মেয়ের মা-বাবা রাজি কিন্তু আমার মা-বাবা রাজি না
মেয়ের মা-বাবা রাজি কিন্তু আমার মা-বাবা রাজি না তাহলে আমি কি অন্য জায়গায় গিয়ে আমার অভিভাবক ছাড়া ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে পারব
আপনারা উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে আপনাদের জন্য বিবাহ করা জায়েজ আছে। এ বিয়ে শরয়ী মূলনীতি অনুপাতে শুদ্ধও হয়ে যাবে। বাকি পিতা-মাতাকে না জানিয়ে বিবাহ করা ভাল নয়। তারা জানতে পারলে কষ্ট পাবেন। আর পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয়া জায়েজ নয়।
তবে পিতা-মাতাকে না জানিয়ে বিবাহ করার দ্বারাও বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়।
আর বিয়েটা রেজিষ্ট্রি করিয়ে নিবেন। যাতে করে পরবর্তীতে কেউ অস্বিকার করলে প্রমাণ বাকি থাকে।
عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: جَاءَتْ فَتَاةٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: ” إِنَّ أَبِي زَوَّجَنِي ابْنَ أَخِيهِ، لِيَرْفَعَ بِي خَسِيسَتَهُ، قَالَ: فَجَعَلَ الْأَمْرَ إِلَيْهَا، فَقَالَتْ: قَدْ أَجَزْتُ مَا صَنَعَ أَبِي، وَلَكِنْ أَرَدْتُ أَنْ تَعْلَمَ النِّسَاءُ أَنْ لَيْسَ إِلَى الْآبَاءِ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ “
হযরত বুরাইদা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক মহিলা নবীজী সাঃ এর কাছে এসে বলল, আমার পিতা আমাকে তার ভাতিজার কাছে বিয়ে দিয়েছে, যাতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। রাবী বলেন, তখন রাসূল সাঃ বিষয়টি মেয়ের ইখতিয়ারের উপর ন্যস্ত করেন, [অর্থাৎ ইচ্ছে করলে বিয়ে রাখতেও পারবে, ইচ্ছে করলে ভেঙ্গেও দিতে পারবে] তখন মহিলাটি বললেন, আমার পিতা যা করেছেন, তা আমি মেনে নিলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল, মেয়েরা যেন জেনে নেয় যে, বিয়ের ব্যাপারে পিতাদের [চূড়ান্ত] মতের অধিকার নেই্
{সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৮৭৪, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহুয়াহ, হাদীস নং-১৩৫৯, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৩৫৫৫}