুল খাত্তাবের ইন্তেকালের পর উম্মে কুলসুম প্রথমবারের মতো বিধবা হন।
বিধবা চাচাতো বোনকে বিয়ে করেন আউন ইবনে জাফর রাদিয়াল্লাহু আনহু।
আউন রাদিয়াল্লাহু আনহু ইন্তেকাল করলে উম্মে কুলসুম দ্বিতীয়বারের মতো বিধবা হন। এবার তাঁকে বিয়ে করেন তাঁর দেবর, আউন রাদিয়াল্লাহু আনহুর ভাই মুহাম্মদ ইবনে জাফর রাদিয়াল্লাহু আনহু।
উম্মে কুলসুম রাহিমাহাল্লাহ তৃতীয়বারের মতো বিধবা হন! পরপর তিনজন স্বামীকে হারানোর পর এবার তাঁকে কে বিয়ে করবেন?
আবারও তাঁকে বিয়ে করতে এগিয়ে আসলেন তাঁর আপন চাচাতো ভাই, তাঁর আরেক দেবর আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর রাদিয়াল্লাহু আনহু।
উম্মে কুলসুম তাঁর চাচী এবং শ্বাশুড়ি আসমা বিনতে উমাইস রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বলেন, “আমাকে বিয়ের পর আপনার দুই ছেলে ইন্তেকাল করে। আমি আপনার তৃতীয় ছেলেকে বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছি না। আমার কোনো অসুবিধা নেই।”
উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন তাঁর ব্যাপারে আগ্রহ দেখান, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু একটি কারণে এক্সকিউজ দেখান। সেটা হলো, তিনি চেয়েছিলেন তাঁর ভাতিজাদের সাথে (যেকোনো একজন) মেয়ের বিয়ে দেবেন। কিন্তু, উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর আগ্রহের কারণে তিনি রাজি হয়েছিলেন।
শেষপর্যন্ত দেখা যায়, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইচ্ছের বাস্তবায়ন হয়। তাঁর ভাতিজারা ঠিকই তাঁর মেয়েকে বিয়ে করে।
বিস্তারিত পাবেন:
১। তারীখে তাবারী: ১৪/১০১
২। তাবাকাত ইবনে সা’দ: ৮/২৯৯।