যে ব্যক্তি আপনার সাথে জুলুম করেছে,আপনাকে প্রতারিত করেছে, দুনিয়ার কোন ব্যাপার নিয়ে আপনাকে ঠকিয়েছে—- তাকে ক্ষমা করে দিন। পারলে তার জন্য শুভকামনা করুন।ক্ষমা করে দেওয়া কিংবা শুভকামনা করার চাইতে ও সুন্দর ব্যাপার হচ্ছে কোনভাবে তার উপকার করা কিংবা তাকে সাহায্য করা।
ক্ষমার প্রথম পর্যায় হলো নিজের ভিতর জেগে উঠা প্রতিশোধ পরায়নতা ত্যাগ করা অর্থাৎ নিজের ক্রোধ ত্যাগ করে প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ও তাকে পাল্টা আঘাত না করা।
এর অর্থ আপনি তাকে আঘাতের বদলে আঘাত করছেন না।এর পর আসছে ক্ষমা করা। কোনরূপ অশুভ ইচ্ছা বা কামনা পরিত্যাগ করা।এর পর আসছে সর্বোচ্চ লেভেল অর্থাৎ আপনি কোনভাবে তার উপকার করছেন তার প্রতি আপনি দয়াপ্রদর্শন করছেন।
আপনি তার কল্যাণকামী হচ্ছেন।দেখুন আসলে সবাইই পারে প্রতিশোধ নিতে কিংবা ক্ষেত্রবিশেষ এটা জায়েজ ও বটে। কিন্তু আপনি একটু ডিপারেন্স হোন। জান্নাতী মানুষের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা অন্যের প্রতি রহমদিল, দয়াপরবশ হন।
এই বিষয়ে পবিত্র কুর’আনে
আল্লাহ্ আযযা ওয়া যাল বলেনঃ
“ যারা ক্রোধ দমন করে এবং অন্যদের ক্ষমা করে;আল্লাহ্ সৎ কর্মশীলদের ভালোবাসেন।”
(আল ইমরানঃ৩)
“ আর যে নাকি ক্ষমা করে দেয় এবং আপোষ মীমাংসা করে তার পুরস্কার আল্লাহর নিকটই রয়েছে।”
(আস শূরাঃ৪০)