Writing

সন্তানদের প্রতি নাসীহাহ – পর্ব-০১

[১]

মা বাবার সাথে কথায় কথায় সন্তানের ধমকের স্বরে চিৎকার চেঁচিয়ে কথা বলা, চেহারার ধরণ পাল্টে দেওয়া, যেকোনো আদেশে মুখের ওপর ‘পারবো না’ বলে দেওয়া ইত্যাদি এমন আচরণ যেনো আজকের সন্তানদের জন্য একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়ে গিয়েছে। অন্তত আমাদের বর্তমান সমাজের অবস্থা দেখলে তেমনটা মনে করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। আজকের সন্তানেরা অন্যের সামনেও মা বাবার সাথে ধমকের স্বরে কথা বলতে দ্বিধা করে না।

এটা মা বাবার প্রতি কতো বড়ো অপমানসূচক আচরণ, কতো বড়ো অন্যায়, কতো বড়ো পাপ সেটাও তারা উপলব্ধি করতে পারে না। যে মা-বাবার কারণে দুনিয়ার আলো বাতাস দেখার সুযোগ হয়েছে, আজকের অবস্থানে আসার কারণ যে মা-বাবা সেই মা বাবাকেই কি-না মুহুর্তের মধ্যে এমন কিছু কথা বলে ফেলা হয় যা শুনলে রীতিমতো গায়ের লোমগুলো শিহরিত হয়, মন প্রচন্ড ব্যাথিত হয়। আসলে, সন্তানের দুর্ব্যবহার মা বাবাকে কতোটা ব্যথিত করে, কতোটা কষ্ট দেয় তা কেবল মা বাবারাই বুঝতে পারেন। সে এক অন্যরকম বুকচাপা কষ্ট যা বলে বোঝানো যাবে না।

সন্তানেরা বেপরোয়া হয়ে যাওয়ার জন্য তাদের নিজেদের যেমন দায় রয়েছে তেমনি মা বাবারাও তাদের দায় কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারেন না। অনেক মা বাবা আছেন যারা সন্তানদের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে চলেন। অর্থাৎ তাদেরকে ঠিকমতো সময় দেন না, তাদের সাথে ঠিকমতো কথাও বলেন না। শুধু এই ব্যস্ততা আর ওই ব্যস্ততা নিয়েই পড়ে থাকেন। ফলে মা বাবার প্রতি তাদের আর মায়া মহব্বতের সৃষ্টি হয় না এবং সুসম্পর্কও গড়ে ওঠে না। সন্তানদেরকে সময় দেওয়াও যে তাদের ব্যস্ততার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া উচিত সেটা যেনো তারা বুঝতেই চান না। আর এর মাশুলও একসময় তাদেরকে দিতে হয়।

আরো ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে, অনেক মা বাবারা এমনও রয়েছেন যারা তাদের সন্তানদের সামনেই তাদের নিজেদের মা বাবাদের সাথে রুক্ষ আচরণ করে থাকেন। এমনকি মা বাবা নিজেরা নিজেদের সাথে অশ্লীল ভাষা বিনিময়, মারামারি ইত্যাদি দুর্ব্যবহারে লিপ্ত থাকেন। ফলে তাদের সন্তানেরা এসব দেখে দেখেই ‘দুর্ব্যবহার’ টার্মটাই শিখে ফেলে। আর এভাবেই তারা একসময় দুর্ব্যবহারের সাথে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তখন আর তারা কারো সাথে দুর্ব্যবহার করেও অনুতপ্ত হয় না। কারণ এটাই যে তারা জীবনের শুরু থেকে শিক্ষা পেয়ে এসেছে, এটাই যে তাদের মস্তিষ্কে সেট হয়ে আছে সর্বোপরি এটার সাথেই যে তাদেরকে অভ্যস্ত করে তোলা হয়েছে।

[২]

