শেষ রাতে কিছুটা সময় নিজেকে দেয়ার চেষ্টা করুন
ফজরের আযানের অন্তত দশ মিনিট আগে, সাহরি এবং যাবতীয় সব কাজ শেষ করে একেবারে ফ্রি হয়ে যাবেন।
এবার এই দশ মিনিট একেবারে সবার থেকে আলাদা হয়ে যাবেন। একান্ত মনে আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।
এবং এই সময়টাতে শুধুই ক্ষমা প্রার্থনা। হতে পারে শুধু আস্তাগফিরুল্লাহ অথবা রব্বিগ ফিরলি। অথবা বড় কোন ইস্তেগফার যেটা আপনি পারেন। সেটা হতে পারে দোয়া ইউনুস।
সবচেয়ে উত্তম সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার।
আপনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে ক্ষমা পেলেন, মানে দুনিয়া ও আখেরাতের সবকিছু পেয়ে গেলেন।
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا
অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।
يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا
তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন,
وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا
তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।
[সুরা নুহ: ১০-১২]
বলেছিঃ তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, তিনিতো মহা ক্ষমাশীল।
তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটাবেন। তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা।
(সুরা নুহ : ১০-১২)
আরো ভালো হয় যদি বেতের নামাজ টা এশার পর আদায় না করে শেষ রাতের জন্য জমা করে রাখেন। সাহরি খেয়ে ফজরের আযানের আগে আগে দুই রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ে, বেতের পড়ে নিলেন। তারপর ইস্তেগফার শুরুর আগে আল্লাহ সুবহানাতায়ালার প্রশংসা করে, তার নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে, রসুল সা: উদ্দেশ্য দরুদ পাঠ করে, ক্ষমা প্রার্থনা শুরু করে দিলেন।
ইস্তেগফার এর মাঝে মাঝে, নবীর প্রতি সংক্ষিপ্ত দরুদ ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’, ইয়া হাইয়্যু ইয়া কইয়্যূম, ইয়া জালযালালি ওয়াল ইকরাম এগুলো পড়তে পারেন, যা দোয়া কবুলের জন্য সহায়ক।
ভোররাতে ক্ষমা প্রার্থনা নিয়ে আল্লাহ সুবহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন :
اَلصّٰبِرِيْنَ وَالصّٰدِقِيْنَ وَالْقٰنِتِيْنَ وَالْمُنْفِقِيْنَ وَالْمُسْتَغْفِرِيْنَ بِالْاَسْحَارِ
যারা সহিষ্ণু, সত্যপরায়ণ, নির্দেশ সম্পাদনকারী, দানশীল এবং ভোররাতে ক্ষমাপ্রার্থী।
[সূরা আল ইমরান: ১৭]
আল্লাহ আমাদের প্রচেষ্টা কবুল করুন।
আমাদের ক্ষমা করুন। রহম করুন।
আল্লাহুম্মাগফিরলি।
ওয়ারহামনি।
ওয়াহদিনি।