৪০ দিনের বেশি যদি নাভি নিচের লোম পরিষ্কার না করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে তার সালাত কবুল হবে না নামাজ হবে না এরকম মাসালা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে?
কোরআন হাদিসের আলোকে কতটা সঠিক সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। প্রথম কথা হল হাত-পায়ের নখ ছোট করা, গোফ ছোট করা, বগল এবং নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করা। এটাকে চেছে ফেলা এটা সকল নবী রাসুল গনের আল্লাহর পক্ষ থেকে কমন একটা বিধান ছিল। সকল নবী রাসূলগণের কমন একটি সুন্নত ছিল।
যে সুন্নত সকল নবী রাসুল প্রযোজ্য ছিল, একজন ঈমানদারের জন্য অবশ্যই এইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু একটি হাদিস সহিমুসলিম বর্ণিত হয়েছে হাদিস নম্বর ২৫৮
সেখানে তিনি বলেছেন তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদেরকে কাজগুলো করার জন্য অর্থাৎ হাত পায়ের নখ ছোট করা, গফ ছোট করা, বগল এবং নাভির নিচের পশম ছোট করা পরিষ্কার করা। এ কাজের জন্য তিনি আমাদেরকে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন ৪০ দিন অর্থাৎ ৪০ দিন পর্যন্ত কেউ যদি বিলম্ব করেন তাহলে জায়েজ আছে।
এত বেশি বিলম্বনা না করি প্রতি সপ্তাহে একবার পরিচ্ছন্ন করতে পারলেই সেটি উত্তম ভালো কাজ। যত বেশি পরিষ্কার রাখা যায় ততই ভালো, কিন্তু যদি কেউ বিলম্ব করতে চান তাহলে তিনি সেগুলো না চেছে না কেটে সর্বোচ্চ ৪০ দিন পর্যন্ত থাকেন বা থাকতে পারবেন। ৪০ দিনের পর যদি তিনি না কেটে থাকেন তাহলে তার জন্য সঠিক গুনাহের কারন হবে। সে কারণে তিনি পাপী হিসাবে বিবেচিত হবেন।
কিন্তু এর কারণে যে সালাত হবে না, তার নামাজ কবুল হবে না, এরকম কোন কথা হাদীসের কোথাও বলা হয়নি। সালাত বা নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার সম্পর্ক হল সালাতের যে শর্ত আছে শর্তগুলো তিনি সঠিকভাবে আদায় করেছেন কিনা এর উপর নির্ভর করে।
যার কারনে, সলাতের শর্তগুলো যদি সঠিকভাবে আদায় করে থাকেন। ফরজ গুলু যদি সঠিক ভাবে আদায় করে থাকেন, তবে সালাত বিশুদ্ধ হবে যদি ও তার নাভির নিচের লোম তিনি অপরিষ্কার রাখেন, নখ বড় রাখেন, এগুলু করা সত্তেও তার সালাত আদায় হয়ে যাবে।
কিন্তু এগুলোকে তিনি বড় রাখার কারণে ছোট না রাখার কারণে ৪০ দিন বেশি অপরিচ্ছন্ন রাখবার কারণে। তিনি একটি গুনাহের লিপ্ত হলেন সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে সর্বক্ষেত্রে রসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমস্ত দিকনির্দেশনা গুলো মেনে চলার তৌফিক দান করুন।