সন্তানেরা সঠিক পথে না থাকার অন্যতম কারণ হলো তাদেরকে সঠিক সময়ে সঠিক পন্থায় সঠিক নাসীহাহ্গুলো করা হয় না। সন্তানদেরকে নাসীহাহ করা কতোটা জরুরি তা আমরা পবিত্র কোরআনে নাসীহাহ সম্বলিত সূরা “সূরা লোকমান” থেকে জানতে পারি। সন্তানদেরকে নাসীহাহ করা জরুরি বলেই তো আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে কোরআনের মাধ্যমে সন্তানের প্রতি নাসীহাহ করার শিক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু আমরা সেই শিক্ষা গ্রহণ করছি না বিধায় আজ আমাদের সন্তানেরা আল্লাহ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আর আল্লাহ থেকে দূরে সরে গেলে তারা তাদের আচার-আচরণে বেপরোয়া হয়ে উঠবে-এটাই স্বাভাবিক।

আজ আমাদের অবস্থান কোরআন থেকে দূরে থাকার কারণে তথা কোরআনের সাথে সম্পর্ক না থাকার কারণে সন্তানের প্রতি লোকমান (আঃ) এর নাসীহাহ্গুলোও আমাদের জানা হচ্ছে না। আর জানা হলেও তা মানার তাগিদ আমরা ঐভাবে অনুভব করছি না, সন্তানকে সঠিক পথে রাখার জন্য ওগুলোকে প্রেসক্রিপশন হিসেবে মানছি না, ওগুলো যেনো আমাদের নিকট কোনো গুরুত্বই বহন করছে না। আর তাই তো ওগুলো আমাদের নিকট চরমভাবে উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।
আমরা কি জানি, লোকমান (আঃ) তার সন্তানকে কী কী নাসীহাহ করেছিলেন? একদম প্রথম নসীহতটিই তো ছিল আল্লাহর সাথে বান্দার পরিচয় করিয়ে দেওয়া, শিরকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সজাগ করে দেওয়া। কিন্তু আমরা কি আমাদের সন্তানদেরকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটুকু দিচ্ছি? নাহ, দিচ্ছি না তো।

আমরা বরং তাদেরকে আধুনিক বিভিন্ন ডিভাইসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি, পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা বা সেলিব্রেটিদের সাথে, পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি বিভিন্ন গান-বাজনা, নাটক-সিনেমা ইত্যাদি আরও কতো কিছুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। এমনকি কার্টুন গেইমসের মতো বিকৃত জিনিস যা মানুষের মস্তিষ্ককে বিকৃত করে দেয়, আচার আচরণ বিকৃত করে তুলে, মানসিকতা এবং সৃজনশক্তি নষ্ট করে দিয়ে অলস করে দেয় সেগুলোর সাথেও ব্যস্ত হয়ে থাকার সুযোগ করে দিচ্ছি। কেবল আপন রবের সাথে পরিচয় করে দেওয়া হয় না, আপন রবের সাথে ব্যস্ত থাকার সুযোগ কিংবা পরিবেশ করে দেওয়া হয় না। হায়, আপসোস! কতোই-না দূর্ভাগা আমরা।

[৩]

মূলত, তারা মুসলিম ঘরের বাস্তবতা থেকে অর্থাৎ এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে নামাজ, রোজা ইত্যাদি ইবাদত করা থেকে যা শিখছে তাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। কিন্তু লোকমান (আঃ) এর মতো আমরা আলাদাভাবে তাদেরকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি না, শিরকের ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত করছি না। ফলে আল্লাহর সাথে তাদের শিরকমুক্ত সম্পর্ক গড়ে ওঠছে না। আর এখানেই আমাদের যতো ত্রুটি থেকে যাচ্ছে।

সন্তানেরা মা বাবার প্রতি অবাধ্য আচরণ কিংবা বেপরোয়াভাবে চলার জন্য আমরা যতো কারণই খুঁজি না কেন মূলত প্রধান কারণই হচ্ছে নিজের রবের সাথে তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় না। যে রবকে চিনে না কিংবা রবের সাথে যার সম্পর্ক নেই সে তার রবকে কিভাবে পরোয়া করবে? আর যে রবকে পরোয়া করে না সে কি তার মা-বাবাকে পরোয়া করার কথা? রবের আদেশ নিষেধ তোয়াক্কা না করা যদি তার জন্য অস্বাভাবিক না হয় কিংবা সে যদি অমন বিষয়কে স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করে ফেলতে পারে তবে মা বাবার আদেশ নিষেধ তোয়াক্কা না করা কি তার জন্য খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয় নয়? এগুলো কি আমরা উপলব্ধি করতে পারছি?

