আচ্ছা, রমাদ্বানে তো শয়তান শিকলবন্ধী থাকে তাইনা?
তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, আমরা তবুও গোনাহে লিপ্ত হই কেন?
কারণ, শয়তান বন্ধী থাকলেও আমার নফস বন্ধী থাকে না।
শয়তান বছরের পুরোটা সময় জুড়ে আমাদের নফসকে দোলনায় বসিয়ে দোল খাওয়াতে থাকে। আর শুধু রমাদ্বান উপলক্ষে দোল খাওয়ানো বন্ধ থাকে।
দেখবেন দোলনা একবার দোল খাইয়ে ছেড়ে দিলেও অনেকসময় ধরে আপনা আপনি দোলতে থাকে। ঠিক একই ভাবে রমাদ্বানে শয়তান বন্ধী থাকলেও বছরের অন্য সময়গুলোতে শয়তানের গোলামি করা আমাদের নফস রমাদ্বানেও তার অভ্যাস ছাড়তে পারে না। তাহলে এর সমাধান কী?
এর সমাধান হলো আমাদের নফসকেও বন্ধী করে ফেলতে হবে। কিন্তু কীভাবে?
আমরা হলাম অভ্যাসের অনুগত। কোনো কিছু অভ্যাস হয়ে গেলে সহজে ছাড়তে পারি না। তাই রমাদ্বান আসার আগে এই পুরো একমাস জুড়ে আমাদের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে।
রমাদ্বানের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হবে। ছোটবড় গোনাহের কাজগুলো ছেড়ে দিতে হবে আস্তে আস্তে। শয়তানের গোলামি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাহলে দেখবেন রমাদ্বান আসতে আসতে আপনার নফস শয়তান থেকে অনেকটাই মুক্ত হয়ে গেছে। ফলে রমাদ্বানে আর নফস আপনাকে খারাপ দিকে নিয়ে যাবে না।
আস্তে আস্তে কুর’আন তিলাওয়াতের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন, সাদকা করতে শুরু করুন, গোনাহগুলো ছেড়ে দিন, নফল নামাজ পড়তে থাকুন অল্প অল্প করে, খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন, দুনিয়ার সাথে সম্পর্ক কমিয়ে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বাড়িয়ে দিন। তাহলে দেখবেন আগামী রমাদ্বান হতে যাচ্ছে আপনার জীবনের সেরা রমাদ্বান। কে জানে, এটাই হয়তো আপনার শেষ রমাদ্বান!
তো, প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে তো ইন শা আল্লাহ?