নবীজী ﷺ এর একটি উল্লেখযোগ্য সুন্নাহ হচ্ছে ইস্তেগফার করা। নবীজী ﷺ নিজেই বলেছেন,
“আল্লাহর শপথ, আমি দিনে সত্তর বারের অধিক আল্লাহর নিকট তওবা-ইস্তেগফার করি।”
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৩২]
একই সাথে সুন্নাহর বিষয়টির ব্যাপারে তাঁর সাহাবাদের উৎসাহিত করে বলতেন,
“হে মানব মণ্ডলী, তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর। কেননা, আমি দিনে একশ বার তওবা করি।”
[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৮৭১]
নবীজী ﷺ চান তাঁর উম্মাহ পরকালীন জীবনে সফল হোক, আল্লাহর ক্ষমা ও অনুগ্রহ নিয়ে জীবন যাপন করুক। তিনিই সেই উম্মাহ দরদী নবী ও রাসূল যিনি তাঁর দুআ পরকালে তাঁর উম্মতের জন্য রেখে দিয়েছেন।
অতএব নবীজী ﷺ গুণাহয় জর্জরিত উম্মাহকে নিয়মিত তাওবা-ইস্তেগফার করে পাপমুক্ত হতে বলবেন না তো কে বলবেন!
কিন্তু,খেয়াল করুন, নবীজী ﷺ কিন্তু পাপমুক্ত ও পবিত্র ছিলেন। তাঁর জন্য শাফায়াতের অনুমতি আছে এবং জান্নাতে সবার আগে প্রবেশের অধিকারও তাঁর। কিন্তু সেই মানুষটি ও দৈনিক ৭০ বার ইস্তেগফার করতেন এবং ১০০ বার তাওবা করতেন,আল্লাহর গাফুর-গাফফার নামটিকে স্মরণ করতেন।সেখানে আপনার আমার কতো পাপ দৈনিক আমাদের আমলনামায় জমা হয় আমরা কি কখনো হিসাব করে দেখেছি?
এই হিসেবের খাতায় কলম না ঘষলেও আমরা জানি ৭০/১০০ বার তাওবা ইস্তেগফারের থেকেও আমাদের পাপের সংখ্যা জেনে কিংবা না জেনে অনেক বেশি।অথচ আমরা নবীজী ﷺ এর ইস্তেগফারের সুন্নাহ থেকে দিনে দিনে কতোই না দূরে সরে গিয়েছি। অথচ এই ৭০ বার ইস্তেগফার পাঠ করতে বেশি সময় লাগে না। জায়নামাজ থেকে উঠে কয়েক কদম দূরত্ব পার করতে করতেই আপনি সত্তর বার ইস্তেগফার পাঠ করতে পারেন।
আর এই অভ্যাসের চর্চা আপনাকে বেশি না দিনের মাত্র এক ওয়াক্তের সালাতের সাথে করলেই আপনি একদিকে ইস্তেগফারের সুন্নাহ পালন করে নিচ্ছেন এবং অপরদিকে আল্লাহর নিকট অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিজের ঈমানকে নবায়ন করে নিলেন।
মুক্তোর ন্যায় সুন্নাহ – ০১