স্বামী স্ত্রীর গোপন অংগে হাত দিলে স্ত্রীর উপর গোসল ফরজ হয় কিনা বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব, জাযাকাল্লাহ।
স্বামী-স্ত্রী’র সহবাস করার সময় যদি কোন রকম ক্ষতির আশংকা থাকে তাহলে আঙুল প্রবেশ করানো হারাম।
পক্ষান্তরে যদি ক্ষতির আশংকা না থাকে তবুও আঙ্গুল
প্রবেশ করানো উচিত নয়। কারণ আঙ্গুল সহবাস করার জন্য শরয়ী নির্ধারিত মাধ্যম নয়।
তাই ক্ষতির আশংকা না থাকলেও সহবাসের সময় আঙ্গুল ব্যবহার অনুচিত।
الأصبع ليس ألته للجماع (رد المحتار-1/305)
রদ্দুল মুহতার ১/৩০৫
স্ত্রীর লজ্জাস্হানে হাত দিলে গোসল ফরজ হবে কি না?
এটি একটি আলোচনা সাপেক্ষ বেপার।
যদি হাত দেয়ার কারণে বীর্য বের না হয় তাহলে গোসল ফরজ হবে না।
আঙ্গুল প্রবেশ করানোর পর যদি বীর্য আঙ্গুলে অনুভূত হয় তবে বীর্য যদি লজ্জাস্হানের ভেতরেই থেকে যায়, বাইরে বের না হয়। তবু্ও গোসল ফরজ হবে না।
তবে যদি আঙ্গুল প্রবেশ করানোর পর বীর্য বাইরে বের হয়ে পড়ে, তাহলে গোসল করতে হবে।
উল্লেখ্যঃ
.আঙ্গুল প্রবেশ করানোর পর শুধু উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার কারণে গোসল ফরজ হয় না। বরং উত্তেজনার সাথে যদি বীর্য লজ্জাস্থান থেকে বাইরে চলে আসে, তাহলেই কেবল গোসল করা ফরজ হয়।
তথ্য সূত্র;
রদ্দুল মুহতার ১/৩০৫, রদ্দুল মুহতার ৩/৩৭১, রদ্দুল মুহতার ১/২৯৫-২৯৯
وفى السراج: ان اراد بذلك تسكين الشهوة المفرطة الشاغلة للقلب وكان عزبا لا زوجة له ولا امة أو كان الا أنه لا يقدر على الوصول اليها لعذر قال ابو البيث ارجو ان لا وبال عليه واما اذا فعله لإستجلاب الشهوة فهو آثم (رد المحتار-3/371)
وفرض الغسل عند خروج المنى من العضو……، بشهوة أى لذة ولو حكما كمحتلم….، وعند إيلاج حشفة هى ما فوق الختان آدمى…….، وإن لم ينزل منيا بالإجماع (الدر المختار مع رد المحتار-1/295-299)
وامعانى الموجبة للغسل إنزال المنى على وجه الدفق والشهوة (هداية-1/32عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: كُنْتُ رَجُلًا مَذَّاءً فَأَمَرْتُ رَجُلًا أَنْ يَسْأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِمَكَانِ ابْنَتِهِ، فَسَأَلَ فَقَالَ: «تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ» (صحيح البخارى، رقم-269)
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «هُوَ الْمَنِيُّ وَالْمَذْيُ وَالْوَدْيُ» فَأَمَّا الْمَذْيُ وَالْوَدْيُ فَإِنَّهُ يَغْسِلُ ذَكَرَهُ وَيَتَوَضَّأُ , وَأَمَّا الْمَنِيُّ , فَفِيهِ الْغُسْلُ “ (طحاوى، رقم الحديث-259)
والله اعلم بالصواب