কয়েকদিন আগে এক ভাই আমাকে মেইল করেন। তিনি জানান তার বোন মৃত্যু বরণ করেছেন, আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন, আমিন।
তো মেয়েটির পরিবার যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মেইলটি আমাকে পাঠিয়েছেন তা হলো, মেয়েটি জীবিত অবস্থায় টিকটক নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। প্রায়ই সমাজের চলতি ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে উদ্ভট কাজকর্ম, অঙ্গভঙ্গি করতো। কিন্তু সেগুলো ছিলো কিছু অহেতুক কাজকর্ম আর তাই আজ মেয়েটির পরিবার সেগুলো ইন্টারনেট থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। তার ভাই আমাকে জানায় তারা টিকটকের সাথেও যোগাযোগ করেছে কিন্তু কোনোভাবেই সে তার বোনের নানাবিধ অহেতুক কর্মকাণ্ড সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরাতে পারছে না!
আমার প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোন, আমার প্রিয় সন্তানবৎসল অনুজেরা এই ঘটনার সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা খুশি তা দেওয়া থেকে বিরত থাকো। নূন্যতম এরকম কিছু দেওয়া থেকে বিরত থাকো যার জন্য আপনাকে মৃত্যুর পর অপদস্থ হতে না হয়,যা মৃত্যুর পরও এমনভাবে থেকে না যায় যার জন্য আপনি গুণাহগার হন।
আমাদের অনেকেরই একটা অভ্যাস আছে সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এমন সব কাজ করে বসা যেগুলো বিবেকবোধসম্পন্ন মাথায় ভাবলে আমাদের কাছে খুবই অহেতুক ও অনর্থক ঠেকবে। অথচ এরপরও আমরা সামান্য সময়ের আনন্দ লাভের প্রত্যাশায়, সমাজে যশখ্যাতি কামাতে গিয়ে এরকম কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে বসি যা অনুচিত।
হে আমার মুমিন ভাই ও বোনেরা, ভালো কাজ করুন, অর্থবোধক কাজ করুন, এমন কাজের ছাপ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে রেখে যান যা আপনাকে মৃত্যুর পর সম্মানিত করবে, অপদস্থ নয়।
একই সাথে আমি আমার সেই বোনের জন্য দুআ করি যাতে আল্লাহ পাক তাঁর দয়া ও ক্ষমার দৃষ্টিতে তার দিকে তাকান এবং রহমতের চাদরে বেষ্টিত করে নেন।
একই সাথে সেই পরিবারের সদস্যদের জন্যও করি যাতে আল্লাহ পাক তাদের এরূপ অবস্থা থেকে মুক্তি দিক। পাশাপাশি আমাদের সবাইকে যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার সাথে সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করার তৌফিক দান করেন।
মূল: মুফতি মেনক
অনুবাদ: মাহিনুর রহমান