Writing

সবর আমাদের জান্নাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে

রব যাকে ভালোবাসে তাকেই বেশি পরীক্ষা করে। তুমি যদি কঠিন কোনো পরীক্ষার মধ্যে থেকে থাকো তাহলে বুঝে নিও মহান রবের পছন্দের তালিকায় আছো, আলহামদুলিল্লাহ্। ভাঙা মনে রবের পক্ষ থেকে ভালোবাসা পৌঁছাতে সহজ হয়।

এই জীবনে অনেক কিছু করার পরেও তুমি আশানুরূপ ফল পাবে না। তবুও দুঃখ করা চলবে না কারণ আমরা বিশ্বাস করি এই দুনিয়ার চেয়ে লক্ষ্য গুণ উত্তম আরো এক দুনিয়ায় আমাদের প্রবেশ করতে হবে যেখানে এই দুনিয়ায় করে যাওয়া সবর আর ভালো কাজের উত্তম প্রতিদান আমাদের রব আমাদের কে নিজ হাতে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

ইন্নাল্লহা মা’আস সবিরীন।
আল্লাহ ধৈর্য্য শীল কে ভালোবাসেন।

বোঝো, রবের ভালোবাসা মানে কি?
দুনিয়ায় তোমার সব আপনজনের ভালোবাসা এক জায়গায় করলেও তোমার রবের ভালোবাসার সমান হবে না সেই রব ভালোবাসবেন! কি করলে?সবর করলে, ধৈর্য্য ধারণ করলে, ভরসা করলে,তাহলে হতাশ কেন??

আমার যখন অনেক বেশি খারাপ লাগে তখন আমি ভাবি
“আমার রবের পক্ষ থেকে পাওয়া নিয়ামত গুলোর কথা”
যা আমি না চাইতেই আমার রব আমাকে ভালোবেসে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ্!

তাই আমার কোনো সমস্যা নিয়ে কষ্ট হয় না খুব বেশি। মনে হয় আর কয়দিন ই বা থাকবো এই দুনিয়ায়। যাক না কেটে এভাবেই দিনগুলো। নিশ্চয় এর প্রতিদানে খুব ভালো কিছুই পাবো আমি ইনশাআল্লাহ।
কারণ আমার রবের ওয়াদা কখনো মিথ্যা হতে পারে না।

রব্বুল আলামীন সবাইকে এক পদ্ধতি তে পরীক্ষা করেন না।একেক জনকে এক একটা অপূর্ণতা দিয়ে পরীক্ষা করেন। তো সফল হতে হবে না আমাদের সেই পরীক্ষায়?
আমাদের রব তো দেখতে চায় আমরা এই অবস্থায় ও তাঁর উপর খুশি হয়ে খুশি মনে আলহামদুলিল্লাহ্ বলতে পারি কিনা!

“জীবনে যদি পরীক্ষায় না থাকে তবে ধরে নিও তুমি তোমার রবের পছন্দের তালিকায় নেই!”

তোমাকে যদি প্রতিনিয়ত দুঃখ আর কষ্টের মাঝে দিনাতিপাত করতে হয় তবে এর চেয়ে শান্তি আর কি হতে পারে যে, রব্বুল আলামীন তোমাকে তাঁর নৈকট্য লাভের সুযোগ দিয়েছে কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে আর তুমি কিনা হতাশ?

সবকিছুর বিনিময় তো তোমাকে দেওয়া হবে অসীম সেই জীবনে ইনশাআল্লাহ।
এই দুনিয়ার ৬০,৭০ বছরের জীবনের কষ্ট গুলো কে জান্নাতে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির সিড়ি ভেবে নাও। দেখবে সবকিছু কত সহজ হয়ে গেছে।

মুমিনের জন্য কষ্ট ও নেয়ামত,ভালো কিছু পাওয়াও নেয়ামত।
আহ্,কি মহান এক আল্লাহ ই না আমরা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ্ আলহামদুলিল্লাহ্

জানো,আমি যখন কষ্ট পাই তখন ভাবি হয়তো আমলের দ্বারা আমার রবের নৈকট্য অর্জন করতে পারছি না, নিজের মর্যাদা বৃদ্ধি হচ্ছে না তাই আমার রব সেই ক্ষতিটুকু দুনিয়াবি কষ্ট দিয়ে ঐ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করছেন। ব্যাস, আমার কষ্ট কোথায় উধাও হয়ে যায়!

বেশ কিছুদিন আগে কাপড় ভেজানোর জন্য পানি গরম করে বালতিতে রেখেছি। মগেও কিছু টা পড়েছিল গরম পানি, আমি তা খেয়াল করিনি। ভুল করে পায়ে ঢেলে দিয়েছিলাম!
পা পুড়ে গিয়ে খুব জ্বালা করছিলো, এত কষ্ট হচ্ছিল ঠিক তখনি মনে হলো আরে এটা তো আমার রবের ইচ্ছায় হয়েছে!

নিশ্চয় এর মাধ্যমে আমার গুনাহ মাফ করা হচ্ছে যা আমাকে সাময়িক কষ্ট দিলেও বিনিময়ে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ্, এমন পজিটিভ ভাবনায় আমার কষ্ট কোথায় যেন হারিয়ে গেল। আমি বালতির মধ্যে পা ভেজানো অবস্থায় ই ঘুমিয়ে গেলাম প্রশান্ত একটা হৃদয় নিয়ে।

সত্যিকথা বলতে, আমরা যদি চিন্তা ভাবনা তে একটু ঈমানের ছোঁয়া লাগাতে পারি তাহলে কোনো কষ্টই আমাদের খুব বেশি স্পর্শ করে না,কারণ আমরা তো অন্তরে ধারণ করেই নিয়েছি,পৃথিবীতে পাওয়া সব কষ্টেরই উত্তম ফায়সালা করবেন মহান সে পুরস্কার দাতা!

দু’আ করি রব্বুল আলামীন আমাদের কে ধৈর্য্য শীলা মুমিনা নারী হতে সাহায্য করুক। যে সবর আমাদের জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে ইনশাআল্লাহ।

সংগ্রহীত

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture