নামাজ-রোজার পাশাপাশি মানুষের সাথে সুন্দর ব্যবহারকেও ইসলাম ‘ইবাদাত’ –এর মর্যাদা দিয়েছে, সওয়াবের কাজ বলে উল্লেখ করেছে। বেশিরভাগ ইবাদাতের ক্ষেত্রগুলোতে ইসলাম মানুষকে সম্পৃক্ত করেছে, দূরে ঠেলে দেয়নি। হোক সে ধনী বা গরীব, বয়স্ক বা তরুণ।
দানের কথাই বলি। আমরা সাধারণত মনে করি, দান করবে ধনীরা; গরীবরা শুধু পেয়েই যাবে। কিন্তু না। দানের মতো সওয়াবের কাজেও ইসলাম চায় সবার অংশগ্রহণ। কেউ কোটি টাকা দিয়ে দান করবে, কেউ আর না পারুক ১ টাকা দিয়ে দান করবে।
যুবক বয়সে আমরা অনেকেই মনে করি- ‘টাকা হলে আমিও দান করবো’। কিন্তু, ইসলাম তো আমাকে বলছে না টাকা হলেই দান করতে। টাকা ছাড়াও তো দান করা যায়!
হাসিমুখে মুসলিম ভাইয়ের সাথে দেখা করাকে ইসলাম ‘সাদকাহ’ –এর মর্যাদা দিয়েছে।
[মুসনাদে আহমাদ: ১৪৮৭৭]
আমাদের মনে হতে পারে, এতো খুব তুচ্ছ একটা কাজ। কারো সাথে হাসিমুখে কথা বলা, এটা কোনো ব্যাপার হলো? কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটাকে তুচ্ছ মনে করে অবহেলা করাকে নিরুৎসাহিত করেছেন।
তিনি বলেন:
“তুমি কোনো ভালো কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। যদিও (সেটা হয়) তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করতে পারা।”
[সহীহ মুসলিম: ৬৫৮৪]
হাসিমুখে মুসলিম ভাইয়ের সাথে কথা বলাটা যেখানে একটা ইবাদাত, সেখানে মুসলিমরা কিভাবে সারাক্ষণ গম্ভীর মুখে থাকে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি সারাক্ষণ গম্ভীর মুখে থাকতেন?
আব্দুল্লাহ ইবনে হারিস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন:
“আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চেয়ে অধিক মুচকি হাস্যকারী ব্যক্তি কাউকে দেখিনি।”
[মুসনাদে আহমাদ: ১৭৭৫০]
মানুষকে আর কিছু দিতে পারি বা না পারি, আমরা যেনো মানুষকে হাসি উপহার দেই। হাসির বিনিময়ে আমাদের আমলনামায় সওয়াব লিখা হচ্ছে। দারুণ না?
ইসলামের সৌন্দর্য (১৯তম পর্ব)
ইসলামের সৌন্দর্য এর অন্যন্য পর্ব পেতে ঘুরে আসুন এইখানে