অপরদিকে, যে তার রবকে চেনে তথা রবের সাথে যার সুসম্পর্ক রয়েছে সে কখনোই রবের আদেশ নিষেধকে অমান্য করতে পারে না। তখন রবের আদেশের অংশ হিসেবে সে মা বাবার সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নম্র আচরণ করা শুরু করে, মা বাবার হক আদায়ে সচেষ্ট থাকে, মা বাবার অনুগত সন্তানে পরিণত হয়। নিজের কোনো কাজ মা বাবার কষ্টের কারণ হচ্ছে কিনা সেদিকে বরং সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলে। তখন আর মা বাবাকে তাদের সন্তানকে তাদের প্রতি কেমন আচরণ হওয়া উচিত তা শেখাতে হয় না। আল্লাহই তার মধ্যে সে বুঝ দিয়ে দেন।

এবার লোকমান (আঃ) এর নাসীহাহ নিয়ে একটি চমৎকার বিষয় শেয়ার করবো যা আপনাকে নিশ্চয়ই ভাবনায় ফেলবে। আশা করি, এমন বিষয় জানার পর সন্তানদেরকে নাসীহাহ করার ব্যাপারে মা বাবাদের মধ্যে আরো বেশি অনুপ্রেরণা কাজ করবে, মনের মধ্যে নাসীহাহ করার আরো বেশি স্পৃহা জাগবে তথা নসীহতের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি হবে। ইন শা আল্লাহ!

আল্লাহ তা’য়ালা লোকমান (আঃ) এর দশটি নসীহতের মধ্যে কেবলমাত্র প্রথম নসীহত ব্যতীত বাকি নয়টি নসীহতই পরের আয়াতগুলোতে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করে শেষ করেছেন। এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, লোকমান (আঃ) যখন তার প্রথম নসীহতে সন্তানকে বলছিলেন, ও আমার প্রিয় সন্তান! আল্লাহর সাথে কোনো শিরক করো না; নিশ্চয়ই শিরক হচ্ছে মস্ত বড়ো জুলুম। এর মানে কী, জানেন? এর মানে হচ্ছে, লোকমান (আঃ) তার সন্তানকে প্রথমেই আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। ঠিক তার পরের আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা লোকমান (আঃ) এর বাকি নাসীহাহ্গুলোর ধারাবাহিকতা থেকে সরে এসে আল্লাহ নিজে একটি আয়াত বর্ণনা করেছেন। জানেন, সেই আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা কী বলেছেন?

সেই আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা দুনিয়ার প্রত্যেক সন্তানদেরকে তাদের মা-বাবা বিশেষ করে মায়ের অবর্ণনীয় কষ্টের কথা, সন্তানের জন্য মায়ের সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, আমি মানুষকে (তাদের) পিতা-মাতার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছি (যেনো তারা তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে,কেননা), তার মা কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে তাকে গর্ভ ধারণ করেছে এবং দুই বছরে সে (সন্তান) বুকের দুধ খাওয়া ছেড়েছে, তুমি (তোমার নিজের সৃষ্টির জন্য) আমার শোকর আদায় করো এবং তোমার (লালন-পালনের জন্য) পিতা- মাতারও কৃতজ্ঞতা আদায় করো। তোমাদের সবাইকে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।
[সূরা লোকমান : ১৪]

আর এখানে বিষয়টি কী দাঁড়ালো, তা কি আমরা খেয়াল করেছি? বিষয়টি দাঁড়ালো এমন, যেহেতু লোকমান (আঃ) তার সন্তানকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তাই আল্লাহর জন্য যেনো এবার দায়িত্ব হয়ে গেলো, সন্তানকে তার মা বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। তাই বাকি নাসীহাহ পেশ করার আগে আল্লাহ তা’য়ালাও মা বাবার সাথে সন্তানের আচরণ কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ একটি নাসীহাহ পেশ করে রাখলেন। সুবহান’আল্লাহ!

