রামাদ্বানের প্রথম সন্ধ্যায় অনেককিছুই বলার আছে। আমি মনে মনে ভাবছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যদি এই সময়ের হতেন এবং তিনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতেন, তাহলে আজ সন্ধ্যায় রামাদ্বান নিয়ে তিনি কী ম্যাসেজ দিতেন?
তিনি বলার জন্য কোন বিষয়টি নির্বাচন করতেন?
আমরা একটি হাদীস থেকে কিছুটা হিন্টস নিই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
“বরকতময় রামাদ্বান মাস উপস্থিত হয়েছে, এই মাসে আল্লাহ রোজা রাখাকে বাধ্যতামূলক করেছেন, এই মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, শয়তানকে শিকলবন্ধী করা হয়। এই মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এই মাসের ফযিলত থেকে যে বঞ্চিত হলো, সে সত্যিকারার্থে বঞ্চিত হলো।”
[মুসনাদে আহমাদ: ৭১০৮]
আমার মনে হচ্ছে, যদি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এখনকার সময়ে থাকতেন, তাহলে রামাদ্বান মাসের আগমনের জন্য তিনি সকল মুসলিমকে অভিনন্দন জানাতেন।
ইবনে রজব হাম্বলী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
“এই হাদীসের আলোকে অনেকেই বলেন যে, রামাদ্বানের আগমনকে স্বাগত জানানোর জন্য এই হাদীসটি একটি দলীল। যে মাস উপলক্ষ্যে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়, যে মাস উপলক্ষ্যে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, যে মাস উপলক্ষ্যে শয়তানকে শিকলবন্ধী করা হয়, সেই মাসের আগমন উপলক্ষ্যে কেনো একজন আরেকজনকে অভিনন্দন জানাবে না?”
আপনারা যারা এই মাস পেয়েছেন, আপনারা যারা নিজেদের পরিবর্তনের জন্য এই মাসকে বেছে নিচ্ছেন, তাদের প্রত্যেককেই জানাই অভিনন্দন।
উস্তাদ আলী হাম্মুদার (হাফিজাহুল্লাহ) ‘A Ramadan of Change’ লেকচার অবলম্বনে।
পরিবর্তনের রামাদ্বান (দ্বিতীয় পর্ব)
আরিফুল ইসলাম