আমের আড়তদাররা বাগানীদেরকে ৫২ কেজিতে এক মন হিসেবে আম বিক্রি করতে বাধ্য করছেন।
এ বিষয়টি আমাদের চোখে পড়েছে যে, আমের ক্ষেত্রে আরতদাররা বাগানীদেরকে ৫২ কেজি তে মন হিসাব করতে যে বাধ্য করে থাকেন সেটি সুস্পষ্ট জুলুম এবং অবিচার এবং এই ৫২ কেজি কে মন হিসাব করতে যে ১২ কেজি অতিরিক্ত নিচ্ছেন এই ১২ কেজির পাওনা কেয়ামতের ময়দানে কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নিবেন পাওনাদাররা অর্থাৎ আমের বাগানীরা।
তাদের প্রতি এই জুলুম কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না, যাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় আছে তাদেরকে আমরা অনুরোধ করব আল্লাহর ওয়াস্তে এই অন্যায় এ অনাচার করবেন না, তাদেরকে দুর্বল পেয়ে অথবা তাদেরকে বাধ্য করে ১২ কেজি আম আপনি নিবেন আর সেটা আপনি দাম পরিশোধ করবেন না এটা জায়েজ নয়।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (ﷺ) বলেছেন,
আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।2
কোন মুসলিমের সম্পদ আপনি তার সন্তুষ্ট চিত্ত ছাড়া, আপনি যেকোনো ভাবে তার কাছ থেকে আদায় করবেন নিবেন সেটা কিন্তু জায়েজ হবে না।
অন্য হাদিসে বলেছেন
জাবির ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি যদি তোমার কোনো ভাইয়ের কাছে বাগানের খেজুর বিক্রি করো এবং তা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিনষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তার কাছ থেকে কোনো মূল্য গ্রহণ তোমার জন্য বৈধ নয়। তুমি কিসের বিনিময়ে তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে মূল্য গ্রহণ করবে?3
যে তুমি তোমার ভাইয়ের কোন সম্পদ নিলে কিসের বিনিময় নিচ্ছে সেটা তোমাকে ক্লিয়ার করতে হবে।
আপনি ৪০ কেজির দাম দিচ্ছেন ৪০ কেজি নিচ্ছেন ঠিক আছে।
বাকি ১২ কেজি নিচ্ছেন সেটা কিসের ভিত্তিতে নিলেন বিনিময়ে কি দিলেন কোন বিনিময়ে দিলেন না, কিন্তু তার কাছ থেকে ১২ কেজি আম নিয়ে নিলেন এটার জন্য আপনাকে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার কাছে জবাবদিহি করতে এবং এটা সম্পূর্ণ হারাম।