যোহরের পূর্বে চার রাকআত এবং পরে চার রাকআত সালাতে রয়েছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি। হাদিস পড়েছি, “যে ব্যক্তি যোহরের পরে ৪ রাকাতের সুন্নত পড়বে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। “ প্রশ্ন হল, এ ৪ রাকআত নামায কি যোহরের ফরযের পরের দু রাকআত সুন্নতে রাতেবা (নিয়মিত সুন্নতে মুআক্কাদা) এর পরে অতিরিক্ত পড়তে হবে হবে নাকি সে দুই রাকআতের সাথে আরও দু রাকআত যুক্ত করে মোট ৪ রাকআত পড়তে হবে?
যোহরের পরে এই ৪ রাকআত নামাযের নিয়ত কিভাবে করব? যোহরের পূর্বে ৪ রাকআত এবং পরে ৪ রাকআত সালাত পড়ার ব্যাপারে হাদিসে বিশাল ফযিলত বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে এ ব্যাপারে দুটি হাদিস পেশ করা হল:
১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সহধর্মীনী উম্মে হাবিবা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন:
مَنْ صَلَّى أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَأَرْبَعًا بَعْدَهَا لَمْ تَمَسَّهُ النَّارُ
“যে ব্যক্তি যোহরের আগে চার রাকাআত এবং পরে চার রাকাআত নামায পড়বে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্ষ করবে না।”
(সুনান নাসাঈ, হা/ ১৮১৭ ও তিরমিযী হা/৪২৮)
২) আবু দাউদ ও তিরমিযীতে বর্ণিত হয়েছে:
مَنْ حَافَظَ عَلَى أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ قَبْلَ الظُّهْرِ وَأَرْبَعٍ بَعْدَهَا حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ
“যে ব্যক্তি যোহরের আগে চার রাকাআত ও পরে চার রাকাআতের উপর যত্মশীল হবে আল্লাহ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।”
(ইমাম তিরমিযী বলে, এ হাদিসটি হাসান-সহীহ, শাইখ আলবানীও উক্ত হাদীসটিকে সহীহ বলে সাব্যস্ত করেছেন)
এই চার রাকআত হল, যোহরের পরে দু রাকাআত সুন্নতে রাতেবা (নিয়মিত সুন্নতে মুআক্কাদা) এর সাথে আরও দু রাকআত যুক্ত করে মোট ৪ রাকাআত।
এই ৪ রাকআত পড়ার নিয়ম হল, যোহরের চার রাকআত ফরয সালাত শেষে দু রাকআত পড়ে সালাম ফিরানোর পরে আরও দু রাকআত আদায় করা।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- যা কখনো ছাড়া উচিৎ নয়-তা হল, যোহরের আগে চার রাকআত আর পরে দু রাকআত। তবে কেউ যদি পরে আরও দু রাকাআত যুক্ত করে চার রাকাআত পড়ে তবে সে সুন্নত মোতাবেক আমল করবে এবং এর মাধ্যমে লাভ করবে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার বিশাল মর্যাদা। আল্লাহ তাওফীক দান করুন।
আমীন।
যোহরের পরে চার রাকআত নামাযের নিয়ত কিভাবে করবো?
যোহরের পরে দু রাকআত নিয়মিত সুন্নতে রাতেবা বা নিয়মিত সুন্নতে মু্আক্কাদার অন্তর্ভূক্ত। তাই এ দু রাকআত সুন্নতে রাতেবা বা সুন্নতে মুআক্কাদার নিয়তেই আদায় করবেন। কিন্তু তার পরের দু রাকআত সুন্নতের রাতেবা নয় বরং সাধারণ নফল। তাই তা সাধারণ নফলের নিয়তে আদায় করবেন।
এভাবে যদি মোট ৪ রাকআত আদায় করা হয় তাহলে উপরোক্ত হাদিস অনুসারে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের সকলকে জাহান্নামের আগুন থেকে হেফাযত করেন।
আমীন।