মসজিদের খুটিগুলোর চেয়ে অভাবী মানুষের টাকা বেশি প্রয়োজন
খলিফা ওয়ালিদ ইবনে আব্দিল মালিক মসজিদে নববী সুসজ্জিত করার জন্য ৪০,০০০ দিনার পাঠালেন। চল্লিশ হাজার দিনার আমাদের সময়ে কয়েকশো কোটি টাকা হবে!
এতো কোটি টাকা শুধুমাত্র মসজিদ সুসজ্জিত করার জন্য বরাদ্দ। মসজিদে দামি পাথর লাগানো হবে, কারুকাজ করা হবে ইত্যাদি।
উমর ইবনে আব্দিল আযিয রাহিমাহুল্লাহ যখন শুনলেন মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এতো টাকা এসেছে, তিনি বললেন-
“মসজিদের খুটিগুলোর চেয়ে অভাবী মানুষের জন্য এই টাকাগুলো বেশি প্রয়োজন।”
এই বোধটা এই সময়ে সবচেয়ে বেশি দরকার। বর্তমানে আমাদের রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক ধর্মীয় অথোরিটি নেই, খিলাফত নেই। জনকল্যাণমূলক কাজগুলো মসজিদ কেন্দ্রিক হলে সবচেয়ে ভালো। সেজন্য মসজিদ কমিটিতে যারা যাবেন, তাদেরকে হতে হবে ভিশনারী। আমাকে-আপনাকেই ইউসুফ আলাইহিসসালামের মতো দায়িত্বের দাবি করতে হবে। মসজিদ কমিটিতে খারাপ লোক আছে এটা বলে দায় এড়ানো যায় না। আমরা যেহেতু নিজেদেরকে ‘ভালো লোক’ বলে দাবি করছি, আমাদেরকে ঐ স্থানে যেতে হবে।
একেকটি মসজিদে সপ্তাহে অনেক টাকা উঠে, আরো টাকা উঠানোর ব্যবস্থা করা যায়। সেই টাকা দিয়ে দামি টাইলস আর এসি বাড়ানোর দিকে মন না দিয়ে জনকল্যাণমুখী কাজ করা যায়। একেকটি সমাজের সেন্ট্রাল বডি হবে মসজিদ। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়ে মসজিদে নববীর মতো মসজিদ থেকে শুরু হবে সকল কল্যাণকর কাজের সূচনা।
নিজেদের এলাকায়, নিজেদের মসজিদ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করবেন। পরিবর্তন আস্তে আস্তে আসবে। আপনি হয়তো আপনার জীবনটাই ব্যয় করবেন পরিকল্পনা করে, তাই বলে আপনি ব্যর্থ নন। আপনার ইন্তেকালের পর হয়তো কেউ এসে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করবে।