ধরে নিচ্ছি স্বামী মানুষটি সততার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন তাদের সন্তানও আছে এবং হঠাৎ তিনি জানতে পারলেন যে তার স্ত্রী পরপুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এমতাবস্থায় স্বামী নামক মানুষটির মনে একটা প্রবল মানসিক ধাক্কা লাগাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এইসময় পুরুষের চারিত্রিক দৃঢ়তা হারালে চলবেনা কারণ তাতে বৃথা কষ্ট বাড়বে। আজকাল পরকীয়ার ঘটনা খুব সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে।
আমরা বলতে পারি মাত্রাতিরিক্ত স্বাধীনতা(উশৃঙ্খলতা)র অন্যতম একটি কুফল হল এই পরকীয়া। অবশ্য এমন নয় যে শুধুমাত্র স্বেচ্ছাচারীতার জন্যই এমন অনঅভিপ্রেত ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এর পেছনে অন্য কারণও থাকতে পারে।
ইসলামে এটি সর্বজনবিদিত যে জিনা (অবৈধ যৌন সম্পর্ক) হারাম এবং একটি বড় পাপ।
ব্যভিচার কবীরা গুনাহ। আল্লাহ বলেন, তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না, এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।
(ইসরা ১৭/ ৩২)।
উক্ত অবস্থায় স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে
(নিসা ৪/১৯-২০)।
আর যদি স্ত্রী তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হয়ে খালেছ অন্তরে তওবা করে, তাহ’লে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে পূর্বের ন্যায় সংসার করবে
(আলে-ইমরান ৩/১৩৫)।
আল্লাহু আলাম।