এটি খুবই অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন একটি বিষয়। ঈমান বৃদ্ধি পাওয়ার মতো একটি বিষয়। বিশ্বাস করুন, এ বিষয়টি নিয়ে আমি যতো ভাবি ততোই মুগ্ধ হই এবং নিজের অজান্তেই চক্ষুদ্বয় অশ্রুসিক্ত হয়ে যায়। এমন বিষয় থেকে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নেওয়ার আছে। আর সেটি হচ্ছে,আমরা যদি আল্লাহর সাথে আমাদের সন্তানদের পরিচয় করিয়ে দেই, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ে দেই তবে আল্লাহ তা’য়ালাও আমাদের সন্তানদেরকে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন, সম্পর্ক গড়ে দিবেন। আর এটাই যেন ঐ আয়াতদ্বয়ের মূল ভাবার্থ। সুবহান’আল্লাহ!

এছাড়া, আমরা যদি আমাদের সন্তানদেরকে নিজেরা পালন করে যাওয়ার মাধ্যমে শিরক থেকে মুক্ত থাকার শিক্ষা দেই, আল্লাহর সমস্ত বিধি নিষেধ মেনে চলার শিক্ষা দেই সর্বোপরি আল্লাহর অনুগত বান্দা হতে তাদেরকে সাহায্য করি তবে আল্লাহ তা’য়ালাও আমাদের সন্তানদেরকে আমাদের প্রতি সদয় থাকার, আমাদের আদেশ নিষেধ মেনে চলার, সর্বোপরি আমাদের প্রতি অনুগত থাকার মানসিকতা তৈরি করে দিবেন। অর্থাৎ আমাদের প্রতি তাদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত সেটা আর আমাদেরকে নতুন করে শিখাতে হবে না। আল্লাহ তা’য়ালাই তাদেরকে কোনো না কোনোভাবে শিখিয়ে দেবেন। ইন শা আল্লাহ! আমাদের কেবল প্রয়োজন সন্তানদেরকে আল্লাহর সাথে কানেকশন করিয়ে দেওয়া। ব্যাস, এতটুকুই!

দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকাল আমরা আমাদের সন্তানদের নিকট তাদের সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহর পরিচয়টুকু যথাযথভাবে তুলে ধরি না। যতোটুকুই করা হয় এগুলো অনেকটা দায়সারার জন্য করা হয়ে থাকে। মন থেকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় না। ফলে তারা আল্লাহর অবাধ্য হয়ে চলে, আল্লাহ বিমুখ হয়ে পড়ে। মনে রাখবেন, যে সন্তান আল্লাহর অবাধ্য হয়ে চলে, আল্লাহ বিমুখ হয়ে পড়ে সে তার মা বাবার অবাধ্য হবেই, মা বাবা বিমুখ হবেই। আর এটাই খুব স্বাভাবিক। ফলে আমাদের প্রত্যেক মা বাবাদের উচিত দায়িত্ব নিয়ে খুব গুরুত্ব সহকারে সন্তানদেরকে আগে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করিয়ে দেওয়া। তখন আল্লাহ তা’য়ালাই সন্তানদেরকে তার মা বাবার সাথে সম্পর্ক বা কানেকশন করিয়ে দিবেন, অনুগত করে রাখবেন।

[ বি.দ্রঃ সন্তানের প্রতি লোকমান (আঃ) এর নাসীহাহের আলোকে আমাদের মা বাবারা কীভাবে তাদের সন্তানদেরকে নাসীহাহ করবেন তা নিয়ে পরবর্তী পর্বগুলোতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। ইন শা আল্লাহ! ]

লিখেছেন

Picture of রাকিব আলী

রাকিব আলী

পরকালীন তথা স্থায়ী জীবনের লক্ষ্যে নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি। নিজে হেদায়েতের ওপর অটল থাকার পাশাপাশি অন্যেদেরকেও হেদায়েতের দিকে আহবান করা তথা পথ হারাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনাই আমার লেখালেখির মূল উদ্দেশ্য।

All Posts

পরকালীন তথা স্থায়ী জীবনের লক্ষ্যে নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি। নিজে হেদায়েতের ওপর অটল থাকার পাশাপাশি অন্যেদেরকেও হেদায়েতের দিকে আহবান করা তথা পথ হারাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনাই আমার লেখালেখির মূল উদ্দেশ্য।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture